১।
সেই নামের আদ্যাক্ষরে নমিত জলদিঘি- পাথরে পাথরে যার সজল শ্বাস- কান্না আজ পরাগের ম্লান আয়ন- খড়িমাটি তাই শ্লোক-
২।
শুরুটা তোমাকে দিয়ে শেষটা আমি নিলাম,
এখানে দুঃখ নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না-
কালান্তরে এটাই মানবিক এবং পৃথুলা;
ভোগব্যাধি আমার জন্য অচেনা প্যাডলক
দেখি চিলের পালক আমাকে কতটা বিভ্রমে নিয়ে যায়!
তুমি জানালার কপাটে প্রার্থনা রেখে অন্ধকার মেনে নিও শুধু!
৩।
আমার আকাশ আর পাথরের বালি-ধুলো বেশবাস-কফিনের সহজাত ভেবে
মাটির নিদ্রা ভালবেসে-মাটিতে করি শয়ন- আর
ভেবে নিই অলক্ষ্যে্র মহারাজা গগলস চোখে, তাকিয়ে- বিরক্ত আবার কৌতূহলে আশাময়
যেন জগত আর লয়ের মাঝখানে প্রতিভূ এক পর্দায় মানুষের সব আহাজারির সমান্তরাল
বেদনা তার চাদরে- দয়ার অর্ঘ্যে।
আমি ঘুমিয়ে পড়ি অতঃপর।
৪।
তোমাকে দেওয়া শব্দমালা
*
তারপর একদা সবাই টুপ করে হারায়- মেঘের অরণ্যে অথবা নীলাভ জলকণায়
আর পড়ে থাকা এই শব্দমালা শুধু কাঁদে একা হওয়া মধ্যরাতে--.
*
চল, বাতিল হওয়া মাঝরাতে সরবরে ভিজি চুমুকের মতো নেশায়-
লিখে ফেলি আশায় অপরাহ্ণে বসে থাকা বকের পালকে হালকা বাদামি শব্দমালার দৈর্ঘ্য-
৫।
তুমি কেন টোল ফেলা গালে মাঝরাতে নভঃশুন্যে বাজাও আনত বাঁশি-
পারাপারের ডিঙি সুস্থির জলে অলস বিহঙ্গ যেন, শুধু আমাকেই বলে
চলো রাতদিন একাকার করে, যারা বেচে আছে ফোয়ারার মতো
তাদের ঘুম কেড়ে নিয়ে, খুঁজে দেখি
কোন টোল ফেলা সুকন্যা কুমুদ ভোরে এই আলোয় অপেক্ষিত!
৬।
মানুষের কোলাহল থেমে গেলে, বৃষ্টি নামে অত:পর
বর্ষার একাকিত্ব ভাগ করে নির্জনতা আর
কেউ কেউ যারা অভাগা- গতিহীন, মানচিত্রের বাইরের ভূখন্ড বিশেষে
পৌষের গন্ধ শুষে জলরঙা পৃথিবীর অন্যভাগে থমকায়, ভাবে
বৃষ্টি আর শৈতপ্রবাহে কেন মানুষের অনিহা;
ভালোবাসা খেলে গেলে বিষ্মিত তারকায় যে দাগ লেগে রয় তারি নাম
কি বিচ্ছেদ!