somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনটাকে নিয়েগেছে বাংলাদেশ ভার্সেস পাকিস্থান পর্যায়ে ; মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সুশীলের খোলশে জামায়াত তথা পাকিস্থানী চাটুকাররা

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


যে যাই বলুন আমি বলবো বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটাকে নিয়েগেছে বাংলাদেশ ভার্সেস পাকিস্থান পর্যায়ে । মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সুশীলের খোলশে জামায়াত তথা পাকিস্থানী চাটুকাররা সব একজোট হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদরে চক্রান্ত থেমে নেই আজো । মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়ে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাকিস্থনীরা। সুদূর প্রসারী নীল নকশার অংশ হিসেবে পাকিস্থানীদরে পরামর্শেই বিএনপি গঠন হয়েছে বলেই আমার মতবাদ। মনেকরি তারেক রহমানরে নির্বাচনী কৌশলই সে কথার প্রমান মিলে। বিএনপির চুড়ান্ত র্পযায়রে পতনের ডাকও পড়েছে এ বার্তার মধ্যে। জাতীর কাছে মুখোশ খুলেছে দলটির। অামার অালোচনাটা ভিন্ন প্রসঙ্গে হলেও বলেরাখি দলটি গড়তে দেখিনি ইতিহাস থেকে জানা। কিন্তু এতবড় একটা দলের চুড়ান্ত র্পযায়ের পতন কিভাবে হলো তার কালরে সাক্ষী হয়ে রইলাম। দলীয় গণতন্ত্রের টানপোড়নে নেতা কর্মীদের মতবাদ উপেক্ষা করে একচ্ছত্র মতবাদ চাপিয়ে দিয়ে দলটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর তারকে রহমানই দলটির ভাঙ্গনের সূচনা করেন। দলীয় প্রধান বেগম জিয়া দলের প্রধান ক্ষমতাধর নামে থাকলেও একটা র্পযায়ে তিনি দল পরিচালনার ক্ষমতা হারান। দলের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর তারেক রহমানই দল পরিচালনা করতে থাকেন একচ্ছত্র ভাবে। আর তখন দল পরিচালনা মানে সরকার পরিচালনা। আর সরকার প্রধান হিসেবে আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকার পন্থা গণতন্ত্রের বাইরে পরিকল্পনা করতে গিয়েই ধরাসাই হন তিনি। যদিনা সময়কালটা ধরা হয় ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনার সময় থেকে। এর পর একে একে সরকার পটপরিবর্তন থেকে শুরু করে বেগম জিয়ার কারাবাস। তারকে রহামানরে দশে ছেড়ে পালায়ন। যুদ্ধাপরাধীদরে বিচার। বিএনপি-জামায়াতরে আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে সরকার পতনের কুকৌশল,সরকারের সন্ত্রাস বিরোধী কঠোর হস্তক্ষেপ, উন্নত গঠনতন্ত্ররে মাধ্যমে আজকের অগ্রগতীর বাংলাদেশ র্পযন্ত আমাদের এ প্রজন্মের সবারই জানা।
ক্ষমতায় অাসার জন্য আর টিকে থাকার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে জোট বাঁধাই বিএনপির মূল চরিত্র ও পরনির্ভরশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। চারদলীয় জোট সরকারের অামল থেকে রাজনৈতীক সময়টা বিশ্লেষন করলে দেখা যায় তারেক রহমান নিজেও পরনির্ভরশীল ব্যাক্তি। তিনি উল্টোপথে অল্প সময়ে বৃত্তবান উগ্র শোসনে বিশ্বাসী। নিজের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অভাব বুঝতে পেরেই হিডেন পরার্মশক নিয়োগ করে রাজনীতি পরিচালনায় অভ্যস্ত তিনি । দেখাযায় তার শোসনের বিশ্বাস থেকে ২০০১ এর নির্বাচনের পর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বুদ্ধি নির্ভর হয়ে অাজীবন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধর হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার কাজে হাত দেন। তা বাস্তবায়ন করতে তিনি ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করে তৎকালীন বিরোধী দলরে নতা আওয়ামীলীগের সভাপতি শখে হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। যা পাকিস্থানীদের একমাত্র চাওয়া।
