সাত বছর পর বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) আবারও টেলিফোন সেট তৈরি শুরু করেছে। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে তৈরি সেট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ।
টঙ্গীতে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এ কারখানাটিতে আগে টেলিফোন সেট তৈরি করা হলেও ২০০২ সাল থেকে তা বন্ধ রয়েছে।
টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার থেকে টেশিসের কারখানায় ল্যান্ড টেলিফোন সেট তৈরি শুরু হয়েছে। কারখানা থেকে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দুইশ' টেলিফোন সেট সরবরাহ করা হচ্ছে।"
১৯৬৩ সালে জার্মান কোম্পানি সিমেন্সের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে টেলিফোন প্রযুক্তি উৎপাদনের জন্য টেশিসের জš§। পরে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে সিমেন্স তাদের শেয়ার বিনা পয়সায় সরকারকে দিয়ে চলে যায়।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার টেশিসকে আবার গতিশীল করার উদ্যোগ নেয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ কোম্পানিকে পুরোদমে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, "সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে অর্ধশতাধিক সেট সরবরাহ করা হয়। এর আগে গত রোববার অনানুষ্ঠানিকভাবে একশ' টেলিফোন সেট রাষ্ট্রীয় গণভবনে সরবরাহ করা হয়।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাজারে টেলিফোন সেট সরবরাহ করার আগে সরকারের অপর একটি কোম্পানি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডকে (বিটিসিএল) দুই হাজার সেট দেবে টেশিস।
টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব¡ এ প্রতিষ্ঠানের কারখানায় তৈরি এসব সেট প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় বিতরণ করা হবে। এরপর বাণিজ্যিকভাবে বিতরণ শুরু করা হবে।
এ দফায় এ কারখানা চালুর পর প্রথম ব্যাচে আট হাজার ৮০টি সেট তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান। আগামী জানুয়ারি থেকে এ কারখানায় পুরোদমে সেট উৎপাদন শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, "প্রাথমিকভাবে খুব বেশি লাভ না হলেও এর মাধ্যমে টেশিসের অলস বসে থাকা শতশত কর্মীকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে। চীনের গোল্ডসিম নামের একটি কোম্পানির প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে এসব সেট তৈরি করা হচ্ছে।"
তিনি জানান, বর্তমানে কলার আইডি সুবিধা সম্বলিত প্রতিটি সেটের দাম ধরা হয়েছে সাতশত টাকা। পরবর্তী সময়ে এ কারখানা থেকে কডলেস এবং সেমি-কডলেস সেটও উৎপাদন করা হবে। তবে এক্ষেত্রে দামের কিছুটা পার্থক্য থাকবে।
টেশিসের কর্মকর্তারা জানান, ল্যান্ড ফোন ছাড়াও পর্যায়ক্রমে বৈদ্যুতিক মিটার, মোবাইল চার্জার, মোবাইল ব্যাটারি, মোবাইল ফোন সেট ও ল্যাপটপ তৈরি করে বাজারজাত করার প্রক্রিয়া রয়েছে। টেশিস পুরোদমে চালু হলে এ কোম্পানিতে আরও অনেকের কাজের সংস্থান হবে। বর্তমানে কোম্পানিতে তিনশ' কর্মী রয়েছে।
গতমাসে টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু জানিয়েছিলেন, টেশিসের উৎপাদিত মোবাইল ফোনসেট আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে স্থানীয় বাজারে সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কোম্পানিটি। রাষ্ট্রায়ত্ব এ কোম্পানির ক্রমাগত লোকসান ঠেকাতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন
ঢাকা, অক্টোবর ১৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






