somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৪ দলের গাজা সফর না ভ্রমণ না অন্যকিছু

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৪ দলের গাজা সফর না ভ্রমণ না অন্যকিছু
বোরহান উদ্দিন রুবেল
১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্চে একটি ক্যান্সারের জন্ম হয় তার নাম হল ইসরাইল । এই দেশটির আয়তন খুব বেশী না হলেও এই দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রের মধ্যে একটি । আরববিশ্ব ইসরাইলের সাথে যতবার মুখিমুখি হয়েছে তারা প্রতিবারই শোচনীয় পরাজয় বরন করেছে । আর এই ইসরাইল দ্বারা যারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফিলিস্তিনের নাগরিকরা । নিত্য-নৈমিত্তিক কাজের মতো সাম্রাজ্যবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনের মানুষের উপর নিয়মিত হামলা করে যাচ্ছে । ৮ জুলাই হল তাদের নিয়মিত হামলার একটি অংশবিশেষ যেই হামলায় ইতিমধ্যে ২৫০ জনের বেশী মানুষ শহীদ হয়েছে যার অধিকাংশই শিশু । এই হামলার বিরুদ্ধে পৃথিবীর সকল মুসলিম দেশসহ অনেক অমুসলিম দেশেও বিক্ষোভ হয়েছে । বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম একটি মুসলিম দেশ । কিন্তু হতাশা অথবা দুঃখের বিষয় হল অন্যান্য দেশের তুলনায় সচেয়ে কম প্রতিবাদ হয়েছে যে দেশে সে দেশটির তালিকায় বাংলাদেশ সবার আগে আসবে । তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের মুসলমান যারা আছেন তাদের অন্তর ফিলিস্তিনের মানুষের জন্য কাঁদেনা বরং তার মূল কারন হল বাংলাদেশে এখন এমন একটি সরকার এখন ক্ষমতায় যারা মানুষের অন্তরে বেধনাতাকে বিক্ষোভে পরিনত করতে দেয়নি । তাতেও বাংলাদেশের মানুষের মনে হয়তো কোন ক্ষোভ জন্মেনি কারন তারা জানে তাদের বর্তমান সরকার ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী । কিন্তু তারা যখন দেখে গাজার মানুষের পক্ষে বিক্ষোভ করতে গিয়ে সরকারের পা চাটা বাহিনির হাতে গ্রেপ্তার হচ্ছে অথচ তারাই নাকি আবার গাজায় প্রতিনিধি দল পাঠাবে গাজার মানুষদের সহমর্মিতা জানাতে তখন আবেগে বাঙ্গালী মুসলমানের মনের অজান্তেই ক্ষোভ জন্ম নেয় । কারন তারা দেখে বাংলাদেশের এমন কয়েকটি দলের জোট ইসরাইলের প্রতি ঘৃণা আর গাজার প্রতি সহমর্মিতা জানাতে যাচ্ছে যারা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপর রাতের অন্ধকারে গণহত্যা চালিয়েছে , ক্ষমতায় থাকার জন্য দলীয় ক্যাডার ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী দ্বারা এ দেশের মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করেছে আর বাড়িঘরগুলো ঘুরিয়ে দিয়েছে , যারা নিরিহ মানুষকে অপরাধী করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে আর দলীয় লোকদের ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে মুক্তি দিয়েছে , ভারতীয় সিমান্তবাহিনি দ্বারা নিয়মিত বাংলাদেশী হত্যা হচ্ছে অথচ তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করছেনা । অথচ সেই ১৪ দল যখন এমন ঘোষণা দেয় তাও আবার এমন একজন ব্যেক্তির মাধ্যমে যিনি এইসব কাজে ছিলেন অগ্রগামি তখন মনে প্রশ্ন জাগে তারা কি সফরে যাবে নাকি ভ্রমনে যাবে কারন সচরাচরতো এই সুযোগটা পাওয়া যায় না বা যাবে না কারন ফিলিস্তিনের সাথে বাংলাদেশের এমন কোন প্রয়োজন হয় না যে সফরে যেতে হবে । আরেকটা কারন হল যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে আর রাশিয়া ফিলিস্তনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছে যেহেতু আওয়ামীলীগ এখন রাশিয়ার সাথে তাই তারা যাবেন । আর আরেকটি কারনতো সবার জানা তাহলো ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানদের ভোট পাওয়ার নীতি । যে কারনে বরাবরই তারা ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে তারা প্রতিনিয়তই ধর্ম ব্যাবসা করে থাকে । ইসরাইল ফিলিস্তনিদের উপর গুলি করছে আওয়ামীলীগও করছে , তারা বাড়িঘর ধ্বংস করেছে আওয়ামীলীগও করছে (সাতক্ষীরায় ), তারা শিশুদের হত্যা করছে আর আওয়ামীলীগও (হেফাজতের ) শিশুদের হত্যা করেছে । এগুলো হল তাদের মধ্যে মিল আর অমিল হল ফিলিস্তনিদের উপর যারা হামলা করেছে তারা ইহুদী আর বাংলাদেশের মুসলমানদের উপর যারা হামলা করেছে তারা হল নামের মুসলমান । ১৪ দলের ফিলিস্তিনিদের সহমর্মিতা যেন এক ধরনের স্ববিরোধীতা ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×