ইসলাম শান্তির ধর্ম। জাহেলিয়াতের যুগে মানবতার মুক্তির সনদ নিয়ে মহান আল্লাহ তালা দুনিয়ার জমিনে নবীকুল শিরোমনী দোজাহনের বাদশাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) দুনিয়াতে প্রেরন করেন মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে ডাকতে। নবী করিম (সঃ) মহাস আল্লাহতালার নির্দেশ মোতাবেক মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান করেন, এক আল্লাহর ইবাদত করার জন্য বলেন এবং আল্লাহ এক অদ্বিতীয়, আল্লাহর কোন শরীক নেই কথা বিশ্ববাসীর কাছে প্রচার করেন। নবী করিম (সঃ) খুবই স্পষ্ট ভাষায় মানব জাতীকে বলেন তিনিই সর্বশেষ নবী এই দুনিয়াতে আর কোন নবী রাসুল এই দুনিয়াতে আগমন করবে না। কেয়ামত পর্যন্ত একমাত্র আল্লাহর বিধিবিধান হিসাবে পবিত্র কোরআন ও রাসুলের হাদীস ই বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে ৬ এপ্রিল ইসলাম হেফাজতের নামে কাফের মুশরিকদের দলের মহাসচীব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনাগরী মতিঝিলে ঘোষনা করেন হযরত ইব্রাহীম খলিল ও হযরত মুসা (আঃ) এর পর আল্লাহ তালা হক্বের জন্য আল্লামা আহমদ শফিকে প্রেরন করেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। তার এই কথার দ্বারা শাফিকে নবী হিসাবে দাবী করা হল যা কোরআন ও হাদীসের চরম অবমাননা এবং কোরআন কে অস্বীকার করার সামিল। ইসলামের দাওয়াত ও এর প্রচার প্রচারনা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তালা সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন তার মধ্যে কিছু আয়াতের বাংলা তর্জমা ধর্মপ্রান নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রেমীদের খেদমতে পেশ করিলাম ঃ
১ “যারা ধর্ম সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন কাজের দায়িত্ব তোমার নেই, তাদের বিষয় আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত” সুরা আনআম আয়াত নং ১৫৯।
২ “ধর্মে কোন জবর দস্তি নেই, সৎ পথ ভ্রান্তপথ থেকে সুষ্পষ্ট হয়েছে” সুরা বাকারা আয়াত নং ২৫৬।
৩ “ (ধর্ম সম্পর্কে) বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে আমিই (আল্লাহ) আপনার জন্য যথেষ্ট” সুরা হিজর আয়াত নং ৯৫।
৪ “ যদি তারা আত্মসমর্পন (আল্লাহর কাছে) করে তবে নিশ্চই তারা পথ পাবে, আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কাজ তো কেবল প্রচার করা, আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে সকল বান্দা” সুরা আল ইমরান আয়াত নং ২০।
৫ “ তারপর ওরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কর্তব্য তো শুধুমাত্র স্পষ্ট বাণী পৌছে দেয়া” সুরা নাহল আয়াত নং ৮২।
৬ “ তুমি মানুষকে হিকমত ও সৎ উপদেশ দিয়ে তোমার প্রতিপালকের (আল্লাহর) পথে ডাক এবং তাদের সাথে ভালভাবে আলোচনা কর, তার (আল্লাহর) পথ ছেড়ে যে বিপথে যায় তার সম্পর্কে আল্লাহই ভাল জানেন, আর যে সৎ পথে আছে তা-ও তিনিই ভাল করে জানেন” সুরা নাহল আয়াত নং ১২৫।
৭ “ তোমার কাজ তো কেবল প্রচার করা, আর হিসাব-নিকাশ তো আমার কাছে” সুরা রাদ আয়াত নং ৪০।
৮ “ আর তোমাদের এই যে জাতি (মানবজাতি), এ তো একই জাতি, আর আমিই (আল্লাহ) তোমাদের প্রতিপালক, তাই আমাকেই ভয় কর; কিন্তু তারা (মানুষ) নিজেদের বহু ভাগে বিভক্ত করেছে; প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট, সুতরাং ওদেরকে কিছু কালের জন্য বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও” সুরা মুমিনুল আয়াত ৫২-৫৪।
৯ “ আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারিত করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে.. তুমি ওদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক.. ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে তবে বল, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ ভাল করেই জানেন; তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিবেন” সুরা হজ আয়াত নং ৬৭-৬৯।
হেফাজতে ইসলাম নামে নব্য কাফেরের দল হত্যা লুন্ঠন নারী ধর্ষকদের বাচাঁতে মাঠে নেমেছ পবিত্র ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে। মহান আল্লাহ তালা পবিত্র কোরআনের সুরা হিজর এর এরশাদ করেন “ ইন্না- নাহনু নায্যাল্নায্ যিকরা অইন্না- লাহু লাহা-ফিজুন” অর্থাৎ আমি ইহা নাজিল করেছি এবং আমিই ইহা হেফাজত করিব। অথচ আল্লামা শাফি ও তার দলবল আল্লাহ তালার এই ঘোষনাকে না মেনে নিজেরাই হেফাজতের ঘোষনা দিয়ে নিজেদেরকে আল্লার সমকক্ষ হিসাবে দাবী করে যা সম্পূর্ন শিরক করা। এই ভন্ড ধর্ম ব্যবসায়ী প্রতারকের দল নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর দ্বীন ইসলামের বিলুপ্তী ঘটিয়ে বাংলাদেশে এক নতুন ধরনের ইসলাম কায়েম করতে ষড়যন্ত্র করছে। তারা তাদের বিভিন্ন বইয়ে নবী (সঃ) এর বিষয়ে দৃষ্ঠতাপূর্ন মন্তব্য করেছে যাহা পড়ে অন্য লিখায় আপনাদের খেদমতে পেশ করিব। পরিশেষে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে অবশ্যই এই সকল ভন্ড প্রতারকদের হাত থেকে ঈমান রক্ষা করে চলার তৌফিক দান করিবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব জানেন ও বুঝেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪২