somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অাজকের নির্বাচনে জনতা রায় দিবে তারা স্বাধীন থাকবে না বিদেশিদের গোলামি করবে

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বাধীনতাকামী মানুষ কখোনো পরাধীনতার মধ্যে নিজেকে শপে দিতে পারেনা। বাঙ্গালীরাতো সেই পারাধীনতা থেকে নিজেকে মুক্ত করতেই স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে যারা জোট করবে তারাতো ওই একই অাদর্শ নীতির হবে। সমমনা না হলেতো জোট করা সম্ভবপর বলে অামার মনে হয়না। স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রধান যদি স্বাধীন থাকে তাহলেই কেবল জনগণের অধিকার রাষ্ট্রের শতভাগ স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব। বিদেশীদের প্রভু মেনে পরাধীনতার চুক্তিতে যদি রাষ্ট্র প্রধান ক্ষমতায় অাসিন হন, তাহলে রাষ্টের স্বার্থ রক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হবেই। যাদেরকে প্রভু মানা হবে তারাতো অবশ্যই তাদের স্বার্থ অাদায় করে নেবেনই চুক্তি মোতাবেক। অার সেই চুক্তির কারণে রাষ্ট্র প্রধান অনেক প্রকল্পেই রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। অার প্রত্যেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জনগোষ্ঠির স্বার্থই রাষ্ট্রের স্বার্থ। গণতান্ত্রীক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের মেজরিটি পার্সেন্টের সমর্থন নিয়ে একটি সরকার গঠন করতে হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওই সরকার প্রধানের কাছেই জনতার ভাল মন্দ দেখবার ক্ষমতা তুলে দেয়া হয়। তাই জনতাকে প্রথমেই নিজের স্বার্থ মানে রাষ্ট্রের স্বার্থে বিচক্ষন হতে হবে, স্বাধীন-পরাধীন রাজনীতির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে। অামাদের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে পরিবর্তন অাসতেই পারে তবে সেটা যেন অন্যকোন রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে না হয়। তাহলে কিন্তু ওই রাষ্ট্র তাদের ভাগ্য বদলানোর চিন্তা না করে অামাদের ভাগ্য বদলে দিতে অাসবেনা।



বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি যতই অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে গলা ফাটাক না মূলে কিন্তু লুকিয়ে অাছে সাম্প্রদায়িকতা। ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো যারযার অাদর্শ চেতনা দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে চাপিয়ে দেয়ার রাজনীতিতেই ব্যাস্ত। কে কোন রাষ্ট্রের প্রতি কর্তৃত্ব বা শাসন করে স্বীয় রাষ্ট্রর উন্নয়ন ঘটাবে এটাই লক্ষ্য। অার সেই শাসনের নামে শোসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যাবহার হয় নানা কৌশল। সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নামে,ধর্মীয় গোরামীর পতন,ধর্মীয় অাদর্শ প্রতিষ্ঠাসহ নানা নামের কৌশল খাটিয়ে চলছে মানবতার চরম লুন্ঠন। কোন রাষ্ট্রের শাষক গোষ্ঠিকে বাগে অানতে বা উৎখাত করতে কর্তা রাষ্ট্রগুলো যে যার মতো করে শোষন করছে। শোষিত রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীন ব্যাপারেও তারা কড়া নজরদারিতে রাখে। সেখানে তাদের কোন স্বার্থ থাকলে মানবতা, ধর্ম নিরপেক্ষতা অথবা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে হাজির হন তারা। উপমহাদেশ ভিত্তিক রাজনীতিতে শোষিত রাষ্ট্রে কর্তারাষ্ট্রের বিরধী শক্তিদের দমিয়ে রাখতেই এসব চেতনার দোহাইদিয়ে এবং অর্থনৈতীক চাপে ফেলে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটান। ওই ধরনের কর্তা রাষ্ট্রকে প্রভু মেনে যারা ক্ষমতায় অাসিন হতে চান তারা অার যাই করুক দেশ ও জাতীর জন্য মঙ্গল বয়ে অানতে পারবেনা। প্রভু রাষ্ট্রের গোলামী করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইবেন তিনি। বৈশ্বিক রাজনীতিতে অাপাত দৃষ্টিতে মুসলিম রাষ্ট্রগিলোতে এবং এশিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে মার্কিনীদের তৎপড়তা যুগে যুগে প্রকাশিত। মার্কিনীরা এশিয়া নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে তাদের ঘাটি স্থাপনে ব্যাকুল। দেশি বিদেশী নানা গণমাধ্যমের সূত্র মতে ৯১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনে একটি নৌঘাঁটি করার জন্য চাপাচাপি করছে। অাওয়ামীলীগ সরকার শুরু থেকেই ঘোর বিরোধী এই নৌঘাঁটির। শেষ পর্যন্ত সর্বপরী শেখ হাসিনার জন্য মার্কিনীদের ঘাঁটিটি করা হচ্ছেনা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ও মানবাধিকারের কথা বলে নাক গলাতে চেয়েছে তারা।
বাংলাদেশের অাজকের এই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়েও নোংরা রাজনৈতিক চাল প্রয়োগের চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে দেশটির সংশয় প্রকাশ- মার্কিন কূটকৌশলের অংশ ছাড়া অার কিছুই না। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র যারা মার্কিনিদের হস্তক্ষেপ পছন্দ করেন না তাদের বিপরীতে ‘মানবাধিকার’, ‘গণতন্ত্র’ এসব ইস্যু ব্যবহার করে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও মার্কিনীরা সেই চেষ্টাই করেছে।
অপরদিকে জন্মসূত্রে বাংলাদেশের শত্রু পাকিস্থানের ব্যাপারে অালোচনা করার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ অামরা সবাই জেনেছি এবার ঐক্যফ্রন্টের তিনশ অাসনের প্রার্থীই পাকিস্থানের অাইএসঅাই সমর্থীত।

এসব বিষয়ে অালচনা করলাম কেন? অাজকের নির্বাচনে জনতার রায় কোন পক্ষে হওয়া প্রয়োজন। যদি বলেন দেশে কর্তৃত্ববাদি সরকার প্রতিষ্ঠিত।তাহলে বলবো একটু পেছন ফিরে তাকান, দেখুন দেশে তৃতীয় শক্তির হাত থেকে এই দেশকে রক্ষা করছে কিন্তু এই সরকারই। এমন একটা শক্তিকে বিলুপ্ত করতে একটু কর্তৃত্ববাদি হতেই হয়। অার এটার জন্য বিগত সময়ের ক্ষমতাসীন রাজনৈতীক দলগুলোর ভুলকেই অামি দায়ী করবো। তারপরও এটা দেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। বিদেশি কোন শক্তি নয়। ভুল সংশোধন করে দেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপার মোকাবেলা করতে দেশের জনশক্তিকে এক কাতারে অানতে হবে। এ দেশের জনগণই সকল সৈর শাষককে কানে ধরে নামিয়েছ, বিদেশী কোন শক্তির প্রয়োজন হয়নি। বিদেশী শক্তির সহযোগীতায় কোন সরকার গঠন হলে অামাদের অাবার পরাধীন জনগোষ্ঠীতে পরিণত হতে হবে এটা মাথায় রাখতে হবে সকল নাগরিককে। অার ওই পরিস্থিতিতে বিদশি স্বার্থের জন্য অাবারো দেশে জঙ্গী তৎপড়তা,সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠবে। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই বিদেশীরা তাদের স্বার্থহাসিল করার সুযোগ পায়। সুতারাং অামি বলবো অাজকের নির্বাচনে জনতা রায় দিবে তারা স্বাধীন থাকবে না পরাধীনতার গোলামি করবে।##



লেককঃ বুলবুল অাহমেদ সোহেল।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি,একাত্তর টিভি,রেডিও আমার 88.4fm, দৈনিক খবরের পাতা,বিডি নিউজ টুয়েন্টফোর ডট কম।
সাধারণ সম্পাদক,নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্ণালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন।
যুগ্ম সম্পাদক,নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×