আমি তখন ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ি। কাশিনগর উচ্চ বিদ্যালয়, চৌদ্দ গ্রাম উপজেলায়। প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল আমি ছিলাম ক্লাশে সবার থেকে ছোট। তাই আমার চেয়ে বড় সবাইকে ভাই ডাকতাম। একদিন বৃহ¯প্রতিবার ক্লাস শেষে বড় ভাই (নামাটা এখন মনে নেই তবে ছালাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন কিংবা আলাউদ্দিন এই জাতীয় হবে) বললেন চল এক জায়গায় যাব, আমি জিজ্ঞেস করলাম কোথায় বলল বাজারে, সহজেই রাজি হয়ে গেলাম। যেতে যেতে জিজ্ঞেস করলাম কি জন্য যাচ্ছি? বললেন মিটিং হবে ছাত্র নেতারা আসবেন। আমি বললাম কোন দল বললেন ইসলামী ছাত্র শির্বি আমি বললাম আমিতো বিএনপি সমর্থন করি তিনি বললেন বিএনপিতো বড়দের দল আর ছাত্রশিবির হল ছাত্রদের জন্য ইসলামের দল এটা রাজনৈতিক দল না এখানে ইসলাম নিয়ে আলোচনা হয়, তার এই কথায় ভরসা পেলাম। যথা সময়ে উপস্থিত হয়ে তাদের কর্মকান্ড দেখি। প্রথমে তারা পরিচয় পর্ব শেষ করে নিজের নাম ক্লাশ বিদ্যালয়/ প্রতিষ্ঠানের নাম এবং দলের কোন পর্যায়ের নেতা এই সব, সেখানে কেহ সাথী, কেহ সাথী প্রার্থী, কেহ সদস্য কেহ সদস্য প্রার্থী আর বেশরি ভাগই কর্মী। আমি যেহেতু নতুন এবং প্রথম তাই আমার পরিচয় সমর্থক হিসাবে ছিল। মিটিং শেষে আমাকে কর্মী বানানো হল এবং একটি ফর্ম দেওয়া হল সেখানে নামাজ, হাদিস, কোরআনের আয়াত এই সব কি পরিমানে দৈনিক পড়া হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে, আমি তো মহাখুশী আমাকে আবু আলা মওদুদী নামাক এক লেখকের কিছু বই দেওয়া হল পড়ে ফেরত দিতে হবে। প্রথম দুই তিন দিন ফর্ম পূরনের চেষ্টা করলাম কিন্তু হচ্ছে না কারন ৫ ওয়াক্ত নামাজ সময় মত পড়া হয়না, তাছাড়া হাদীস কোথায় পাব ইত্যাদী নানান সমস্যা। ছুটে গেলাম বড় ভাইয়ের কাছে তিনি বললেন সমস্যা নাই তুমি সব ঠিক মত লিখে দাও আর হাদীস পাঠের অংশে তোমাকে যে বই দেওয়া হয়েছে তাই পড় সেটাই হাদীস, হাদীস অর্থ খবর তাই এ বই তো খবরই। ছোট মানুষ ঠিকমত না বুঝলেও এটা বুঝে গেছি যে মিথ্যা এখন কাগজে কলমে শিখতে হবে। মা বাবা আর ছোট বেলার মৌলভী সাহেবের কাছে শিখা ইসলামের কথার সাথে মওদুদীর বইয়ের লেখা ইসলামের মধ্যে বিরাট ফারাক তাই তাদের অনেকগুলো বই পড়লাম, প্রতি সপ্তায় বই জমা দিয়ে নতুন বই নিতে লাগলাম, নামাজ আগে যে ২/১ বার পড়তাম তাও বাদ দিলাম কোন সমস্যা নাই ফর্মে লিখা আছে পাঁচ ওয়াক্ত পড়া হচ্ছে তারাও আমার উপর খুব খুশী, চাদা পর্যন্ত দিতাম ২ টাকা করে (মাসিক নাকি সপ্তাহিক এখন মনে নেই)। একদিন মা দিল প্যাদানী, নামাজ নাই খালি বই পইড়া কি লাভ? ব্যাস শেষ হল তাদের সাথে যোগাযোগ। তবে ৭/৮ মাস তাদের সাথে থেকে অনেক কিছুই শিখেছি, জিহাদে কিভাবে আত্মরক্ষা করতে হবে, মিথ্যা কথা বলার ট্রেনিংতো প্রথম দিনেই পেয়েছি। রাজনীতি না বুঝলেও একটা জিনিষ বুঝেছিলাম শিবির কোন অবস্থাতেই ইসলামের দল নয়। আমি যখন কাশিনগর থেকে চলে আসি তখন মুওদুদীর ৫/৬ টি বই আমার হেফাজতে ছিল এই বইগলো আমি আমার বাসার পাশে একটি মূচী বাড়ী ছিল তাদের ছোট ছেলাটাকে দিয়ে দিয়েছি কাগজের ঠোঙ্গা বানাতে।
আলোচিত ব্লগ
মায়ের নতুন বাড়ি
নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ
জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)
একদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।
একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?
ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন