প্রশাসনিক অবকাঠামো, শিক্ষা ও অর্থ ব্যবস্থা, যোগাযোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়নের ফলে শিক্ষা বিস্তার লাভ করেছে এবং আমরা অনেকে হয়েছি শিক্ষিত। কিন্তু তারপরও আমরা সামাজিক মর্যাদা পাইনা কারণ যখন কেউ আমাদের বেকার বসে থাকতে দেখবে,তখন নির্দ্বিধায় বলে ফেলবে হয় নকল করে পাশ করেছে না হয় কোনমতে থার্ডক্লাস। কেউ কোনদিন জানতে চায় না কেন মিলছেনা চাকরি, কেন চাকরির নাম হয়েছে সোনার হরিণ, কেন উচ্চশিক্ষা লাভ করেও বেকার থাকতে হয়? বেকার বলতে আমরা বুঝি কর্মহীন ব্যক্তি যার ব্যয় আছে কিন্তু আয় নেই। যোগ্যতাহীন বেকারদের পক্ষে কিছু বলবনা, কিন্তু আমরা যারা শিক্ষিত বেকার তাদের এ পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী? সরকার পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান করতে পারেনা, আবার বেসরকারী সংস্থাগুলোর কর্মসংস্থানের ব্যপারেও কোন বাস্তব সম্মত নীতিমালা নেই। চাকরি পেতে বর্তমানে প্রধান অন্তরায় যোগ্যতা। চাকরি পাওয়ার আশায় আমরা সবাই সার্টিফিকেটে বয়স চুরিকরি এটা সত্য তাই হয়তো আসল বয়স জানা যায় না। তবুও আনুমানিক ২৫ বছরের কম বয়সে কেউ মাস্টার্স পাশ করতে পারে না। এই ২৫ বছর পরও যদি চাকরির জন্য অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয় এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে? চাকরি না পেলে অভিজ্ঞতা আসবে কিভাবে? আর যার চাকরি আছে, অভিজ্ঞতা আছে তার নতুন চাকরির কি প্রয়োজন? একজন বেকার পরিবেরের, সমাজের বোঝা সরূপ পরজীবি হয়ে যে বেঁচে থাকে, তাকে দেখলে মা-বাবার চেহারায় বিরক্তি ছড়িয়ে পড়ে, মানুষের তিরস্কার সহ্য করতে না পেড়ে যখন আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে চাকরি পাওয়ার জন্য এর চেয়ে বেশি আর কি অভিজ্ঞতা প্রয়োজন?
বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের বলি যোগ্যতা চেয়ে আমাদের অর্জিত শিক্ষাকে এভাবে উপহাস করবেন না। আর সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই সকল চাকরির নিয়োগ থেকে যোগ্যতার শর্ত নিষিদ্ধ করুন। না পারলে বেকার ভাতার ব্যবস্থা করুন। তাও যদি না পারেন তবে যে পরিবারে শিক্ষিত বেকার আছে তাদের কাছ থেকে কোন রকম কর নিবেন না। যে রাষ্ট্র নাগরিকের জীবন ধারণের ব্যবস্থা করতে অক্ষম আমরা তাকে কর দিতে বাধ্য নই। চাকরিজীবিরা চাকরি পাবে, তেলা মাথায় তেল দেয়ার এই নীতির অবসান চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




