এখানে একখানা খবর আছে:
চরম স্থবিরতায় ছাত্রশিবিরে সাংগঠনিক কর্মকান্ড স্থবির
গণপদত্যাগের হুকমিসহ নতুন নির্বাচনের চাপ বাড়ছে
দীনেশ দাস: কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন হওয়ার পর ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও সভাপতি-সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইসলামি ছাত্রশিবিরে এখনো চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর ফলে এ বৃহৎ ছাত্র সংগঠনটির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। গণপদত্যাগের হুকমিসহ নতুন নির্বাচনের চাপ বেড়েই চলেছে।
ছাত্রশিবিরের কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রুপের একজন প্রভাবশালী সদস্য এ প্রতিবেদকের কাছে আমাদের সময়ে এসে অভিযোগ করেছেন, ‘জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ এবং ঢাকা মহানগর আমির রফিকুল ইসলাম খানের নোংরা রাজনীতির কারণে ১৩৪ শহীদের রক্তে গড়া ছাত্রশিবির আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’। নাম প্রকাশ করলে তার মহাবিপদ হবে মিনতি করে এ ক্ষুব্ধ নেতা বলেন, এবার মুজাহিদ-রফিকুল উপস্থিত থেকে শিবির সদস্যদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটতে দেননি। তারা কৌশলে কমিটিতে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। এ ক্ষুব্ধ নেতা প্রশ্ন করেন, ‘এটা কী জামায়াতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নাকি মুজাহিদ-রফিকুলের হীন রাজনৈতিক চক্রান্ত এটাই আমাদের প্রশ্ন’।
এটা আজকের আমাদের সময়ে'র শেষ পাতায় প্রকাশিত খবর।
তো, গত সদস্য সম্মেলনের সময় এই ব্লগের পাতায় আমরা দেখেছিলাম যে, শিবিরের সব সদস্য'রা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত নেতারা শিবিরের কোনো কাজেই হস্তক্ষেপ করেন না। এবং শিবিরের সংগঠনের ভেতরে চরম গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাজকর্ম চালানো হয়।
কিন্তু, এ খবর কি বলে? আমরা এখবর যে একেবারেই বস্তুনিষ্ঠ সেই দাবি করি বা না করি,
প্রিয় ভায়েরা!
আপনারা সবাই কমবেশি জানেন যে, এমন ঘটনা এবার ঘটেছে। তো এসব বিষয়ে আপনার কি ভাবছেন?
সভাপতির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পাচ সদস্য ওয়ালা তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, কমিটিতে রাখা হয়েছে জামায়াতের নায়েবে আমির একেএম নাজির আহমদ, জামায়াতের প্রচার সম্পাদক তাসনিম আলম, জামায়াতের ঢাকা মহানগরি আমির রফিকুল ইসলাম এবং শিবিরের সাবেক কেন্দ্রিয় সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং বর্তমান কেন্দ্রিয় সভাপতি রেজাউল করিম।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাই আবার তদন্ত কমিটিতে!
প্রিয় ভায়েরা!
আপনরার কি বলেন?
প্রিয় ভায়েরা!
এই স্বাধিন দেশে আপনারা কি এখনো জামায়াতের রাজনীতি করবেন ?
-----------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশের জন্মের সময় যে অপরাধীর ভূমিকা নিয়েছিল ইসলামের নাম করে জামায়াত- সেই ভূমিকার পেছনে থাকা নৈতিক অবস্থান থেকে জামায়াত এখনো ফেরেনি আল্লার দিকে।অথচ নানা শর্ত আর পরিস্থিতির কারনে জামায়াত গনমানুষের জায়গা থেকে ইসলামকে সরিয়ে এনেছে, আনছে। এখন, বাংলাদেশের মানুষ, আরো বিশেষত বাংলাদেশের আগামী প্রজন্ম, আরো বিষেশত শিবিরের সাথে যুক্ত প্রজন্মকে- এই জমিনের বুকে প্রাণ আর প্রকৃতির আর মানুষের সুরক্ষা ও বিকাশে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রজন্মকে- সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে- তারা কি আগেকার প্রজন্মের, আরো বিশেষত, জামায়াত বা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবে- নাকি কিতাব থেকে বয়ান নিয়ে নিজেদের সময়ে দাড়িয়ে নিজেদের স্বাধীন ইচ্ছায় নিজেদের রাজনীতি করবে। এর মাঝামাঝি কোনো পথ নাই বলেই আমাদের মনে হয়।
-----------------------------------------------------------------------------
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১০ রাত ২:১৭