নিজের ভীষন ছোটো মনে হয় মাঝে মাঝে, অকারনে নিজেকে নারীপ্রজাতির হওয়ার লজ্জায় পরতে হয় যখন, মাঝে ব্যাস্ততা ছিলো, নতুন কাজে যোগ দিয়েছি, সেখানে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার প্রবল ইচ্ছা ছিলো, ইচ্ছা ছিলো অফিসের সহকর্মিরা আমাকে আমার কাজের মূল্যায়নে বিচার করবে, অথচ বাস্তবতা এমন নয়।
এখনও আমাদের কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের ডেকোরেশন পিসের চেয়ে বেশী কোনো মর্যাদা দিতে চায় না কেউ, তাদের কাজের যোগ্যতার বদলে যখন অফিসের পুরুষ মহলে সাজপোশাকের বেশভুষার যোগ্যতার বিচার হয়, অফিসে রিউমার চলে, এমন কি অহেতুক সহানুভূতি কিংবা বাঁকা চোখের নজর পড়ে তখনই নিজেকে নারী প্রজাতির অংশ হিসেবে ভাবলে হীন মনে হয়। এ হীনতা কাটবে কবে? কবে আমাদের পুরুষ সহকর্মিরা ভাবতে পারবে আমরা নিজেদের যোগ্যতা দিয়েই কর্মক্ষেত্রে জায়গা করে নিয়েছি।
কষ্ট লেগেছে আফরিন আপার জন্য, আমাদের অফিসের সবচেয়ে নিখুঁত কর্মি, যার কাজের প্রতি নিষ্ঠার বিষয়ে কোনো সেেন্দহ নেই, তার প্রমোশনের পর সহকর্মিদের কানাঘুষা শুনে নিজেকে অশুচী মনে হচ্ছে।
সমাজটা এমন কেনো?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