জামায়েতের সঙ্গে জোট গঠনসহ পূর্বের সব কর্মকান্ড অার আজকের পরিস্থিতিতে একেবারই স্পষ্ট পাকিস্থানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন বিনিময়ে র্দীঘস্থায়ী ক্ষমতার লোভে পরে তারকে রহমান।
প্রজাতন্ত্রকে উপেক্ষা করে বিদেশি প্রভুদরে দাসত্বই ক্ষমতার কলকাঠি মেনে নেয়। দলরে নেতা র্কমীদরে উপক্ষো করইে বিএনপির রাজনীতি পরচিালনা শুরু করেন। চারদলীয় জোট সরকাররে আমলে থেকেই দলটির প্রবীন নতারা বীমুখ হন। ১/১১ 'র পরর্বতীতে স্পষ্ট হয় তারকে রহমানের র্কতৃত্বে নেতাকর্মীরা বিমুখ হওয়ায় সাংগঠনিক অবস্থার করুণদশা। দলরে র্শীষ র্পযায় থেকে র্কমী র্পযন্ত বিএনপির বৃহতাংশরে দাবি দলের প্রতষ্ঠিাতা জয়িাউর রহমানরে আইকন হিসেবে বগেম জিয়ার ডাকে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি খন্ডিত হয়েছে,তারক রহমান যখন বেগম জিয়াকে পরিচালনা শুরু করেছেন। দল থেকে বেরিয়েও গেছেন বি-চৌধূরীর মতো অনেক বড় নেতা। বিদেশে বসে একই কৌশলে বিএনপির কতৃত্ব করায় আর ঘুরে দাড়াতে পারেনি দলটি। নানা ইস্যুতে খালদো জিয়ার ডাকে র্পযন্ত আন্দোলন বাস্তবে রূপনিতে পারেনি। ফ্লপ হয়ছেে সব ধরনের র্কমসূচী। বিএনপির ঐক্যের প্রতীক বগেম জিয়া গ্রপ্তোর এমনকি মামলার সাজায় আজো র্পযন্ত জেল খাটলেও আন্দোলনের কোন গতীই আর হয়ে ওঠেনি। দখোযায় ওই সময়ইে তারকে রহমান হুট করে র্কতৃত্বে আসার ব্যাপারটি একাংশ মেনে নিলেও দলের একটি অংশ আরো সময় পরে তার নতেৃত্ব আশা করছেলিনে। তারকে রহমান হঠাৎ নতেৃত্বে আসায় তার রাজনৈতীক কৌশল নর্ধিারণে অজ্ঞতার সুযোগ গ্রহণ করে সড়িক দল জামায়াতে ইসলাম। আরো ক্ষমতাধর হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তারকে রহমান নিজ দলরে র্শীষ নতাদরে উপক্ষো করে সড়িক দলরে পরার্মশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দলে বড় বিভাজন ঘটিয়ে দনে।
তাহলে বলা যায় তখন মূলত বএিনপির প্রধান তারেক রহমান পাকিস্থানী এজেন্ডা বাস্তবায়নরে কাজ ননে। তখন মানুষ বুঝতে ভুল করলওে এখন আর বুঝতে একটুও বাকি নইে যে বিএনপি মূলত স্বাধীনতা বিরোধী। যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্থানের পরবতী র্দীঘ নীল নকশার বাস্তবায়ন ঘটাতইে তাদের বিটিম বাংলার মোড়কে বএিনপি দল গঠন করা হয়।
লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সর্ম্পকে সাধারণদরে র্পযন্ত জানা বুদ্ধি বচিক্ষণতার দুরাবস্থার কথা। ছাত্র জীবন থকেইে তার মেধা ছিল খারপ ছাত্রদরে তালকিায়। পরবর্রাতীতে রাজনীতি হোক আর উপার্জনের জন্য হোক, তারকে রহমানরে পছন্দ না পড়ে নকল করে উর্ত্তীণ হওয়ার মতো র্শটকাট পন্থা। সেই পন্থা অবলম্বনরে জন্য পর নর্ভিরশীলতাই যে তার সম্বল। ২০০১ থকেে ২০০৭ সাল র্পযন্ত তারকে রহমান ছলিনে গিয়াসউদ্দনি আল মামুনরে ওপর নর্ভিরশীল।
