না, ….খুব একটা ভুল ভাবিনি তাহলে। আসলেই রিক্ত শ্রাবণ, এ যেন স্বাদহীন। বৃষ্টির ছন্দে যে পুরনো সুর খুজছিলাম,যে অপরিবর্তনীয় ঘ্রানের নেশায়, ষোড়শীর কোমল হাত ছোয়ার অনাদি বাসনায়, বৃষ্টির পানে হাত বাড়িয়েছিলাম তা হাইড্রোজেন এর মত এক স্বাদ-বর্ণ-গন্ধহীন ভালবাসা ফিরিয়ে দিয়েছে।
এ যেন আজ মন খারাপের দিন। আজ কান্নার প্রহর… আকাশ কাঁদছে, যাত্রী-ছাউনির নিচে বসে ঐ ষাটোর্ধ বৃদ্ধের সাদা কুকু্রটা, ওটাও যেন আজ তান মিলাচ্ছে। আজ সত্যি পৃথিবী মন খারাপের কাজল চোখে পড়ে নিয়েছে। কী একটা গানের আধখানা কলি ভাজতে ভাজতে পাশ দিয়ে মাতাল এক মহামানব চলে গেল। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ওর গানের ভাঙা সুরেও যেন এক বিষণ্ন অ্পরিপূর্ণতা কেদে ফিরছে।
যাই হোক, ভাবনার পাগলা ঘোড়াটাকে এবার বোধহয় লাগাম দেয়াই শ্রেয়। ছুটতে ছুটতে আজ যে অনেক দূরে চলে এসেছে।ঘরে ফেরার তাড়া ছিল। তাই ভাবনার ঘোড়ার পিঠ ছেড়ে এবারে যে আমায় বাসের পেটে সওয়ারি হতে হয়… কী আর করা… আজ যাই তবে…. পথে যেতে যদি আবার কখনো মন খারাপের গান কানে আসে… তবে হয়তো ঝরে পড়া শ্রাবণের স্পর্শে আরো একবার ভিজে নেব।
![]()

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




