একটুখানি নিয়মমাফিক চললে ঘুম নিয়ে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যায়। যখন মানুষের ইন্দ্রিয়গুলো দুর্বল হয়ে পড়ে তখন ঘুম এসে দুই চোখের পাতায় ভর করে। আবার অনেকের বেশি খাওয়া-দাওয়া করলেও ঘুমানোর প্রবণতা দেখা যায়। অনেকের মতে, মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কম হলেও অনেক সময় ঘুম পায়।
ভালো ঘুম না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ আছে। প্রথমত, মানুষের শারীরিক নানা রকম সমস্যা হলে ঘুম একেবারেই হয় না। যাদের বয়স একটু বেশি তাদের ক্ষেত্রে বয়সজনিত রোগগুলো ঘুম থেকে বিরত রাখে। এসবের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত রোগগুলোর প্রভাব বেশি দেখা যায়। আবার যাদের বাত, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তারাও ঘুম নিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়।
মানসিক নানা কারণেও ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের বেলায় পরীক্ষা বা চাকরির কোনো ব্যাপার নিয়ে টেনশন থাকলে অনেক সময় রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। মানুষের মন ও মস্তিষ্ক দুটোই যখন নানা কারণে উত্তেজিত থাকে, তখন ভালো ঘুম হয় না। আপনজনের মৃত্যুর শোকে শরীর ও মস্তিষ্কের প্রতিটি ইন্দ্রিয়ে রক্তচাপ বাধা পাওয়ার কারণে ঘুম আসে না। নেশাজাতীয় দ্রব্য নেওয়ার ফলে অনেক সময় ঘুম আসে না। অনেক সময় দেখা যায়, এক ব্যক্তি তার শোয়ার স্থানটি পরিবর্তন করলে ঘুম আসে না। প্রচণ্ড নাক ডাকার শব্দ, শোয়ার জায়গার সমস্যা এবং শোয়ার জায়গায় দুর্গন্ধ হলে ঘুম আসবে না। প্রচণ্ড আওয়াজ অথবা তীব্র আলোতে কখনোই ঘুম আসে না। মশার কামড়, রাত জেগে আড্ডা দেওয়া এবং নোংরা বিছানায়ও অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, চা, কফি ও সিগারেটের কারণে ঘুম কম হয়। যে কারণেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটুক না কেন, সে বিষয়ে খানিকটা সচেতন হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ঘুম হচ্ছে না, এ কারণে চিন্তায় অস্থির হওয়া ঠিক নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ নেওয়া উচিত নয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




