২০ সেপ্টেম্বর '১৮ ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে সাড়ে চারটায় কংলাক পাহাড়ের উদ্দ্যেশ্যে চান্দের গাড়ি নিয়ে আমরা রওনা হলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম সবাই যাবে না কেউ কেউ হয়তো ঘুমাবে কিন্তু গাড়ি ছাড়ার সময় দেখলাম আমাদের ফুল টিম হাজির। আমাদের চান্দের গাড়ির ড্রাইভার খুব দক্ষ হওয়ায় অনেক উচুতে আমাদের গাড়ি করেই নিয়ে গেলেন,সচারাচর ঐ পর্যন্ত কোন চান্দের গাড়ি যায় না। তারপর নেমে হেঁটে হেঁটে আমরা পাহাড়ের চূড়ায় উঠলাম।পাহাড়ের উপরের এই কংলাক পাড়াকে রাঙ্গামাটির ছাদ বলা হয়। বলা বাহুল্য আমরা ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে সবার আগে এই পাহাড়ে উঠেছিলাম।
কংলাক পাহাড় থেকে সূর্যোদয় দেখলাম। সবাই ছবি উঠালাম। পাহাড়ের উপরেই হালকা নাশতা সেরে নিলাম। চান্দের গাড়ি যখন নিচের দিকে নামছিল তখন মনে হচ্ছিল আমরা মেঘের ভিতর ভেসে বেড়াচ্ছি। সে কি অনুভূতি... আহা জীবন সুন্দর।
সাজেক জিরো পয়েন্ট এ এসে ছবি উঠিয়ে আমারা হ্যালিপ্যাডে উঠে রংধনু দেখলাম ও ভোরের নতুন আলোয় সবাই সেলফি তুলে রিসোর্টের দিকে রওনা হলাম।
রিসোর্টে ফিরে নাশতা শেষ করে গোসল ফ্রেশ হয়ে খাগড়াছড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। ১০ঃ৩০ মিনিটে আমাদের গাড়ি সাজেক কে পিছনে ফেলে খাগড়াছড়ির দিকে ছুটতে থাকলো। আমাদের বন্ধু সেলিম বিজিবিতে কর্মরত আছে সাজেক যাওয়ার পথে এক ক্যাম্পে। আসার পথে বন্ধুর সাথে দেখা করলাম। খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছে সিস্টেম রেস্টুরেন্ট এ খাওয়াদাওয়া শেষ করে খাগড়াছড়ি ঘুরতে বের হলাম। (খাবার নিয়ে পরবর্তী ব্লগে লিখবো) । ঝুলন্ত ব্রিজ , আলুটিলা গুহা, তারেং ঘুরে ফিরে রিসাং ঝর্ণাতে গিয়ে গোসল করলাম। তারেং এ উঠে এত উপর থেকে বৃষ্টি দেখলাম। নৈসর্গিক সোন্দর্যের লীলাভূমি বললে ভুল হবে না এই খাগড়াছড়িকে। আসাধারন সময় কাটিয়ে হোটেলে এসে ফ্রেশ গোসল ও খাওয়াদাওয়া সেরে ঢাকার বাসে বসে ঘুম দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