somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পারিবারিক অশান্তিতে অনিশ্চিত ভবিষ্যত: কে দায়ী?

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নূরুজ্জামান: ১৩ মাস বয়সী জান্নাতুল ইসলাম আদুরী। মা খুন হয়েছেন বাবার হাতে। সে অপরাধে বাবা আলী হোসেন কারাগারে। দু’জনের আদর বঞ্চিত আদুরীর মেজাজ এখন খিটখিটে। ভুগছে মানসিক ভারসাম্যহীনতায়।
সারা দিন সারা রাত শুধু কান্নাকাটি করছে। কোন খাবার মুখে তুলছে না। তার কাছে যে ভিড়ছে তাকেই খামচে ধরছে। কারও ভালবাসাই তার ভাল লাগছে না। এ অবস্থায় দিশাহারা আদুরীর জীবিত স্বজনরা। একই সমস্যায় ভুগছেন তিন বছর ৮ মাস বয়সী আকসারা হাওলাদার রিমের নানা ও নানী। রিমের সামনেই ঘাতকরা খুন করে তার বাবা হারুন-উর রশীদকে। মা রুমা আক্তার ও কথিত প্রেমিক মাসুদ রানার যোগসাজশে রিমের বাবা খুন হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে গত ৮ মাস ধরে তার মা রয়েছে কারাগারে। এ শিশুটিও প্রতিদিন মাকে দেখার জন্য আবদার করে। বাবাকে খোঁজ করে। না পেয়ে শুধু কান্নাকাটি করে। ঘুমের ঘোরে চিৎকার করে ওঠে। এমন অভিশপ্ত নিয়তি জুটেছে শিশু অন্তর (৫) ও সেতু (১৩)-র জীবনেও। আপন চাচার হাতে তাদের মা মরিয়ম আক্তার খুন হয়েছেন। ছাদের ওপর মায়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ তারাই প্রথম দেখেছে। ফলে তারাও অস্বাভাবিক আচরণ করছে মামার বাড়িতে। ঠিক একই ভাবে রাজধানীতে অসংখ্য শিশু এমন অসুস্থ মানসিকতায় বেড়ে উঠছে। কোন শিশুর মা তার বাবাকে খুন করে জেলে আছে। কোন শিশুর বাবা তার মাকে হত্যা করে হাজতবাসী। অনেক শিশু দু’জনকেই চিরতরে হারিয়ে অনিরাপদ পরিবেশে বেড়ে উঠছে। সামপ্রতিক রাজধানীর এ চিত্র ভয়াবহ। অর্থের লোভ, পরকীয়া, অসম প্রেম, লিভ টুগেদার, বেকারত্ব, মাদক ও যৌতুকের কুপ্রভাব অনবরত হানা দিচ্ছে নগর জীবনে। এতে ঝরে পড়ছে অসংখ্য জীবন। ভেঙে যাচ্ছে সম্পর্ক। শিথিল হচ্ছে পারিবারিক বন্ধন। পুলিশের মাসিক হিসাব মতে গত তিন মাসে এসব কারণে রাজধানীতে খুন হয়েছে ৬০ জন। আত্মহত্যা করেছে শতাধিক নারী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিচারপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নাগরিক জীবন ও পারিবারিক জীবন থেকে মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ হারিয়ে গেছে। হতাশা, সন্দেহ ও লোভের মতো নানা কুবৃত্তি জেগে উঠছে। বেকারত্বের অভিশাপ থেকে তৈরি হচ্ছে হতাশা। হতাশা ও অশান্তি থেকে বাঁচার জন্য তরুণ-তরুণীরা ঝুঁকে পড়ছে মরণনেশায়। এসব মাদকাসক্তদের হাতেই ইভ টিজিং ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে নারীরা। তাদের হাতেই লুণ্ঠিত হচ্ছে একটি পরিবারের সুখ-শান্তি। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত জুলাই মাসে মোট ৫১ জন নারী ও মেয়ে শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নারী অধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানান, খুনের শিকার ও ধর্ষিতার পরিবারগুলো অসহায়। সামাজিক ও পারিবারিক দু’দিক থেকেই এসব পরিবারের শিশু ও সদস্যরা মানসিক নির্যাতনের মধ্যে বাস করছেন। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছে না অনেক মেয়ে শিশু ও তার পরিবার। অধিকারের রিপোর্টে গত জুলাই মাসে ৩৮ জন নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। ৮ জন বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ সময়ে ৪ জন নারী যৌতুকের কারণে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। যৌতুক সংক্রান্ত কলহের জের ধরে ২ জন পিতা তাদের ৩ সন্তানকে হত্যা করেছে। ১ জন নারী তার সন্তানকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া গত জুলাই মাসে ১৩ জন এসিডদগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ। যৌতুকলোভী ও প্রেম প্রত্যাখ্যাত মাদকাসক্তদের হাতে তারা এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। শুধু তাই নয় পরিবারগুলোও নানা হুমকির মুখে পড়েছে। মনোবিজ্ঞানী ড. হামিদা আক্তার বেগম বলেন, মা-বাবার নানা অপরাধে বাচ্চারাও নিজেদের অপরাধী মনে করে। এতে সহজভাবে মিশতে পারে না সমবয়সী ছেলেমেয়ে ও মানুষের সঙ্গে। খেলাধুলা করতে পারে না স্বাভাবিকভাবে। এ অবস্থায় তাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা সম্ভব হয় না। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্যেও পারিবারিক অশান্তি ও শিশু অবহেলার ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যায়। মহিলা পরিষদের হিসাব মতে গত ৬ মাসে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, আত্মহত্যার প্ররোচনা, খোঁজখবর না নিয়ে ভরণপোষণ না দেয়ার কারণে ১৭৭ জন নারী সরাসরি মহিলা পরিষদে অভিযোগ করেছেন। পারিবারিক অশান্তি সমাধানের জন্য আইনগত পরামর্শ চেয়েছেন ৪১ জন নারী। এছাড়া পারিবারিক শান্তির জন্য ৫৯টি পরিবারের সালিশ করেছে পরিষদ। তবে মহিলা পরিষদের একাধিক কর্মকর্তা জানান, নির্যাতিত মহিলাদের বেশির ভাগই কোন অভিযোগ দিতে উৎসাহ পায় না। বেশির ভাগ নারী শত নির্যাতন সহ্য করেও স্বামীর বিরুদ্ধে যেতে চায় না। সংসার ভেঙে গেলেই বেশির ভাগ মহিলা আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন। তার আগে ছোটখাটো সমস্যা নিজেরাই মীমাংসার চেষ্টা চালান। অনেকে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এ রাজধানীতে প্রতিদিনই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে খুনের ঘটনা।
গত ২৬শে জুলাই রাজধানীর পূর্ব গোড়ানের ২১ নম্বর তালুকদার বাড়িতে শিশুপুত্র আদুরীর সামনেই আলী হোসেন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মা কনিকা আক্তারকে। নানী নাছিমা আক্তার ও খালা ইতি বলেন, আদুরীর সামনেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আর হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আদুরী নানা অসংলগ্ন আচরণ করছে। কেউ তার গাল টিপে আদর করতে গেলে তাকে খামচে ধরে। চিৎকার শুরু করে। সংসারের টুকটাক বিষয় নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে মনোমালিন্য হয় আলী হোসেনের। পারিবারিক কলহ ও নানা অবিশ্বাসের কারণে প্রায়ই মাঝে মধ্যেই স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করতো। এরই এক পর্যায়ে স্ত্রী কনিকা আক্তারকে হত্যা করে আলী হোসেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে গত ১৯শে ডিসেম্বর দক্ষিণ দনিয়ার শাহজালালবাগে রিম ও মিম নামে দু’কন্যা সন্তান ও তাদের মা রুমা আক্তারের গলায় ছুরি ধরে ঘাতকরা গুলি করে হত্যা করে মিম-রিমের বাবা হারুন-উর রশীদকে। হারুন-উর রশীদের ছোট ভাই সেলিম হাওলাদার ভাইয়ের খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে তার ভাবী রুমা আক্তার ও ভাবীর কথিত প্রেমিক মাসুদ রানাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। এ অভিযোগে রুমা আক্তার গত ৮ মাস