গিয়াস আল মামুনরে পর তারকে রহমান গুরু হিসেবে ড.কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড র্বাগম্যানকে সিলেক্ট করেছেন। ড.কামালের মেয়ে ব্যারিষ্টার সারা হোসেনের স্বামী র্বাগম্যান যুদ্ধাপরাধীদরে পক্ষে ওকালতির জন্য বেশ আলোচিত। র্বাগম্যানই যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদরে সঙ্গে তারকে রহমানরে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন।যুক্তরাজ্যের উচ্চ মহল,হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গেও র্বাগম্যানের সু-সর্ম্পক রয়ছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে তারেক রহমানের লবিং করার মূল দায়িত্ব পালন করছনে ডেভিড র্বাগম্যান।আর র্বাগম্যানের অ্যাসাইনমেন্ট তারেক রহমানের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদরে পুর্নবাসিত করা।
যাক এবার যদি বলি জাতীয় নর্বিাচনের কথা। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিএনপির আন্দোলনের একটি অংশ হিসেবে ঘোষনা করেছেন।বলা হয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দলনের কথা, ঐক্যফ্রন্টের ভাষায় গণতন্ত্ররে আন্দোলন। আসলে পরে দেখলাম এই নির্বাচন পাকিস্থানের গোয়েন্দা সংস্থা অাইএসআই এর পরার্মশ বাস্তবায়নে ব্যাস্ত সময় পার করছনে তারেক রহমান। মানুষকে ধোকাদিতে সুশীল নামধারী জামায়াতরে এজেন্ট ড.কামাল-মান্নাদের যোগ করছেনে তিনি।এরা অাগে থেকেও যুক্ত বলা যায়,ঐক্যফ্রন্ট অানুষ্ঠানিকতা মাত্র।জানাগেলো বেগেম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বাদ দিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহনরে সদ্ধিান্তও পাকিস্থানের। অার এটা না মানার কোন উপায়ন্তই ছিলনা তারেক রহমানের। গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে, বিএনপি জামায়াতের এজেন্ট দুবাই বিএনপির সভাপতি জাহিদ হাসানরে মধ্যস্ততায় শাহীদ মহেমুদরে সঙ্গে যুক্তহন তারকে রহমান। শাহীদ পাকস্তিানি গোয়ন্দো সংস্থা আইএসআই'র দুবাই এর এজেন্ট। তিনি পাকিস্থান সেনাবাহিনীর ৫৪ তম লংর্কোসে কমিশন্ড। পাকিস্থানের তরফ থেকে তাকে এবার বাংলাদশেরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের এসাইনমন্টে দয়ো হয়েছে। খন্দকার মোশাররফের সঙ্গে আইএসআই'র এজন্টেদরে এবং তারক রহমানরে সঙ্গে আইএসআই'র র্কমর্কতা জাভদে মেহেদীর ফোনালাপই সবকছিুর স্পষ্ট প্রমান। এসব ফোনালাপ থকেইে বিএনপির নির্বাচনী কৌশল আর র্প্রাথী নির্ধারনের রহস্য ফাঁস হয়। সৌদি আরবের জেদ্দায় আইএসআই'র সঙ্গে বিএনপির নীতি নির্ধারকদের একাধিক বৈঠকের খবরও আর চাপা থাকলোনা। বেরিয়ে এসেছে থলের বিড়াল।বিএনপি-জামায়াতের নতুন মোড়ক ঐক্য ফ্রন্টের তিনশ আসনের র্প্রাথীও সিলেক্ট করেছে নাকি আইএসআই। এরকম একটা খবর যদি সত্যি হয় তাহলে কেন বলবোনা এবারের নির্বাচনটা আওয়ামীলীগরে বাংলাদেশ ভার্সেস পাকিস্থানের বিএনপির।
বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতরা আর সাধারণ নেতার্কমীরা এ খবরে আর্শ্চজ হলওে ঐক্যফ্রন্টরে র্শীষ নতোরা কিন্তু আশ্চর্জ হননি। তারা পড়েছেন বিপাকে। তথ্যফাস হলো কিভাবে ! আওয়ামীলীগ জনতার কাছে আগে থকেইে যে ধরনরে শঙ্কা প্রকাশ করছে, বএিনপি তা রাজনতৈীক ভাবে দোষারোপ করার জন্য ভিত্তিহীন বক্তব্য বলে কাউন্টার দিলেও এখন সরকারি দলরে কথা প্রমানীত। নির্দলীয় সাধারণ ভোটারের একাংশ তখন বিএনপির কথা আমলে নিলেও এখন যে তারা বিমুখ হয়েছে তাও ভালই বুঝতে পেরেছেন ঐক্যফ্রন্টের র্শীষ নতেৃত্ব। পাশাপাশি ড.কামাল মুখে মুক্তিদ্ধের আর্দশরে কথা বললেও মূল এজেন্ট যে স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষের তাও আজ প্রমানীত। আমাদের একটি প্রশ্নের জবাবে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ড.কামাল হোসেনদের বক্তব্য স্ববিরোধী। সেদিন মনে হয়েছিল এটা রাজনৈতীক কাউন্টার বক্তব্য। কিন্তু এখন জানতে পারলাম লন্ডনে ড. কামাল হোসনেকে একটি বাড়ি কিনে দেয়ার পরই যুদ্ধাপরাধীদরে দল জামায়তেকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টরে নেতৃত্বে আসনে। তার নেতৃত্বে জামায়েত ২২টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করছনে এবাররে নির্বাচনে। যেই বাড়িটিতে বসবাস করছেন তার জামাতা। সেই সঙ্গে বাড়টির ক্রয় পক্রিয়ার ডকুমেন্টই প্রমান করে তার সাধুগীড়ি। গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাড়ি কেনার বিবরণীতে বলা হয়েছে আইন পেশা থেকে অর্জিত ২৭ হাজার পাউন্ড দিয়ে কেনা এই বাড়িটি। আর এই পয়সা কামিয়েছেন তিনি লন্ডনের এক আইনজীবী র্লড র্কালাইল এর আইনী পরার্মশক হিসেবে কাজ করে। র্লড বাংলাদেশে দণ্ডিত তাঁর একজন মক্কলেকে আইনী সহায়তা দওেয়ার জন্য ড. কামাল হোসনেকে আইনী পরার্মশক হিসেবে নিয়োগ করনে। আইনী পরার্মশ দেয়ার পারিশ্রমিক বাবদ ১,২৮ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর,তিনটি চেকের মাধ্যমে ২৭ হাজার পাউন্ড পরিষোধ করেন। এই বাড়ী ক্রয়রে জন্য কিছু অনুদান বা ঋণ নিয়েছেন। সেখানে দেখাযায় ঋণ দাতাদের মধ্যে কয়েকজন যুক্তরাজ্য জামাত শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কয়েকজন আবার যুদ্ধাপরাধীদরে সন্তান।
আওয়ামীলীগ প্রধান মহাজোট সরকার বরাবরই বলে আসছে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ১/১১ প্রেক্ষাপটে ক্ষমতা হারানো বএিনপি,চারদলীয় জোট সরকারের আমলের কৃতকর্মে ফেঁসে গেছে। দলীয় দুই প্রধানই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার যোগ্যতা হারিয়েছে।বিচার বিভাগের রায়ে বগেম জিয়া জেলে সাজা খাটছেন। আর তারেক রহমান জাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ওয়ারন্টেভুক্ত পালাতক আসামী।
যাই হউক র্সবশষে আলোচনা করি, আমি নারায়ণগঞ্জরে বাসিন্দা হিসেবে যদি বলি নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ। এখানে আওয়ামীলীগরে একজন হ্যাভিওয়েট প্রভাবশালী র্প্রাথী শামীম ওসমান। মনোনয়ন দেয়ার আগে ব্যাপক জল্পনা কল্পনার আলোচনা হয়ছে। শামীম ওসমানের বিপরীতে একজন শক্ত ক্যান্ডিডেট দেয়া হবে। কিন্তু ধুলিস্যাত হয় বিএনপির নেতা র্কমীসহ সাধরন ভোটারদের সকল জল্পনা কল্পনা। ঐক্যফ্রন্ট থেকে এখানে র্প্রাথী দয়ো হয় জমিয়াতে ইসলামরে মনির হোসেন কাসেমীকে। যার সাথে সাধারণ মানুষসহ কেউ পরিচিতইনা। নেই কোন রাজনৈতীক ব্যাক গ্রাউন্ড। রয়েছে জঙ্গী কানেক্ট এর অভিযোগ। তার নাম ঘোষনার পরপরই শামীম ওসমান অভিযোগ তোলনে কাসেমীকে দিয়ে নির্বাচন নয় বানচাল করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সর্বশেষ কাসেমীর মাধ্যমে জঙ্গী হামলার শঙ্কা প্রকাশ করেন শামীম ওসমান। কাসেমীর ঘনষ্টি সূত্রে সপ্তাহ দুয়েক আগে জেনেছি তার মনোনয়ন নিশ্তিত হয়েছে সৌদি আরব থেকে। প্রথমে