সময় করে ওঠতে পারছি না বেশ কয়েকদিন ধরে। বাদশাহ সোলায়মান (আ.) বলেছিলেন, পতনের পূর্বে অহংকার। পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর দিয়ে তার সেই কথাই সত্য প্রমাণিত হলো। পাকিস্তান এবার তাদের দল পাঠাতে গড়িমসি করেছিল। নির্লজ্জ দরকষাকষিতেও তারা লিপ্ত হয়েছিল। অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও সিরিজ থেকে প্রাপ্ত লাভের অর্ধেক তারা দাবি করে বসে। তারা নাকি বেশি 'সেইলেভল' - অর্থাৎ তাদের আকর্ষণেই মানুষ টিকিট কিনে খেলা দেখবে, এই তাদের যুক্তি।
টাইগাররা গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচটিতেও প্রতিপক্ষকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রমাণ করে দিলো, কারা বেশি সেইলেভল। তিনটি ম্যাচের একটিতেও পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা মাথা তুলে দাঁড়াইতে পারেন নি, বরং প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের রয়েছে সেন্চুরির রেকর্ড। এতে পাকিস্তানের কেবল খেলার পরাজয় হয় নি, তাদের অতিরিক্ত অহংকারেরও পতন হয়েছে।
খেলায় জয়ের আনন্দের সাথে রয়েছি কিছু অস্বস্তি। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে চরম অবনতি হয়েছে, তার বড় প্রমাণ হলো গত ২১ এপ্রিলে সংঘটিত ব্যাংক ডাকাতি ও মানুষ হত্যা। প্রকাশ্য দিবালোকে সিনেমার স্টাইলে কিছু যুবক এসে ম্যানেজারের কাছে ভল্টের চাবি চায়। না দিতেই গুলি। তাতে ম্যানেজার এবং গানম্যানসহ ৫/৬ জন স্পটেই মৃত্যুবরণ করে। এমন লৌমহর্ষক ঘটনা কেবল মুভিতে দেখতে পাওয়া যায়।
একটি অকথ্য নারী-নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এবারের বর্ষবরণ উৎসবে। এর বর্ণনা দিতেও রুচিতে বাধে। দেশের সুশীল সমাজ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিবাধে ফেটে পড়ে। ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবী সকলের মুখেই ছি ছি রব। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে খ্যাত একটি প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় এত দুঃসাহসিক নোংরামি করার সাহস কাদের হয়, সেটি সহজেই অনুমেয়। মানুষ এর প্রতিবাদও করতে পারছে না। অনুমিত অপরাধীরা এসে বাধা দিচ্ছে।
যত অভিযোগই থাকুক না কেন একজন সম্মানীত ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা গর্হিত অন্যায়। একটি দলের প্রধান যখন সহিংস আন্দোলনকে বিদায় জানিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন, তখন তাকে স্বাগত জানানো ছিল সভ্য আচরণ। কিন্তু তার গাড়ি বহরে চলছে পুনপৌনিক আক্রমণ। একাজটিও যে সাধারণ জনগণের নয়, তা যে কেউ বুঝতে পারবেন।
উপরোক্ত ঘটনাগুলো কেবল অগণিত ঘটনাবলীর কয়েকটি নমুনা। এমন যদি চলতে থাকে, তবে বিরোধীদলের নেতৃত্ব ছাড়াই মানুষ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