ধরে জেলে। রুমার ভাই রাজু বলেন, মিথ্যা অভিযোগে তার বোনকে বেআইনিভাবে কারাগারে রাখা হয়েছে। মামলার ১ নম্বর আসামি জামিনে বের হলেও তার বোন জামিন পাচ্ছে না। এ অবস্থায় রুমার পরিবারসহ তার দু’মেয়ে রিম ও মিম নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রুমার বাবা আবদুল মান্নান বলেন, নাতনি দু’টো মা-বাবার আদর বঞ্চিত হয়ে কেমন যেন হয়ে গেছে। দু’জনেই ঘুমের ঘোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। পড়তে পড়তেই হঠাৎ ফুপিয়ে কেঁদে ওঠে মিম। রুমার ভাই রাজু বলেন, ৮ মাস ধরে মাকে দেখে না রিম। জেলখানাতে হাত দিয়ে স্পর্শ করে আদর করার নিয়ম নেই। তাই বোনের অনুরোধে ছোট মেয়ে রিমকে কখনও জেলখানাতে মায়ের কাছে নেয়নি তারা। মিম বলে, আগে স্বপ্ন দেখতাম ডাক্তার হবো। রিমকে নিয়ে বাবা ইঞ্জিনিয়ারর স্বপ্ন দেখতেন। বাবা-মাকে কখনও ঝগড়া করতে দেখি নেই। অথচ আমাদের সামনেই সন্ত্রাসীরা বাবাকে হত্যা করে মায়ের নামে নানা কুৎসা রটিয়ে দিলো। মাকে বাবার লাশের দাফনও দেখতে দিলো না। হাসপাতাল থেকেই মাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। এক মুহূর্তেই পরিবারের সব স্বপ্ন তছনছ হয়ে গেল। গত ৮ মাসে চাচা ও ফুপা-ফুপুর কেউ আমাদের দেখতে এসনি। সংশ্লিষ্টরা জানান, হারুন-উর রশীদের অতিরিক্ত স্ত্রী ভক্তি দেখে রুমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আগে থেকেই নাখোশ ছিল। এছাড়া রশীদের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে জমিজমা ও ব্যবসায়িক দোকান নিয়ে ঝামেলা ছিল রশীদের। পরে রহস্যজনক খুন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রুমার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হয়। তবে গত ৮ মাসেও থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ সে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়নি। একই ভাবে মা-বাবাহীন দিন কাটাচ্ছেন অন্তর (৫) ও সেতু। ১৮ জুলাই রাজধানী খিলগাঁও থানাধীন পূর্ব বাসাবোর ৭৯/৩ নম্বর বাড়িতে ঘাতক দেবর রিপনের হাতে খুন হন তার ভাবী মরিয়ম আক্তার। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়। মাকে হারিয়ে স্বাভাবিক জীবনের ছন্দপতন ঘটেছে অবুঝ দু’শিশুর। ৫ বছরের সেতু ও ৯ বছরের অন্তর এখন মামা মফিজুর রহমানের আশ্রয়ে রয়েছে। স্বামীর পরকীয়া ও পারিবারিক কলহের জের ধরে ৯ই জুন রাজধানী জুরাইনের আলমবাগে ঘুমের ওষুধ খেয়ে মা ফারজানা কবির রিতা ও তার দু’সন্তান পাবন ও পায়েল নির্মম আত্মহত্যার শিকার হন। এ ঘটনায় সাংবাদিক শফিকুল কবির ও তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের ৯ সদস্য এখন কারাগারে। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর শফিকুল কবির জানিয়েছিলেন, একটি আত্মহত্যার ঘটনায় বিপর্যস্ত তার পুরো পরিবার। মাটিতে মিশে গেছে সারাজীবনের অর্জিত পারিবারিক ও সামাজিক সুনাম। এদিকে রাজধানীর আদাবরে আরেক অসম ও অসামাজিক প্রেমের বলি হয়েছে নিষ্পাপ শিশুপুত্র সামিউল। মা আয়েশার ঘাতক প্রেমিক নৃশংসভাবে সামিউলকে খুন করে বস্তায় ভরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এতে তিনটি পরিবারে অশান্তি নেমে আসে। ঠিক একই ভাবে পরকীয়ায় সর্বস্বান্ত হয়ে গত ২০শে ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেন কবি সুমনা মেহেরুন। মায়ের ভালবাসা ও স্নেহের পরশ ছাড়াই এক অস্বাভাবিক পরিবেশে বাস করছে তার দু’টি সন্তান। জাবির আল