যৎসামান্য আলোয় একটা একটা নিভে যাওয়া নক্ষত্র হারাচ্ছে, যেন তুন্দ্রায় এলোমেলো ছড়াচ্ছে পাখির নীড়ের শক্ত মখমল, যেখানে বিন্দু বিন্দু ঘাম কখনও আলোর স্বপক্ষে আবারও বা অন্ধকার।
তুমি আরোপ করো বয়স্ক বিভেদ, খরগোশের মতো বিশ্রাম, হঠাৎ শীতল টেমসের জুলফি ধরে গজানো আলোকপাতলুন; আমি, সেই যে একটি নক্ষত্র হারিয়েছিল, সেই তুন্দ্রাপাখির এলোমেলো মখমলের বিন্দুনীড়ে আমার মতলবের পাগড়ি গুঁজে রাখলাম। মানুষের মতো কচ্ছপ হয়ে এসো, জমিনে তুমি চার’পা ছড়িয়ে বলো এটা বিশ্রাম-
দেবদূত যারা তোমার আমার খবর নেয়
দেবদূতগণ যারা পাঁচ নম্বুরী জাবেদা খাতায় তুলে রাখে পুণ্যের হিসাব-
দেবদূত আর রবাহুত স্বজাত এমনি ছড়াবে তখনও নেশা, আর হঠাৎ বালখিল্যের পরনে দেখ মধ্যপদলোপী নক্ষত্রবিতান।
যৎসামান্য একটি নক্ষত্র পাখির বাসাটিতে এলো উড়ে
টেমসের স্থির জলরাশিতে একটি কচ্ছপ- দেবগূতগণ লাল বাস ধরে নীল সাকোয় হারায়;
তুন্দ্রাপাখি, তুমি একটি নক্ষত্র লুকাও, তোমার বিশ্রামদিনে একটি একটি জাবেদাখাতা টেমসের জলে ডুবে ডুবে ছবি আকুক, পাথরের- ঘামের ঘ্রাণ অথবা আলোর বিপরীতে সেই অন্ধকারের।