নিরবতা যেখানে শব্দ সেঁচে মুক্ত আনে, মুক্তির; সেখানে
কবির চুইয়ে পড়া রক্ত দেখে যদি ঘুম ভাঙ্গে ঈশ্বরের,
সমসাময়িক খরচের খাতা আর একটু দেখবে কি বান্ধব
উদাসী অপেক্ষাভোরে খেয়ালী রাগীনি কতটা স্বেদকণা ঝরিয়েছে
অথবা, কবি হতে চাওয়া ঐ মৃতনক্ষত্র কতটা বেয়াড়া সময়
গুম মেরে ছিল সংক্ষিপ্ত যাতনায়!
কেন কবির কাছে এ প্রশ্ন তোমার! যখন বিভেদে প্রতিটি মানুষ
আজ রাজনৈতিক, অন্তঃপ্রাণ এবং ভবিতব্যের গরাদে ঘুমানো
আসাদের শার্ট শুধুই ব্যাকরণ; তোমার উধাও ছাদের খুব
মনোরম বর্ণনা এখন বাংলা একাডেমীর নোংরা সেলফে দোল খায়!
হলুদ পিচুঁটি আর আদা চা'য়ের আচ্ছদনে খুঁজে পাবে না অক্ষর কোন
নিরুদ্দেশে, অভিমানে, প্রতিবাদহীনতায় আর কি থাকে, বান্ধব!
তুমি এভাবে আমাকে খুঁজো না, এভাবে পাবে না আমায়;
কখনও যদি যশোর রোডে যাও, কখনও যদি আমঝুপিতে যাও
বদলে যাওয়া কার্ণিশে দেখ চুপচাপ একটা শালিক নজরুলগীতি গায়
তাহলে জিজ্ঞেস করো কেন নিরবতাকে অদৃষ্ট ভেবে ১৬ কোটি মানুষের
সাথে রাজনৈতিক হয়েছিলাম আমি!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪০