somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহর আরশ, হাশরের ময়দান, দোজখ-বেহেস্ত যদি এই মহাবিশ্বের বাইরে হয়, তবে কিয়ামতের পর এই মহাবিশ্বের কি পরিনতি হতে পারে!!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা মোটামুটি সবাই জানি যে এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে। শুধু সম্প্রসারিতই হচ্ছে না, এর সম্প্রসারনের গতিবেগও বাড়ছে।মহাকাশ বা মহাশুন্যের প্রকৃতি কেমন, সেটা বোঝার জন্য আমরা তিনটি অবস্থা বিবেচনা করতে পারি। অবস্থাগুলো হলো বদ্ধ, খোলা এবং সমতল। এই মহাবিশ্ব বদ্ধ, খোলা বা সমতল হলে লক্ষ-কোটি বছর পর এর কি পরিনতি কেমন হতে পারে?
মহাকাশ বা মহাবিশ্ব যদি বদ্ধ প্রকৃতির হয়, তবে গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ পরস্পর থেকে দূরে সরে যেতে যেতে একটা সময় আবার কাছে আসা শুরু করবে। মানে মহাবিশ্ব প্রসারিত হতে হতে আবার সংকুচিত হওয়া শুরু করবে এবং সর্বকালের সর্ববৃহৎ কৃষ্ণগহ্বরে পরিনত হবে।
যদি আমাদের মহাবিশ্ব খোলা হয়, তবে মহাবিশ্ব প্রসারনের হার এতো বেড়ে যাবে যে, নক্ষত্র বা ছায়াপথগুলো পরস্পর থেকে আলোর বেগে দূরে ধাবিত হবে। তখন কোনো গ্রহে যদি কোনো মানুষ বা বুদ্ধিমান প্রানি থাকে, তারা তাদের নিজেদের সূর্য ছাড়া কোনো নক্ষত্র বা তারা দেখতে পাবে না। তারা মনে করবে, এই মহাবিশ্বে আর কোনো কিছুর কোনো অস্তিত্ব নেই। শুধু তারাই এই মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত।





আর আমাদের মহাবিশ্ব যদি সমতল হয়, তাহলেও এর শেষ পরিনতি খোলা মহাবিশ্বের মতই হবে। মানে, উভয় ক্ষেত্রেই মহাবিশ্বের আয়তন অসীম হবে আর চিরতরে সম্প্রসারিত হতে থাকবে। খোলা আর সমতল মহাবিশ্বের মধ্যে পার্থক্য হলো মহাশুন্যের জ্যামিতিক প্রকৃতি বা মহাশুন্যের বক্রতা।
আইনস্টাইনসহ তার সমসাময়িক বিজ্ঞানীরা ভাবতেন, মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল নয়, স্থীর এবং চিরকাল এরকমই ছিল ও থাকবে। তাই, তিনি তার জেনারেল রিলেটিভিটির সূত্রে একটা ধ্রুবক যোগ করেন। কিন্তু, পরে যখন হাবল মহাবিশ্বের সম্প্রসারণশীলতার প্রমান দেন, তখন আইনস্টাইন সেই ধ্রুবক তার সূত্র থেকে বাদ দেন এবং একে তার সবচেয়ে বড় ভুল (Biggest blunder) বলে আখ্যায়িত করেন। কিন্তু, পরে আইনস্টাইনের এই ধ্রুবককে আবার ফিরিয়ে আনতে হয়। সেই গল্পে পরে আসছি।
বিজ্ঞানীরা দেখলেন মহাবিশ্বে যে পরিমান পদার্থ দৃশ্যমান, তাতে কিছু অসামঞ্জস্য আছে। বিজ্ঞানী জুইকি ১৯৩৩ সালে কোমা ক্লাস্টারের গ্যালাক্সিগুলোর পারস্পারিক গতি নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণ করেন। নিউটনের গতির সূত্র ব্যবহার করে তিনি দেখলেন যে গ্যালাক্সিগুলো এতো বেশি গতিশীল যে তারা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্লাস্টার ভেঙ্গে পড়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। এর কারন খুজতে গিয়ে তিনি দেখলেন, ক্লাস্টারের ভর ক্লাস্টারের ভেতরের সমস্ত গ্রহ-নক্ষত্র, গ্যাস, যেকোনো ধরনের পদার্থের ভরের সমস্টির চেয়ে একশ গুন বেশি! অতিরিক্ত এই ভরের কারন হিসেবে তিনি ‘ডার্ক ম্যাটার’ আবিস্কার করলেন। যদিও অনেক বিজ্ঞানী সেসময় মনে করতেন, এর অন্যকোনো সহজ ব্যাখ্যা থাকতে পারে।
বিজ্ঞানী টনি টাইসন ও তার সহকর্মীরা পাঁচ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে CL0024+1654 নামক নক্ষত্রপুঞ্জ পর্যবেক্ষণ করছিলেন।


