somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প : টম হাউজ

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার প্রথম গল্প লেখা।
টম হাউজ


প্রায়শই অপু একটি স্বপ্ন দেখে চলেছে। সিরিজ স্বপ্ন। একটি অপার্থিব সবুজ বন আর অদ্ভূত এক জলপ্রপাতের স্বপ্ন। শুভ্র পাথরের গা বেয়ে গড়িয়ে পড়ে আশ্চর্য ঢেউ খেলানো জল। অপু স্বপ্নে যখনই পানি ছুঁয়ে দেখতে যায় তখনই কেন যেন ঘুমটা ভেঙে যায়।

ওয়েলসের নিউপোর্টের একটি পুরানো প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন ভিলাতে সে আপাতত থাকছে। উপরের ও নিচের অনেকগুলো রুমের একটিতে সে একা থাকে। সে যে প্রতিষ্ঠানে নেটওয়ার্কিং ইন্সট্রাকটর হিসেবে জয়েন করেছে সে কোম্পানির এটি নিজস্ব প্রপার্টি। ভবিষ্যতে এখানে সংস্কার করে একটি শাখা অফিস করার পরিকল্পনা রয়েছে। লন্ডন থেকে এতদূরে তার পরিচিত কেউ নেই তাই আপাতত এই ব্যবস্থা করা।

বাড়ীতে সরাসরি আসার কোন ব্যবস্থা নেই। মোটরে অথবা পায়ে হেঁটে ছাড়া। একটি নিঃসঙ্গ টিলার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে কয়েকটি বাড়ি। পিছনদিকটা ঘনজঙ্গল, তারপর একটা খাদ এবং বহু দূরে আর একটি টিলাতে কিছু জনবসতি।

প্রথমদিন ওর সাদা মেয়ে কলিগটি যখন চাবি দিয়ে ওকে বাড়িটির সামনে ছেড়ে দিয়ে গেল, তখন সত্যি কি বেশ অন্যরকম একটি অনুভূতি হয়েছিল। দীর্ঘদিন বিলেতে আছে সে। লন্ডনের জনাকীর্ণতায় থেকে থেকে মানুষ আর শব্দের সাথে তার বন্ধুত্ব প্রগাঢ়। সেখান থেকে হঠাৎ তাকে এই নিঃশব্দ, নির্জনতা যেন একরকম শীতলতা বইয়ে দিল।

নিচের তলার টয়লেটের লাগোয়া একটি ঘরের চাবি তাকে দেয়া হয়েছে, যদিও বিস্তৃত সিটিংরুম, কিচেন এবং ব্যাক গার্ডেনে যাবার পথ উন্মুক্ত। অপু লাগেজ খুলে চেঞ্জ হয়ে কিচেনে ঢু মারলো। কিচেন থেকে পিছনে বাগান, খাদ এবং দূরের পাহাড়টি যেন জন কনষ্টেবলের তৈলচিত্র। একমগ কফি তৈরি করে সে বাগানের লাগোয়া বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। সূর্যটা ঢলে পড়েছে অস্তাচলে। পুরো আকাশজুড়ে লাল মেঘের ইতস্তত আলপনা। অনেকটা মন খারাপ করা গোধূলি। তার মনে পড়লো এক এক করে ফেলে আসা সব স্মৃতি। কৈশোরের ঢাকা শহর, ধানমন্ডি লেকের পাড়ের অদ্ভুত জাহাজবাড়ি, যৌবনের লন্ডন, এপিং ফরেষ্টের নিকষ সবুজাভাব, থেমস উপকূলে সন্ধ্যার কোলাহল এসব।

রাতে এগ নুড্যুলস দিয়েই ডিনার সেরে ল্যাপটপটা নিয়ে ঘুমাতে গেল সে। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝতে পারেনি। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল প্রথম ঐ স্বপ্নটি দেখে। আলো জ্বলে দরোজা খুলে বের হলো টয়লেটে যাবার জন্য। করিডোর অন্ধকার। সুইচটি কোথায় জানা ছিল না। বেডরুমের আবছা আলো কিছুটি পড়েছে করিডোরের চাতালে, তা দেখে অনুমানে ও টয়লেটে ঢুকলো, টয়লেট শেষে আলো নিভিয়ে করিডোরে পা রাখতেই বুকের মাঝে ছ্যাত করে উঠলো। মনে হলো কে যেন ওর পিছনে দাঁড়িয়ে। কোনোদিকে না তাকিয়ে অপু বেডরুমে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে দিল। ঘড়িতে রাত দেড়টা বাজে। হঠাৎ মনে হলো ও এই বাড়িতে সম্পুর্ন একা, না বাড়িতে নয় এই পাহাড়েও ও সম্পুর্ন একা। একটা অপার্থিব শিহরণ ওর শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে গেল!

