somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ইসকনের প্রভুপাদের কিছু বিখ্যাত(!) উক্তি: কতটুকু স্টুপিডিটি টলারেট করতে পারবেন তার পরীক্ষা হয়ে যাক আজই!

৩০ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(১) ইসকনের ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত হয়েছে "জীবন আসে জীবন থেকে" এবং "কৃষ্ণভক্তি সর্বোত্তম বিজ্ঞান" গ্রন্থ দুটি। এই ২টা বই পাঠ করলে দেখা যায় ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য স্বামী প্রভুপাদ তাঁর শিষ্যদের ভাষায়, বর্তমানকালের বিজ্ঞানের দর্শন হচ্ছে ‘কূপমণ্ডূক দর্শন’, বিজ্ঞানীরা মহামূর্খ, নির্বোধ, ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর করা কতগুলি কুয়োর ব্যাঙ, বিকৃত মস্তিষ্কধারী, কুকুর, শূকর, উট, গাধার থেকে কোনো অংশে উন্নত নয়। বিজ্ঞানীরা বামন হয়ে চাঁদে হাত দিতে চাচ্ছে।

(২) অভয় চরণ এবং শিষ্যদের মারাত্মক অভিযোগ আধুনিক বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানীরা কেন ভগবানের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না? কেন ভগবানকে নিয়ে গবেষণা করেন না, আত্মার অস্তিত্ব মেনে নেন না, বেদ-গীতার বক্তব্যে আস্থা রাখেন না, বেদ-গীতাসহ অন্যান্য হিন্দুধর্মীয় পুস্তককে কেন বিজ্ঞানের গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন না?

(৩) "জীবন আসে জীবন থেকে" বইয়ের ১৪-১৫ পৃষ্ঠায় বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও মর্যাদাপূর্ণ নোবেল পুরস্কার সম্পর্কে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে এটা হচ্ছে ‘গর্দভের নোবেল পুরস্কার’। নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীরা হচ্ছেন একেকজন বিকৃত মস্তিষ্কধারী, কুকুর, শূকর, গাধা। আর নোবেল কমিটির সদস্যরা পশুর থেকে উন্নত নয়, এক নম্বরের মূর্খ।

অভয়বাবু ‘নোবেল পুরস্কার’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এভাবে, “একটি পশু আর একটি পশুর স্তব করছে, এতে কি কৃতিত্ব রয়েছে?...”

আবার "কৃষ্ণভক্তি সর্বোত্তম বিজ্ঞান" বইয়ের (পৃষ্ঠা ৫৬-৫৯) "নোবেল পুরস্কার" নিয়ে একই বক্তব্য রয়েছে : ‘মূর্খদের জন্য নোবেল পুরস্কার।’ অথচ সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে, (নোবেল পুরস্কার নিয়ে এতো কুৎসিৎ গালাগালির পরেও) শ্রীল অভয় চরণাবিন্দ ও তার শিষ্যরা অনুসারীরা "লাজলজ্জার মাথা খেয়ে" দাবি জানিয়েছেন, ‘ভগবানকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হোক’!

এমন কী ইসকনের গুরু শ্রীল অভয় চরণাবিন্দ প্রভুপাদকে নোবেল দেয়ার দাবি তুলেছে তার শিষ্যরা। (দ্রষ্টব্য : "কৃষ্ণভক্তি সর্বোত্তম বিজ্ঞান", পৃষ্ঠা ১৮৭, ১৮৯)।

(৪) "জীবন আসে জীবন থেকে" বইয়ের পৃষ্ঠা ৪-এ শ্রীল অভয় চরণাবিন্দ বলেন : “সমস্ত জড় বস্তুই হচ্ছে পাঁচটি স্থূল পদার্থ (মাটি, জল, আগুন, বায়ু এবং আকাশ) এবং তিনটি সূক্ষ্ম পদার্থ (মন, বুদ্ধি এবং অহংকার)-এর সমন্বয়”। এরপর তার শিষ্য করন্ধর বলেন : “বৈদিক জ্ঞান অনুসারে জড়শক্তির প্রথম প্রকাশ হচ্ছে অহংকার। তারপরে তা বুদ্ধিতে পর্যবসিত হয়, তারপরে মনে এবং তারপর আকাশ, বায়ু, আগুন, জল এবং মাটি এই স্থূল উপাদানগুলিতে রূপান্তরিত হয়। এই সবকটি মৌলিক উপাদান দিয়েই জড় জগতের সৃষ্টি হয়েছে...।”

বিশ্বপ্রকৃতির গঠন-কাঠামো জানতে আমাদের পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞানের দ্বারস্থ হতে হয়। অধাত্মবাদী বা ভাববাদীদের ব্যবহৃত ভাষা-পরিভাষা থেকে কোনো বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় না। বিশ্লেষণী জ্ঞানও আহরিত হয় না। গোঁজামিল আর ধোঁয়াসার সৃষ্টি হয়।

তাই এ আলোচনায় আমাদেরকে বিজ্ঞানের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। বিজ্ঞানের আলোয় দেখতে চাচ্ছি ইসকনের বৈদিক জ্ঞানের রূপ।

মৌলিক পদার্থের সংজ্ঞা কী? কিংবা যৌগিক পদার্থ কাকে বলে? যারা জানেন না, কোনগুলো মৌলিক পদার্থ, কোনগুলো যৌগিক পদার্থ, বস্তু এবং শক্তির গঠন-ধর্ম নিয়ে যাদের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণীর পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞানের জ্ঞানের অভাব দেখা যায়, তাঁরাই নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীদের সবক দিচ্ছেন।

এজন্যই হয়তো কবি জীবনানন্দ দাশ বলে গেছেন :

“অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা”


তথ্যসূত্র: যুক্তি

Click This Link

পরিশিষ্ট: আমাদের আমিনীও বোধহয় এই পাদের চেয়ে অনেক ভাল পজিশনে রয়েছে।:D
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০২
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×