আব্বাস ও তিন বছরের এক কন্যা সন্তান লেখাপড়া বন্ধ করে নানা রোগশোকে ভুগছে। প্রেমের সম্পর্কের দাবি করে রাজধানী মধ্য পাইকপাড়ায় কলেজ ছাত্রী মেনকাকে খুন করে তার দূরসম্পর্কের ঘাতক মামা। টাকার লোভে ভয়ঙ্কর বন্ধুর ছুরিকাঘাতে জখম হন কলেজছাত্রী বর্ষা। গুলশানের কালাচাঁদপুরে মাদক সেবক ও ব্যবসায়ী রুবেল ও তার সহযোগীদের হাতে নির্মম খুনের শিকার হন নার্সারি ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান ও তার স্ত্রী। ছোট মেয়ে ইতির বিবাহের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার সঙ্গে তার বাবা-মাকে এক সঙ্গে খুন করে। নিহত দম্পতির বড় ছেলে শিহাব জানান, বখাটে রুবেলের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেও পরে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। সামাজিক মান-সম্মানের ভয়েই তার বাবা সাদেকুর রহমান অভিযোগ তুলে নেয়। কিন্তু সেই বখাটের হাতেই তার বাবা-মা এক সঙ্গে খুন হন। বর্তমানে তারা তিন ভাই-বোন আশ্রয়হীন হয়ে স্বজনদের বাসায় বন্দিজীবন পার করছেন। সমপ্রতি একইভাবে জীবন প্রদীপ নিভে গেছে আলেয়া, পিংকি, ইলোরার। গত ২৬শে মে রাজধানী পল্লবীর ৬ নম্বর সেকশনের ৩৮ নম্বর বাড়ির সামনে স্থানীয় বখাটে খোকন, বিল্লাল ও রনি প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে আলেয়ার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে ৫ দিন লড়ে অবশেষে আলেয়ার মৃত্যু হয়। পারিবারিক অশান্তি ও সন্দেহের বশে গত শনিবার মিরপুরের মণিপুরে যৌতকু লোভী ও পরকীয়ায় আসক্ত রিফাত হোসেন সুমন তার স্ত্রী নার্গিসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ পূর্বমণিপুরের ১০৪২ নম্বর তেতলার বাসার নিচতলার গ্যারেজে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এদিকে অনেক উচ্চ শিক্ষিত ও বিসিএস ক্যাডারদের কাছেও নারীর জীবনও সম্ভ্রম অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সরকারি কলেজের প্রভাষক এসরাজুল আলম যৌতুকের নেশায় পিটিয়েছেন স্ত্রী গাজী কুলসুমকে। এ নির্যাতনের প্রতিকার না পেয়ে গত ৯ই জুলাই ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। এতে ওই পরিবারের সব স্বপ্নই ভেঙে গেছে। ২১শে এপ্রিল রাজধানী মোহাম্মদপুরে ধনীর দুলালী বর্ষার সঙ্গে প্রেম করার অপরাধে কিশোর রাসেলকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রেমিকার চাচারা। পরে প্রভাবশালী ওই চাচাদের বিরুদ্ধে মামলা করে রাসেলের পরিবারের সব সদস্যই প্রতিদিন মখোমুখি হচ্ছে নানা হুমকির। প্রভাবশালী লাট মিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করে নিহত রাসেলের পুরো পরিবার তছনছ হয়ে গেছে। বিচার না পেয়ে উল্টো নিহতের বাবা-মা ভাই-বোন সন্ত্রাসীদের প্রাণনাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী কমিশনার (ক্রাইম) হাসনাত নাজমুল আলম বলেন, জায়গাভেদে অপরাধের ধরন ও মাত্রা ভিন্ন হয়। পারিবারিক হৃদ্যতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি অশ্রদ্ধার কারণে নাগরিক জীবনে অশান্তি বাড়ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ড. হামিদা আক্তার বেগম বলেন, রাষ্ট্র থেকে পরিবার সবক্ষেত্রেই অশান্তি বিরাজ করছে। লোভ, হতাশা, মাদক, অবিচার ও অসহিষ্ণু মনোভাব কেড়ে নিচ্ছে পারিবারিক শান্তি। জন্ম দিচ্ছে নানা অশান্তি।

সূএ: Click This Link
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×