ফোনটি হাতে নিয়ে ঢাকার একজন বন্ধুর নম্বরে ডায়াল করলো। দেশে এখন সবে সকাল। সবাই ব্যস্ত তবুও ওর কলটি সে রিসিভ করলো। টুকটাক কথা হলো। ফোন রাখার পর অপুর মনে হলো ভয়টি একটু কেটে গিয়েছে। সে আলো নিভিয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করলো এবং যথারীতি ঐ স্বপ্নটিতে ডূবে গেল।

এভাবেই নিউপোর্টে অপুর দিনযাপন শুরু হলো। প্রতিদিন সকালে ওর কলিগটি ওকে নিয়ে যায় আর বিকেলে পৌঁছে দেয়। মাঝে মাঝে ও সুপারমার্কেট থেকে বাজার করে আনে।

এভাবেই কেটে গেল এক সপ্তাহ। এ’কদিন ও প্যাসেজের আলোটি জ্বালিয়ে রাখে। রাতে ল্যাপটপে টার্মিনাল টাইপের মুভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ে।

ফ্রাইডে ইভিনিং-এ সে নিউপোর্ট শহরে নেমে পড়লো। টুকটাক কিছু কিনে পায়ে হেঁটে ফিরবে এই পরিকল্পনা। একটি বাঙালি গ্রোসারি থেকে কিছু মাংস, মশলা কিনে সে হাঁটতে শুরু করল। উইকেন্ডের ইভিনিং। সবাই ফুরফুরে মেজাজে ফিরছে। কেউ কেউ সেজেগুজে পাবে যাচ্ছে সন্ধ্যা উদযাপন করতে। এসব দেখতে দেখতে ও বাড়ি ফিরলো। তখন সবে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। বাইরের গেইট খুলতে ওর মনে হলো কিছু একটা ছায়ার মতো স্যাত করে যেন সুইপার লেইন দিয়ে ব্যাক গার্ডেনে চলে গেল। বুকের মধ্যে ঢিপঢিপ করে উঠলো একটু। তবুও সাহসে ভর করে ও দরোজা খুলে বাড়ীতে প্রবেশ করলো। আলো জ্বেলে কিচিনে রাতের খাবার তৈরি করতে লেগে গেল। আজকে ল্যাম্ব বিরিয়ানি রান্না করবে সে। রান্না করে খেতে খেতে রাত এগারোটা। তাড়াহুড়ো করে বেডরুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লো অপু।

আজ আবার সেই স্বপ্নটি দেখল। একটি নিঃসঙ্গ ঝর্না। টলটলে পানির ফোয়ারা নামছে। হঠাৎ একটি বৃহৎ আকারের কুকুর তার পাশে খেয়াল করলো। একদম গা ঘেঁষে একদৃষ্টে ঝর্নার দিকে তাকিয়ে আছে। অপু পাশ ফিরে কুকুরটির দিকে তাকাতেই জেগে উঠলো। যেন স্বপ্ন নয়, সত্যি। আলো জ্বলে বিছানার পাশে আনমনে কুকুরটিকে খুঁজলো। তারপর মনে হলো আসলে তো স্বপ্ন দেখছিল! গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছে। আজ পানির বোতল ভুলে নিয়ে আসা হয়নি। কিচেনে দিকে গেল সে। অন্ধকার কিচেনের বড় কাঁচের জানালা দিয়ে চুইয়ে নামছে চাঁদের আলো। দুরের পাহাড়ে বাড়িগুলোকে মনে হচ্ছে কিম্ভুত অপচ্ছায়া। দরোজা খুলে বাগানের খোলা বারান্দায় এসে দাঁড়ায় ও। শুনশান নীরবতার উপর দুধশাদা জোৎস্না এক অপার্থিব আবহে থমকে আছে। মনে হচ্ছে ভরা পূর্ণিমার পোয়াতি আলোকম্ভারে পিয়ানোর টুং টাং এর মতো একরকম দূরাগত জলপ্রপাতের ধ্বণি তার বাহ্যিক অনুভূতির উপর চলাচল করছে অবিরত। কতক্ষণ সে এভাবে দাঁড়িয়ে ছিল জানে না। হঠাৎ বাগানে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট গাছ নড়ে উঠলো যেন। আর তার ফাঁক দিয়ে মাথা বের করে আছে একটি না নেকড়ে না কুকুরের অদ্ভুত লোমশ মাথা। চোয়ালটা ঝুলে আছে। এত দুর থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তার জ্বলজ্বলে দুচোখ আর মাড়ির দুপাশে বেরিয়ে থাকা দুটি শ্বদন্ত! যেন এখুনি ঝাঁপিয়ে পড়বে তার উপর। এই জন্তুটি সে একটু আগে স্বপ্নে দেখেছে! ভীষণ একটা ভয়ে তার বাহ্যজ্ঞান লোপ পেল যেন। মাথাটা ভোঁ ভোঁ করে উঠলো। তারপর কি হলো অপুর আর মনে নেই। ভোরে সে নিজেকে আবিষ্কার করলো তার বেডরুমের বিছানায়। হাত বাড়িয়ে বেডসাইড টেবিলে রাখা পানির বোতল থেকে ঢকঢক করে পানি পান করলো। তাহলে কি পুরোটাই স্বপ্ন ছিল! আর যদি স্বপ্ন না হবে কিভাবে সে বিছানায় এলো!

