বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি যতই অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে গলা ফাটাক না মূলে কিন্তু লুকিয়ে অাছে সাম্প্রদায়িকতা। ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো যারযার অাদর্শ চেতনা দুর্বল রাষ্ট্রগুলোকে চাপিয়ে দেয়ার রাজনীতিতেই ব্যাস্ত। কে কোন রাষ্ট্রের প্রতি কর্তৃত্ব বা শাসন করে স্বীয় রাষ্ট্রর উন্নয়ন ঘটাবে এটাই লক্ষ্য। অার সেই শাসনের নামে শোসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যাবহার হয় নানা কৌশল। সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের নামে,ধর্মীয় গোরামীর পতন,ধর্মীয় অাদর্শ প্রতিষ্ঠাসহ নানা নামের কৌশল খাটিয়ে চলছে মানবতার চরম লুন্ঠন। কোন রাষ্ট্রের শাষক গোষ্ঠিকে বাগে অানতে বা উৎখাত করতে কর্তা রাষ্ট্রগুলো যে যার মতো করে শোষন করছে। শোষিত রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীন ব্যাপারেও তারা কড়া নজরদারিতে রাখে। সেখানে তাদের কোন স্বার্থ থাকলে মানবতা, ধর্ম নিরপেক্ষতা অথবা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে হাজির হন তারা। উপমহাদেশ ভিত্তিক রাজনীতিতে শোষিত রাষ্ট্রে কর্তারাষ্ট্রের বিরধী শক্তিদের দমিয়ে রাখতেই এসব চেতনার দোহাইদিয়ে এবং অর্থনৈতীক চাপে ফেলে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটান। ওই ধরনের কর্তা রাষ্ট্রকে প্রভু মেনে যারা ক্ষমতায় অাসিন হতে চান তারা অার যাই করুক দেশ ও জাতীর জন্য মঙ্গল বয়ে অানতে পারবেনা। প্রভু রাষ্ট্রের গোলামী করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইবেন তিনি। বৈশ্বিক রাজনীতিতে অাপাত দৃষ্টিতে মুসলিম রাষ্ট্রগিলোতে এবং এশিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে মার্কিনীদের তৎপড়তা যুগে যুগে প্রকাশিত। মার্কিনীরা এশিয়া নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে তাদের ঘাটি স্থাপনে ব্যাকুল। দেশি বিদেশী নানা গণমাধ্যমের সূত্র মতে ৯১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনে একটি নৌঘাঁটি করার জন্য চাপাচাপি করছে। অাওয়ামীলীগ সরকার শুরু থেকেই ঘোর বিরোধী এই নৌঘাঁটির। শেষ পর্যন্ত সর্বপরী শেখ হাসিনার জন্য মার্কিনীদের ঘাঁটিটি করা হচ্ছেনা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময়ও মানবাধিকারের কথা বলে নাক গলাতে চেয়েছে তারা।
বাংলাদেশের অাজকের এই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়েও নোংরা রাজনৈতিক চাল প্রয়োগের চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে দেশটির সংশয় প্রকাশ- মার্কিন কূটকৌশলের অংশ ছাড়া অার কিছুই না। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র যারা মার্কিনিদের হস্তক্ষেপ পছন্দ করেন না তাদের বিপরীতে ‘মানবাধিকার’, ‘গণতন্ত্র’ এসব ইস্যু ব্যবহার করে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও মার্কিনীরা সেই চেষ্টাই করেছে।
অপরদিকে জন্মসূত্রে বাংলাদেশের শত্রু পাকিস্থানের ব্যাপারে অালোচনা করার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ অামরা সবাই জেনেছি এবার ঐক্যফ্রন্টের তিনশ অাসনের প্রার্থীই পাকিস্থানের অাইএসঅাই সমর্থীত। এসব বিষয়ে অালচনা করলাম কেন? অাজকের নির্বাচনে জনতার রায় কোন পক্ষে হওয়া প্রয়োজন। যদি বলেন দেশে কর্তৃত্ববাদি সরকার প্রতিষ্ঠিত।তাহলে বলবো একটু পেছন ফিরে তাকান, দেখুন দেশে তৃতীয় শক্তির হাত থেকে এই দেশকে রক্ষা করছে কিন্তু এই সরকারই। এমন একটা শক্তিকে বিলুপ্ত করতে একটু কর্তৃত্ববাদি হতেই হয়। অার এটার জন্য বিগত সময়ের ক্ষমতাসীন রাজনৈতীক দলগুলোর ভুলকেই অামি দায়ী করবো। তারপরও এটা দেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। বিদেশি কোন শক্তি নয়। ভুল সংশোধন করে দেশের অভ্যন্তরীন ব্যাপার মোকাবেলা করতে দেশের জনশক্তিকে এক কাতারে অানতে হবে। এ দেশের জনগণই সকল সৈর শাষককে কানে ধরে নামিয়েছ, বিদেশী কোন শক্তির প্রয়োজন হয়নি। বিদেশী শক্তির সহযোগীতায় কোন সরকার গঠন হলে অামাদের অাবার পরাধীন জনগোষ্ঠীতে পরিণত হতে হবে এটা মাথায় রাখতে হবে সকল নাগরিককে। অার ওই পরিস্থিতিতে বিদশি স্বার্থের জন্য অাবারো দেশে জঙ্গী তৎপড়তা,সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠবে। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই বিদেশীরা তাদের স্বার্থহাসিল করার সুযোগ পায়। সুতারাং অামি বলবো অাজকের নির্বাচনে জনতা রায় দিবে তারা স্বাধীন থাকবে না পরাধীনতার গোলামি করবে।##
লেককঃ বুলবুল অাহমেদ সোহেল।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি,একাত্তর টিভি,রেডিও আমার 88.4fm, দৈনিক খবরের পাতা,বিডি নিউজ টুয়েন্টফোর ডট কম।
সাধারণ সম্পাদক,নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্ণালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন।
যুগ্ম সম্পাদক,নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫০