গতকাল সমুদ্রে গিয়েছিলাম, যেখানে পাহাড় অবধি লোনা বাতাস আর সুন্দরতার হাহাকার বইছিল। আমি খুব চুপচাপ একটি খালি পাটাতনে বসে হাওয়ার ঢেউ গুনছিলাম। নভেম্বরের শীত কাঁপিয়ে নিচ্ছিল পরিধেয় জিলেটি; অদূরের শ্বেতাঙ্গী একজোড়া ভালোবাসায় লীন হওয়া চুম্বন শুধু কিছুটা উষ্ণতার পরিমাপক ছিল। ভাবছিলাম দেহজ কাম হয়ত রক্তেরও পরিচয় বদলে দেয়।
আলবেনিয়া এক দম্পতির ফিস এন্ড চিপসের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে আড়চোখে দারুণ ফর্সা সদ্যযৌবনা এক উরত আমাকে আবারও কিছুটা ওমের পরশ এনে দিল- কেঁপে উঠা শীতলতা অথবা এই চকমকে কামজ আগুনের কোন সঠিক ব্যাখ্যা আমার কাছে ছিল না। আমি শুধু ভেবেছিলাম- এভাবেই মানুষ বৈধতা দেয় ভেতরকার পাশবিক মনবিহারের।
সমুদ্র আমাকে স্বস্তি দিয়েছিল, অচেনা কিছু উদ্ভিন্নতা আমাকে উষ্ণতা দিয়েছিল; অথচ আমার খুব প্রিয় বান্ধব বিবেক আমাকে বলেছিল, 'তোমার সাথে কিন্তু আমি নেই তাহলে, যত্রতত্র এই পশু হয়ে যাওয়া মানুষের অভিধানের বাইরের অনুচ্ছেদ, যেখানে আমি শুধুই মৃত।'
আমি অতঃপর বিবেকের কাছে পরাস্ত হয়ে ফিরে যাওয়ার ট্রেনে উঠলাম, নির্বিবাদে। আমি চাইনি মৃত বিবেকের প্রেতাত্মা আমাকে তাড়া করে ফিরুক।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৪