পরের দিন শনিবার ওর অফডে। সকালে গুগোল করে দেখলো গতকাল পূর্নিমা ছিল। একটু বেলা বাড়তেই সে বাগানে গেল। বাগানের সীমানায় কিছু কিছু ছোট গাছ, তারপর ঘণ বড় গাছের সারি। নিচু হয়ে খাদের দিকে নেমে গেছে। ও বাগানে তেমন কোন সন্দেহজনক কিছু পেল না। এমনকি কোন জন্তুর পায়ের ছাপও পেল না। এরপর ও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বাড়ীটি পরীক্ষা করতে লাগলো। অবশেষে বেসমেন্টের দরোজা খুঁজে পেল। বেশ বড় বেসমেন্ট। অনেকগুলো তালাবদ্ধ ঘর। একটা পুরানো গন্ধের সাথে বন্ধ বাতাসের গুমোট হাহাকার। মনে হলো ও যেন টাইম মেশিনে করে চলে গিয়েছে প্রাচীন এক গুপ্ত সৌধের বন্ধ শবাধারে। ফিরেই আসছিল নিচে থেকে এমন সময় ওর চোখে পড়লো বেসমেন্টের দেয়ালে ঝুলানো একটি তৈলচিত্রের দিকে। আবছায়ায় মধ্যযুগীয় ধাঁচের একটি ওয়েল পেইন্টিং। বৃহৎ আকারের চতুষ্পদের খয়েরী রঙ, লোমশ মাথা আর চোয়ালের ফাঁক দিয়ে বের হওয়া শ্বদন্ত! এত পুরানো ছবি কিন্তু তার চোখদুটো যেন জীবন্ত। কি এক ভয় আর সম্মোহনে ওর পা আটকে গেল। মনে হলো ও হয়ত আর উপরে উঠতে পারবে না, এখুনি হয়ত রক্তজল করা হুংকারে জন্তুটি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। কোনক্রমে নিজেকে টেনে তুললো উপরে।

আর কিছু ভাবতে পারলো না অপু। লাগেজ গুছিয়ে একটি ট্রাক্সি কল করে শহরে চলে এলো। সস্তার একটি হোটেল দেখে উঠে পড়লো। পরের উইকে কাজে গিয়ে সে তার ম্যানেজারের কাছে চাবি গছিয়ে দিয়ে বলল, সে একটি বাসা খুঁজে পেয়েছে শহরের ভেতরে তাই আর ঐ বাড়ীতে থাকার প্রয়োজন নেই। বস তাকে আর কোন প্রশ্ন করলো না। অপুর নির্বিঘ্ন জীবন শুরু হলো আবার। সে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি স্থানীয় পরিবারে পেইং গেষ্ট হিসাবে থাকা শুরু করলো। বেশ ভালোই কাটছিল দিনগুলো।

