লেইক টাহোর দ্রাক্ষাবন থেকে ঘুরে এসে দৃশ্যতঃ মনে হলো-
তৃষ্ণা পাকদণ্ডী হয়ে কেবলি নিম্নগামী। অভ্যাগতের সম্মুখের তেপয়ে
শুধু দেখেছি
এইসব প্রিয় শৈত্যপ্রবাহ আলগোছে, ধুঁকে ধুঁকে-
ক্যামন বুদবুদ বানালো প্রিয় বেলজিয়ানের গায়ে।
হিমনিদ্রা তো গ্যালো। চৈত্রের ঝলসানো সূর্যের নিচে
জলজ পরিধিতে পা ভেজাই, দেখি নীলাভ শূন্যতা
আঁকড়ে থাকা পাথরের বুকে শৈবালের প্রস্রবণ, হালকা ঘূর্ণি, মৃদু কম্পন-
জলের ভেতরে অটল পাথর কিছুই বোঝে না তা।
পাথরকে বলি, শোনো। নিজেকে উল্টে নাও তো একবার! নৈবেদ্য-অর্চনা নয়,
অতিক্রম নয়; দিগ্বিজয়, অদম্য স্বপ্নও নয়। কিছু নিরেট হাহাকার বুনে স্তব্ধতার
আরেক নাম যেন তুমি! বলয়ের চিহ্ন কিছু মুছে ফ্যালো। সব লেইকের
গভীরতা কি এক? শুধুই কি ধূসর জল? মৃতমাছ? অপার অন্ধকার?
থাকুক না কিছু তৃষ্ণা, কিছু বুদবুদ,
তারপর হোক ভিন্ন প্রস্থের কিছু গল্প।
( "পত্রজ", ঈদসংখ্যা ২০১৪ এ প্রকাশিত )
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