এই চিত্র থেকে এই নক্ষত্রপুঞ্জের প্রকৃতি (mass distribution)/ ভরের বন্টন বের করা একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। এটা করতে গিয়ে টাইসন ও তার সহকর্মীরা একটি কম্পিউটার মডেল দাড় করালেন এমনভাবে যা ঠিক এই নক্ষত্রপুঞ্জের চিত্রকেই প্রতিফলিত করে। প্রতিটি আলোকরশ্মি এর উৎপত্তিস্থল পাঁচ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূর থেকে কিভাবে আসলে এমন চিত্র দাঁড়ায়, এসব অত্যন্ত নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করে তারা তাদের মডেল দাঁড় করালেন। টাইসন ও তার সহকর্মীরা যে কম্পিউটার মডেল পেলেন, সেখানে এই নক্ষত্রপুঞ্জের কোথায় কোথায় বিভিন্ন ভর ছড়িয়ে আছে, তার নিখুত চিত্র পেলেন।


চিত্রটিতে কোনো অসামঞ্জস্য আছে বলে মনে হলো তাদের। কারন, চিত্রের প্রতিটি স্পাইক/চূড়া এক একটা গ্যালাক্সির অবস্থান বোঝায়। কিন্তু, বেশিরভাগ ভরের অবস্থান দেখা যাচ্ছে গ্যালাক্সিগুলোর ফাঁকে ফাঁকে, যেখানে নিকষ কালো আধার ছাড়া আর কিছুই নেই। গ্যালাক্সিগুলোতে যতো ভরের পদার্থ আছে, তার চেয়ে চল্লিশগুণেরও বেশি ভরের অবস্থান দেখা যাচ্ছে গ্যালাক্সিগুলোর ফাঁকের সেই অন্ধকার স্থানগুলোতে! তো এই ডার্ক ম্যাটার গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যে আটকা পড়ে নেইই, বরং নক্ষত্রপুঞ্জের ঘনত্বের জন্যও দায়ী।
মহাবিশ্বে ভরের পরিমান থেকে বিজ্ঞানীরা বুঝলেন যে এটা বদ্ধ প্রকৃতির মহাবিশ্ব নয়। কিন্তু, এটা সমতল নাকি খোলা প্রকৃতির মহাবিশ্ব এটা বের করার জন্য আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। ১৯৯৭ সালে এন্টার্কটিকায় একটি পরীক্ষা চালানো হয়, যা BOOMERANG (Ballon Observations of Millimetric Extragalactic Radiation and Geophysics) নামে পরিচিত। একটা বেলুনে মাইক্রোওয়েভ রেডিওমিটার যুক্ত করে আকাশে ছেড়ে দেয়া হয়। মেরুর বাতাসের সাহায্যে এটি সারা বিশ্ব ঘুরে আবার ফিরে আসে। দক্ষিন মেরুতে এটা করা খুব সহজ, কারন শুধু বৃত্তাকারে খুব উচুতে ঘুরলেই সারা পৃথিবী ঘোরা হয়। এই পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল মহাকাশের মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশনের ছবি তোলা যা পরমশুন্য তাপমাত্রার মাত্র তিন ডিগ্রি উপরে। মহাকাশের যে ছবি পাওয়া গেল, তাকে বদ্ধ, খোলা ও সমতল বক্রতার মহাবিশ্বের কম্পিউটার মডেলের সাথে তুলনা করে দেখা গেল যে, আমাদের এই মহাবিশ্বের বক্রতা সমতল প্রকৃতির।


