শহুরে আগুনে যে বিষ্ময় ছিল-
আধারে বা রক্তাক্ত জ্যোৎস্নায়। ব্যাকুল চডুইটা ডেকে
গেলে, সব বিদায়ী পাতারা তোমার মতো চুপচাপ-
জেনারেটারের দ্বান্ধিক শব্দ কিছুটা আলো আনে, যা
তুমি ব্লাডমুন ঢাকবার পাইতারা বলতে পারো।
পাখিরা ঘুমায়, কুইন এলিজাবেথ ঘুমায়- কবি শামসুল হক ঘুমায়;
বাতাস যদিও দ্বৈরথে ডাংগুলি খেলে হাওয়ার সাথে।
একটা লাল অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র আমার সামনে নগ্ন হয়ে বসে আছে-
ফেসবুকের কবিতারা যেমন; তুমি পাঠ করো না করো সব খুলে বলে
আমি ভালোবাসা, আমি মন্দবাসা,
আমি সুধীন্দ্রনাথ কিংবা মিয়্রমান বন্দে আলি মিয়া-
কুইন এলিজাবেথ কি কবিতা পড়েন!
পাখিরা কি গ্রীন পার্কের কোণে শুধু ‘রব’ করে ডেকে উঠে!
জেনারেটরে কি ব্লাডমুনের ব্যাখায় কোন অলৌকিক জোছনা ভর করে রাতভর!
ব্যাকুল চডুইটা কৈশরের খোল রাস্তার মোড়ে সেই সাংকেতিক টুংটাং-
যেখানে বিভক্ত হয়েছে সমাজতন্ত্র সেখানে মানুষের গণজোয়ার নিয়ে অকস্ম্যত
কুইন এলিজাবেথ বাকিংহামের ছাদে এসে দাঁড়ান;
যেন কবিতা শুধু বই’এ নয় বিরাট ম্যাপলের গম্ভীর ছায়ায়-
কবিতা আজ নগ্ন লাল অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের গায়ে-
খাজকেটে লেখা নারদ মুণির অসংখ্য কির্তণ।
আমি কিছুটা আলো নিকোটিনের তন্তুতে রেখে শহুরে আগুনে জোছনা ছড়িয়ে দিই,
আর কুইন এলিজাবেথের শাদা গাউনে বর্ণিল উষ্ণতা পিচকিরি মেরে বলি
কবিতা বস্তুবাদের সবচে বড় নিগ্রহ।।
গ্রীন পার্ক
মধ্যরাত। ২৮.০৭.২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