★★★
ওরা তিনজন,
যাচ্ছিল খেলতে।
আসর এর আযান হচ্ছে।
একটা বাচ্চা তার চেয়ে একটু বড় বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করল-
এটা কিসের আযান?
বড় বাচ্চাটা বলল- মাগরিব এর আযান।
ছোটটা আবারো জিজ্ঞেস করলে বড় বাচ্চাটা মাগরিব এর কথাই বলল।
★★★
তখন আমার মত আদিকালের মানুষ ভাবল- বাচ্চাগুলোর ভুলটা ধরিয়ে দেই। যেই বলতে গেলাম তখনি বড় বাচ্চাটা যার বয়স ১০/১১ হবে, সে চোখ টিপে নিষেধ করল। বুঝলাম বাচ্চাটা সত্যটা জানলেও মিথ্যেটা বলছে মজা করে। কিন্তু যেহেতু বাচ্চাটা আযান নিয়ে মিথ্যে বলছে এবং চোখ টিপার মত ভয়ংকর অপরাধ করেছে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম- রাগের পাখি না হয়ে মেজাজ ঠান্ডা রাখব এবং সত্যটা সামনে আনব। যেই ভাবা সেই কাজ। বুঝিয়ে দিলাম এখন আসর এর সময় তাই আসর এর আযান হচ্ছে।
★★★
অনেকেই ভাবতে পারেন যাকে বাচ্চা বলছেন সে আসলে বড় হয়ে গেছে বা আরো অনেক কিছু। কিন্তু একজন শিক্ষিকা হিসেবে বাচ্চা আর বুড়ো চিনবনা এমনটা হতেই পারেনা। একজন শিক্ষিকা শুধু শিক্ষা দানের কাজই করেন না, পাশাপাশি চাইল্ড সাইকোলজি নিয়েও কাজ করেন। যেখানে পুরো বিশ্বে ১৮ বছরের নিচে সবাইকে শিশু হিসেবে গন্য করা হয় সেখানে ১০/১১ বছরের বাচ্চাতো বাচ্চাই।
★★★
একটা ছোট বাচ্চা কাদামাটির মত, তাকে যেই রুপ দেয়া হবে সে সেভাবেই বড় হবে। প্রযুক্তি, অপসংস্কৃতি তথা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ছোট ছোট শিশুগুলোর ইনোসিটিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যার থেকে উত্তরণ খুবই কষ্টসাধ্য। তবু এর মাঝেও কি কিছু বাচ্চা সঠিক দিক নির্দেশনায় বেড়ে উঠছেনা? এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পরিবার তথা বাবা-মা এর। যদিও পারিপার্শিক অবস্থায় তা কষ্টকর তবু চেষ্টা করতে দোষ কোথায়? তা না হলে এক সময় এই অবুঝ শিশুগুলোর শৈশব বলে কিছু থাকবেনা...
শিশুদের শৈশবহীন সেদিনটা কি খুব কাছে? শিক্ষিকা হিসেবে ভয়ে মাঝে মাঝে আঁতকে উঠি!!
ছবি: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৮