১৮ তারিখ বি এসসি ইন ফিজিওথেরাপি এর ভর্তি পরীক্ষা ছিল।পরীক্ষা দিলাম এবং সবার দোয়ায় চান্স পাইলাম।কিন্তু তারপর ই শুরু হইল যত কাহিনি।বাপে জিগায় এইটাতে পড়লে কিতা হইব,মায়ে জিগায় ডিমান্ড কিরুম।এখন আমি কেমনে কমু? আমি যতটুকু জানি তা দিয়া তাগোরে বুঝাইতে পারিনা।যাদের এই বিষয়ে জানাশুনা আছে তারা এক্টু হেল্প করেন।এই বিষয়ে কি মাস্টার্স করার সুযোগ আছে?ভবিষ্যত কি?ডিমান্ড কেমন বাংলাদেশে?
যাদের এই বিষয় এ ভাল ধারনা আছে তারা একটু কস্ট করে জানালে উপকৃত হতাম।পোস্ট শেষ।
ডোরা রহমান বলেছেন: বর্তমানে বাংলাদেশে এটার চাহিদা প্রচুর। হাসপাতাল গুলোতে তো লাগেই, ইদানিং Weight loss center গুলোতে ফিজি্ওথেরাপিস্ট নিচ্ছে। আর ব্যক্তিগত চেম্বার দেয়ার সুযোগ তো আছেই। রোগী প্রচুর পাওয়া যায় ।
ওসমাণ বলেছেন: এ পেশায় কাচা টাকার হাতছানি প্রবল, তবে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে নাম, জশ আসবেই।
চিকিৎসা পেশা গুলোর মধ্যে বাংলাদেশে এটা কিছুটা নতুন। আমি বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইন্সটিটিউট (ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন, ঢা.বি) থেকে ২০০৭ সালে ফিজিওথেরাপিতে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি। বর্তমানে ইউ.কে তে আমি একজন লাইসেন্সড্ প্রাকটিশনার। এছাড়াও আক্সফোর্ড ব্রুক্স থেকে নিউরোলজিকাল রিহ্যাবিলিটেশনের উপর মাস্টার্স করেছি।
দেশে বিদেশে এ পেশার চাহিদা অনেক। বাত, ব্যাথা বা প্যারালাইসিস নেই এমন পরিবার বাংলাদেশ কেন, সারা পৃথিবিতেই বিরল। এছাড়াও কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলিটেশন ও স্পোর্টস্ ইনজুরিতে এ পেশার বিকল্প নেই।
তবে বাংলাদেশে এ চিকিৎসা এর পার্শপ্রতিক্রিয়া কম হবার দরুন এখন বেশ জনপ্রিয়। সরকারি পদ এখনও খুব বেশি না থাকলেও অদূর ভবিষ্যতে হয়ে যাবে আশা করি। তবে দেশে ৯৯% ফিজিওই প্রাইভেট প্রাকটিস করে, কারন চাকরি করার চেয়ে অনেকেই একে বেশি লাভজনক মনে করে।
দেশে এখসও মাসটার্স চালু হয়নি, তবে বি.এস.এস.এম.ইউ এর অধিনে চালু করার প্রক্রিয়া চলছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




