somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঙ্গালির আবেগের ফুটবলে রাজনীতিকের রাজনীতি

১৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাঙ্গালির আবেগের ফুটবলে রাজনীতিকের রাজনীতি
বোরহান উদ্দিন রুবেল
বাংলাদেশ একটি আবেগপ্রবণ জাতি পৃথিবীর অন্য কোন বিষয় নিয়ে দ্বিমত থাকলেও এই বিষয়টি নিয়ে কারো দ্বিমত নেই । এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত নেই সব বিষয় নিয়ে দ্বিমত থাকা আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যেও । এইতো ১২ জুনই শুরু হল ফুটবল বিশ্বকাপ । বাংলাদেশের যারা ফুটবল খেলা দেখে অথবা ফুটবল খেলা নিয়ে জানতে আগ্রহী তারা মূলত দুই ভাগে বিভক্ত । একটি পক্ষ হল আর্জেন্টিনা আর আরেকটি পক্ষ হল ব্রাজিল । আর যারা আবার দুটি ভাগে বিভক্ত তারা আবার অধিকাংশই যুবক । যুবক বয়সে একটু আবেগ বেশী থাকে বাস্তবতার চেয়ে এটাই স্বাভাবিক তাও আবার যদি হয় বাঙ্গালী । তাদের এই আবেগ কি পরিমান তার দুই একটা উদহারন দেয়া দরকার । গ্রামের যেই ছেলেটি তার পেটের টানে সারাদিন পরিশ্রম করতে হয় সেও সারা রাত না গুমিয়ে খেলা দেখে । আবার প্রানের বন্ধু তার বন্ধুকে খুন করে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনাকে নিয়ে মারামারি করে । আবার পরের দিন পরীক্ষাকে কেয়ার না করে সারারাত খেলা দেখে ছাত্র-ছাত্রীরা । তাদের এই আবেগকে কাজে লাগায় আমাদের দেশের তথাকথিত রাজনিতিবিদরা । রাজনীতির যে ইংরেজি প্রতিশব্দটি হল পলিটিক্স (politics) তার একটি অর্থ হলো মানুষকে জানা (to know people) । আর আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা মানুষকে জানার ব্যাপারে খুব পারদর্শী । আগে সবাই শুধু ভোটারদের দিয়েই সব হয়ে যাবে এই যে বিশ্বাস ছিল সেই অবস্থান থেকে ফিরে এসেছে কারন তারা জানে বর্তমানে যুব সমাজ একটা ফ্যাক্ট । তাই যুব সমাজকে যেভাবে আকৃষ্ট করা যায় তারা সেভাবে কাজ করে । যুব সমাজ যেহেতু ফুটবল খেলায় আকৃষ্ট তাই তারা শুরু করে ফুটবল নিয়ে রাজনীতি সেটা হোক গ্রামে বা শহরে । এইতো সেদিন বাড়িতে যাওয়ার পর দেখলাম ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে গ্রামেও ভিবিন্ন দেশের পতাকা ও ব্যানারে নিজেদের নামসহ কিছু লোক রাস্তার মোরে মোরে টানিয়ে রেখেছে । এলাকায় গিয়ে বিরোধীদলের এক কর্মীকে বললাম কি খবর সে বলল এইতো ভাল তারা আমার পোস্টার আগে চিরে পেলেছে এভার আমিও অন্য ভাবে দেখে নিয়েছি । আমি ঠিক বুঝলাম না তার ইঙ্গিতের কথা । তবে ঢাকা আসার সময় দেখলাম সে একটি দেশের পতাকার একটি ব্যানারে সৈাজন্যে তার ছবি দেয়া তখন বুঝলাম সে কি বুঝতে চেয়েছে । যাই হোক ঢাকায় এসে দেখলাম অন্য চিত্র একজন রাজনীতিবিদ দুই দলের পতাকায় তার নাম দিয়ে রেখেছে সে কোন দলের সমর্থকদের ভোট হারাতে চায়না । এত একটি গ্রামের আরেকটি শহরের উদহারন দেয়া হল এরকম আরও উদহারন আছে খেলা শেষ হওয়ার আগে আরও অনেক কিছু ঘটবে সারাদেশে । এভাবে যখন রাজনীতিবিদদের মধ্যে ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে রাজনীতি চলছে তখন পিচিয়ে নেই শিক্ষক সমাজও । যখন দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রো-ভিসি বলেন যেই দলকে হোক অন্তত অমুক দলকে সমর্থন করবনা তখন মনে হয় বাঙ্গালীর আবেগটা একটু বেশিই যে কোন জাতির চেয়ে । সরকারী কর্মচারীরা দেশের পতাকার সাথে আরেকটি পতাকা সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছে তাতে সংবিধানের নিয়ম ভঙ্গ হয় কিনা তা তাদের জানা থাকলেও মাথায় নেই । পুলিশের গাড়িতে অন্য দেশের পতাকা অবৈধভাবে নিয়ে ঘুরে আবার পুলিশ যায় অন্য দেশের অবৈধ নাগরিকদের গ্রেপ্তার করতে । আবার এভার দেখলাম আমাদের দেশের দুই নেত্রীরসাথে যোগ হওয়া আরেক নেত্রী মোট তিন নেত্রীই নাকি কোন দলের সমর্থক । তাতে আবার পা চাটা রাজনীতিবিদদের সুবিদা নিবে ওই দলের নিবেদিত সমর্থক হয়ে । নেত্রিরা আবার আবেগে সুবিধা দিবেন নিজের দলের সমর্থক হওয়ার কারনে । কিন্তু তারা এই পরিকল্পনা করবেনা যে আমাদের দেশকে কবে বিশ্বকাপ খেলার উপযোগী করা যায় । আর আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি তারা দূর থেকে তাদের একজনের পাম দেয়া আর আরেকজনের সুবিধা নেয়া দেখে দেখে যাব । তবে এভাবে চলতে থাকলে বাঙ্গালী জাতির উন্নতি হবেনা যদি না এই আবেগের সাথে সমপরিমাণ বাস্তবতা নিয়ে এগিয়ে না যায় ।

শিক্ষার্থী – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×