ঐ ঘটনা অপুর মনে থেকে একেবারে মুছে গেল বলা যায়। একদিন তার বাড়িওয়ালারা সবাই হলিডেতে পাশের শহরে গেল। বাড়িতে অপু একা। সন্ধ্যায় তাড়াতাড়ি ডিনার করে সে ঘুমিয়ে পড়লো। আর সেই রাতে সে আবার স্বপ্নে ঐ ঝর্না এবং কুকুরটি দেখলো। মনে হলো ও পরিত্যক্ত বাড়িটির খাদেই যেন ঝরনাটি প্রবহমান। সে ম্যাপলগাছে ঠেস দিয়ে দেখছে জলপ্রপাত। হঠাৎ শুকনো পাতায় পায়ের শব্দে তাকিয়ে দেখলো সেই ভয়ংকর চোখজোড়া। কুকুরটি তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। যেন তার শরীরের উষ্ণতা এবং ঘ্রাণ সে সনাক্ত করতে পারছে। জন্তুটি একদৃষ্টে দেখছে পানির প্রবাহ। হঠাৎ কি হলো যেন লাফ মারলো খাদের অতলে। একটি অস্পষ্ট শব্দ পানির প্রবাহে হারিয়ে গেল দিগন্তে, আর অপু ঘামে ভিজে ঘুম ভেঙে উঠে বসলো। মনে হলো একটা বোটকা গন্ধ ছড়িয়ে আছে ঘরময়। স্বপ্নটি এত জীবন্ত এবং সমসাময়িক যে অপুর বেশ কিছু সময় লাগলো ধাতস্থ হতে। তার বাকিরাতটুকু আর ঘুম হলো না।

নিউপোর্টে অপু দু’বছর কাজ করেছে। ঐ রাতের পর সে আর কোনদিন স্বপ্নে ঐ ঝর্ণা কিংবা কুকুরটিকে দেখেনি। পরে ও লন্ডনে চলে আসে এবং সেখানেই সেটেল্ট করে। এই অভিজ্ঞতা সে বহুবার চেষ্টা করেছে কাউকে বলার কিন্তু পারেনি। সম্প্রতি অপু বিয়ে করেছে। দুজনের নতুন সংসার। তারা ছুটিতে বৃটেনের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ায়। তার স্ত্রীই মূলত ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করে জায়গা সিলেক্ট করে। একদিন ও অপুকে একটি ম্যানর হাউজ দেখায়, ওয়ালসের নিউপোর্টে। ঐতিহাসিক ভবন। সদ্য বিবাহিত এবং এডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য আদর্শ। কয়েকটি ছবির সাথে একটি ফুটনোট আছে। ফুটনোটটি এমন :

‘এই ম্যানারের ঢালে একসময় একটি ঝর্ণা ছিল। আর ঐ ম্যানার হাউজে সম্ভ্রান্ত অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধ নাইট বাস করতো। জগৎ সংসারে তার কেউ ছিল না। বৃদ্ধ প্রতি সন্ধ্যায় তার একমাত্র সঙ্গী একটি কুকুর নিয়ে ঢালে বসে ঝর্না দেখতো। কিন্তু হঠাৎ একদিন ভরা পূর্ণিমার সন্ধ্যায় বৃদ্ধ পা পিছলে ঐ খাদে পড়ে যায়। কুকুরটি তার মনিবকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকে এবং তাকে টেনে তোলার জন্য বিপজ্জনক খাদের ধারে নেমে পড়ে। বৃদ্ধ কুকুরটি ধরে উঠে পড়ে কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে কুকুরটি আর উঠতে পারেনি। সে অতলে তলিয়ে যায়। বৃদ্ধটি কুকুরের এই শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। সে ম্যানার হাউজটির নাম রাখে ‘টম হাউজ’! কুকুরটির নাম ছিল টম। বৃদ্ধ টমের একটি বিশাল ওয়েল পেইন্টিং আঁকিয়ে নেয় বিখ্যাত একজন চিত্রকর দিয়ে এবং সেটি বাড়িটির বসার ঘরে ঝুলিয়ে রাখে। এর অল্প কিছুদিন পর একরাত্রিতে ম্যানর হাউজটি আগুন লেগে বৃদ্ধ নাইটের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্রের সাথে পেইন্টিংটিও পুড়ে যায়। সময়ের পরিক্রমায় ঝর্ণাটি শুকিয়ে গিয়েছে, ম্যানর হাউজটিও বিভিন্ন সংস্কারের ভেতর দিয়ে আজকের এই কাঠামোতে দাঁড়িয়ে আছে।

তবে জনশ্রুতি আছে ভর জোছনায় এখনও নাকি বাড়িটির আশেপাশে কুকুরটিকে দেখা যায়। কেউ কেউ দাবী করেছেন তারা নিশুতি রাতে ঝর্ণার শব্দ শুনতে পায় হঠাৎ হঠাৎ, আর রক্তহীম করা কুকুরের গর্জন। যদি আপনি সৌভাগ্যবান হন তবে হয়ত এই প্রভুভক্ত কুকুরের দেখা পেতেও পারেন কিংবা কালের অতলে নিশ্চিহ্ন হওয়া মৃত ঝর্ণার হ্যালুসিনেশন!’



কামরুল বসির
০২/০৭/২০২১


সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×