যেখানে নি:স্প্রভ একাদশী বর্তুল
রেডলাইনে হেটে বেড়ানো হলুদমুখি গিনিপিগ, আর
পকেট ফুটো করে শুধু বিয়োগ হওয়া ঈষৎ পেনিমুদ্রা-
সেখানে চককাটা হাওয়াই শার্টের বোতাম খুলে মধ্যবয়সী যে কবি পুরোদস্তুর আসমানে তাকিয়ে,
তার বিষন্নতা কতটা বদলাতে পারে পারিপার্শ্বিক!
আমি এ প্রশ্ন করেছিলাম সেই ভুলে যাওয়া সুখী যুবরাজ’কে একবার;
আমি তাকে গল্পের ছলে বলেছিলাম,
তোমার নিলকান্তমণি চোখ’জোড়া যে রাত্রীতে ম্যাগপাইটি খুলে নিল,
সে রাতেও তুমি সুখী হয়েছিলে কিনা!
যুবরাজ আমাকে নরওয়েজিয়ান রুপকথার একটা স্থুল বর্ণনা শেষে শুধু বলেছিল,
মানুষের সুখে শোক ঢেকে যায় নিয়ত।
কারো দীর্ঘশ্বাস কতটা ঘণ তার উপর তার যাপনের পরিমিতিবোধ;
কেউ কেউ অপেক্ষা করে বন্ধু’র, কারো কাছে দু:খ শুধুই পোড়া হৃদয়ের জান্তব বিভৎসতা-
একে একে নামফলকের মদ ফুরিয়ে ‘বারবার’ জ্যাকেটের তামাটে স্ন্যাপবাটনের মতো ম্লান হয় পরিণত বিভেদ;
ক্রমে ক্রমে একাদশী মিলিয়ে যায় নিকশ শেষরাতে,
ম্যাগপাইটি অসহ্য তুষারপাতে পরিত্যাগ করে নিজস্ব খোলস;
যুবরাজ অন্ধ হয়ে কবি’র কন্দরে ঢুকে ছিনিয়ে নেয় শতরন্জীর সবকটা রঙ-
প্রাণের তরে এই প্রেমময় উপাখ্যানে আনত হয় যাবতীয় উষ্ণিষ।
আমার মনে পড়ে কোন এক সন্ধ্যায় যে প্রাচ্যদেশীয় বালিকাযুগলকে আমি শুনিয়েছিলাম মহৎ এ হৃদয়বৃত্তান্ত আর
তাদের চকচকে মুক্তো দানার মতো মতো অশ্রুবিন্দু আমার পরিতোষক হিসাবে রেখেছিলাম সংরক্ষিত নষ্টাজিয়ায়-
তার কোন এক সৎকার, এই প্রান্ত মহাদেশে আজ হয়ে গেল নিভৃতে আরেকবার।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৮