বিশ্বাস না করলেও পরেতো আমরা তার প্রমানই পেলাম। পেশাগত কারনেই আলাপ হয় জেলা বিএনপির র্শীষ নেতাদের সঙ্গে। নাম না প্রকাশের শ্বর্তে তারা বলেন বিএনপি এখন আগের যায়গায় নেই। খাতা কলমে যাই থাকুক দল চলছে ভিন্ন পরামর্শে। তারেক রহমানরে দল পরিচালনায় বিএনপি এখন দেউলিয়া পর্যায়ে। সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নে জ্যষ্ঠ নেতাদের কর্তৃত্ব মানা নিয়ে মতবিরোধে সব শষে। দলীয় বৃহতাংশের মতোবাদ একটি জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার মতো প্রার্থী দিতে পর্যন্ত ব্যার্থ হলো দলটি। আর প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্তই মাঠ পর্যায়ে এসে পৌছার পরই, চুড়ান্ত র্পযায়ে ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে দলটি। প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল সর্ব সাধারণসহ দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে। কতটা প্রতিদ্বন্দিতা মূলক হবে নির্বাচন,তা নির্ভর করে প্রার্থীর ওপর। আর সেই সহজ কৌশলটিতেও ভুল করায় আজ চুড়ান্ত পরাজয়ের পথে বিএনপি।
তবে আমি বলবো কোন কৌশলেই ভুল করেননি তিনি। আপনারা যেভাবে ভাবছেন আসলে তিনি সেভাবে করেননি। তিনি বিদেশি প্রভুদের দেয়া ছক অনুযায়ীই এগুচ্ছেন।এখানে আপনারা কে কি ভাবলেন সেটা দেখার সময় এখননা।তিনি জানেন আপনাদের দিয়ে কিচ্ছু হবেনা।দেশে থেকেও আপনারা না থাকার মতো পালিয়ে বেরান। আপনারা যে আগে বলেছেন দলের জন্য নেত্রীর জন্য জান দেবেন।কই জান দেবেনতো দূরের কথা পুলিশের ভয়ে জেলের ভয়ে পালিয়ে বেরান।উনিকি আপনাদের সরাসরি বলতে পারেন তার এখন লাশ প্রয়োজন।
যাই হউক কেউ যদি এখনো সবটা ঠিকঠাক না বুঝি তার খেসারত একদিন আমার আপনার ভবিষ্যত প্রজন্মের দিতে হবে।আমি বলবো বিএনপির এ নির্বাচনী কৌশল স্বাধীনতা বিরোধী। দেশকে পূনরায় পরাধীন করার কৌশল এঁটেছে তারা।বিএনপি নির্বাচনকে নিয়ে গেছে আরকে পর্যায়ে।দেশের সহজ মানুষগুলোর সরলতার সুযোগ নিয়ে পাকিস্থানীদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করার কাজে লিপ্ত তারা। তাই বলবো মানুষকে এবার অনুধাবন করতে হবে নির্বাচন হচ্ছে বাংলাদেশ ভার্সেস পাকিস্থান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আরেকটি খন্ড এ নির্বাচন। উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কথা বাদই দিলাম গণমানুষকে এবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নির্বাচিত করবেন না স্বাধীনতা বিরোধীদরে নির্বাচিত করবেন ? মনে রাখতে হবে সবাইকে, ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনমতই নির্ধারণ করবে, আগামীতে কী উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে চলবে বাংলাদেশ, নাকি পাকিস্থানিদের মদদে প্রতিষ্ঠিত হবে আফগানিস্থানের পরিবেশ। ####

লেখক:
বুলবুল অাহমেদ সোহেল
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি,একাত্তর টিভি,রেডিও আমার 88.4fm, দৈনিক খবরের পাতা,বিডি নিউজ টুয়েন্টফোর ডট কম।
সাধারণ সম্পাদক,নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্ণালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন।
যুগ্ম সম্পাদক,নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭
৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×