ডার্ক ম্যাটারের প্রকৃতি, পরিমান ইত্যাদি নির্ণয়ের জন্য বিজ্ঞানীরা নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালালেন। যে ফলাফল পেলেন, তার জন্যও তারা প্রস্তুত ছিলেন না। দেখা গেল যে, সমতল প্রকৃতির মহাবিশ্বের জন্য যে পরিমান ভরের দরকার এই মহাবিশ্বে, সমস্ত গ্যালাক্সি ও তার আশে-পাশের যত পদার্থ আছে, যতো ডার্ক ম্যাটার আছে, তাদের সমস্ত ভর সমতল মহাবিশ্বের ভরের মাত্র ত্রিশভাগ। এর মধ্যে প্রায় পঁচিশ ভাগ ভর ডার্ক ম্যাটারের, বাকি প্রায় পাঁচভাগ ভর সকল দৃশ্যমান পদার্থের। এই মহাবিশ্বের চিরসম্প্রসারনশীলতা ব্যাখ্যার জন্য তাই আইনস্টাইনের সেই ধ্রুবককে আবার হিসেবের মধ্যে আনতে হয়। তাহলে বাকি শক্তি বা ভরের জন্য কি দায়ী?
বাকি শক্তির জন্য শূন্যস্থানই দায়ী! যদি কোনো স্থান থেকে সবকিছু, সবধরনের কনিকা, রেডিয়েশন সবকিছু সরিয়ে নেয়া হয়, তাহলে তার যে ভর বা শক্তি হবে, তাই আইনস্টাইনের এই ধ্রুবকের জন্য দায়ী। অর্থাৎ দৃশ্যমান পদার্থ ও ডার্ক ম্যাটার ছাড়া বাকি ৭০-৭৫ ভাগ শক্তি রয়েছে শুন্যস্থানের মধ্যে যার কারনে আমাদের এই মহাবিশ্ব চিরসম্প্রসারনশীল।
এই শুন্যস্থান হতে কিভাবে সবকিছুর সৃষ্টি হলো সে গল্প আরেকদিন করব (যদি সময়/ সুযোগ পাই!)। বিজ্ঞানীরা বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর অংক কসার পর একটা মোটামুটি তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন কিভাবে কোয়ান্টাম ফ্ল্যাকচুয়েশনের মাধ্যমে সবকিছুর সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে সমাজে কিছু ইসলামী পন্ডিত দেখা যায়, যারা দাবি করেন এই তথ্য পবিত্র কোরানে আছে। রেফারেন্স হিসেবে তারা সাধারনত সুরা বাকারার ১১৭ নম্বর আয়াতের কথা উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রনালয়ের ওয়েব সাইটে দেখলাম সেখানে এই সুরার ১১৭ নম্বর আয়াতের যে অনুবাদ করা আছে, সেখানে শুন্য হতে পদার্থের সৃষ্টির কথা বলা নাই। আয়াতটি আমি ইংরেজি ও বাংলায় তুলে দিচ্ছি-
To him is due the primal origin of the heavens and the earth: when he decrees a matter, He says to it: “Be”, and it is.
আল্লাহ আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর স্রস্টা এবং যখন তিনি কোন কিছু করিতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন, ‘হও’, আর উহা হইয়া যায়।
www.quranmiracles.com নামক এক ইসলামিক ওয়েব সাইটে দেখলাম এই অনুবাদ একটু ভিন্নভাবে করা। সেটা হলো-
Creator of the heavens and the earth from nothingness, He has only to say when He wills a thing, “Be,” and it is.
আবার বিখ্যাত ইসলামিক চিন্তাবিদ ও ব্লগার হারুন ইয়াহিয়ার ওয়েব সাইটে লেখা-
The Originator of the heavens and Earth. When He decides on something, He just says to it, 'Be!' and it is
Link- Click This Link
মানে এখানেও শুন্য থেকে সবকিছুর বা কোনোকিছুর সৃষ্টির কথা লেখা নেই। তারমানে একটি আয়াতের অর্থ খুব সহজেই পরিবর্তন করা যায়। আমার বক্তব্য হলো, যেকোনো আবিষ্কার বা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের উল্লেখ পবিত্র কোরানে আছে, কোরান একটি বিজ্ঞানময় কিতাব এসব বলে কোরান ও ইসলামকে অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে শুধু হাস্যকর করা যায়, কোরানের সত্যতা প্রমান করা যায় না। তাই ধর্ম ও বিজ্ঞান আলাদাভাবে চর্চা করতে পারলে ভালো, না হয় যেকোনো একটি নিয়েই থাকা উচিত। ধর্ম দিয়ে বিজ্ঞান বা বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব না।

তথ্যসুত্রঃ
1. A universe from nothing- Lawrence Krauss
2. Click This Link
3. Click This Link
4. Wikipedia
5. http://www.quran.gov.bd
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৮
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার শিশুদের উদ্দেশ্যে - আমরা তোমাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


তোমরা এসেছিলে মাথার উপর বোমা পড়ার ভয়ার্ত গল্প নিয়ে। যে বোমা তোমাদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, লোকালয় ধ্বংস করেছে। আমরা কান বন্ধ করে উদাসীন হয়ে বসে ছিলাম। তোমরা এসেছিলে ছররা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবিতে গণতন্ত্রের নামে মবতন্ত্র

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১০



তথাকথিত গণতন্ত্রকামীদের পীর আল্লামা পিনাকী এবং ছোট হুজুর ইলিয়াস মোল্লার উস্কানীতে দেশজুড়ে চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মবতন্ত্র। আল্লামা পিংকুর যুক্তি হচ্ছে- যে বা যারাই তাদের (গণতন্ত্রকামীদের) সূরে কথা না... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×