কালঃ
বিষন্নতার অবসাদ; চতুষ্পদ রাত্রির মত ধেয়ে আসছে যেন চারদিকে, কোলঘেষে!
আমিঃ
সম্ভোগ সুখ চাই, শোনো হে বিষাদ
যুবতী চাই পরিপূর্ণ ভরা ভরা; কমদামী নয় একটুও
বিষাদ তুই ফিরে যা
ওগো তরুনমেদ নিমজ্জনের অতলে নাও আমায়
শুড়িখানার নর্তকী যেন আর ঘাঘরা পরে নাচে না কখনও!
বিধাতাঃ
রাত ও দিনের মত বিষাদ তোমায় করবেই ভর
পুনরায় মোক্ষলাভ, তারপর তুমিই আনন্দ!
আমিঃ
অপেক্ষা তো খুব প্রগাঢ় দয়াময়
আমার কন্ঠভরা সৌভিক জ্বরা, প্লাবনেও আমি টলবো না!
বিষাদঃ
মানুষ! তোমার ডুবে যাবার গভীরতায় আমার পূনরুথ্থান
সুখের কতটাই বলো সজ্ঞানে!
আমার চুম্বন যতই তিক্ত হোক, এ বড় সুনিপুন, খুব আপনার
আর কালের মত দীর্ঘস্থায়ী; এসো আলিঙ্গন করো আমায়!!
আমিঃ
কখনও ফুরাবে এ সুখময়তা, কখনও সুরা ঠেকবে তলনীতে
সম্ভোগসুখ পালাবে সিঁদকেটে, ভাবিনি এসব ভাবিনি
জীবন আশাহীন, তপন বারিধি শুকনো ব্যাকুল হবে, ভাবিনি!
তবে তাই হোক, আসুক বিষাদ, আসুক মৃত্যুময়তা
আমি অপেক্ষায় এ জীবন, এ যাপনের সাময়িক ব্যবচ্ছেদ কে
স্বাগত জানালাম।
সুখঃ
হায়, মানুষ! আমাকে হৃদপিন্ডর গোপনে পুঁতে, তোমার কলহ
মিছে মরিচিকায়; একটু হাতালে বিবেক সে-ই দিতো সন্ধান আমার!
আফসোসের বেশাতী আর তোমায় করতো না উতলা।
সুখ আর বিষাদের কষ্টিপাথর তো বিবেক!!
১৭/০৪/২০১৩
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৫