দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলাম। বাংলাদেশে শীত বেশ ভালোই পড়েছে। এরকম শীতে একটু বিয়ার হলে মন্দ হয় না। আর আমাদের দেশের মানুষদের কাছেও অন্যান্য পানীয় ( ওয়াইন, হুইস্কি) এর চেয়ে বিয়ার বেশ জনপ্রিয়। এর মূলে অবশ্য রয়েছে বিয়ারের সহজলভ্যতা, দামে সস্তা ও এলকোহলের পরিমাণ কম থাকা। কলকাতা থেকে আসার সময় বাংলাদেশ থেকে দুইজন আগেই বলে রেখেছেন আসার সময় যেন তাঁদের জন্য কয়েক বোতল বিয়ার ও এক বোতল ওয়াইন নিয়ে আসি। সচরাচর প্লেনেই যাওয়া আসা করি। বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারী হিসেবে বিয়ার বা ওয়াইন আনা বেশ ঝামেলাদায়ক। কেননা বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে কাস্টমস আটকালে করার কিছু নেই।
ঐ দুই ব্যক্তি বয়সে আমার বড়। ভাই বলেই সম্বোধন করি। দুজনই কাপড়ের ব্যবসা করেন। একজনের আবার উত্তরায় শোরুম ও আছে। সম্পর্ক বেশ ভালো এছাড়াও আমার অনেক কাজে তারা সহায়তা করেছেন। তারা যখন কলকাতায় যেতেন , দেশে কিছু পাঠাতে চাইলে তাঁদের মাধ্যমেই পাঠাতাম। ব্যবসার কাজে বছরে প্রায় দুই তিন বার যান তারা। এবার কি এক সমস্যায় পড়েছেন তাই যেতে পারছেন না। যাইহোক তাঁদের অনুরোধ ফেলাটা সম্ভব না আবার এগুলো নিয়ে আসাও সমস্যা। তাই ওয়াইন বাদ দিয়ে ১০ টা বাডওয়াইজার বিয়ার কেন এনেছিলাম। কাস্টমসে যদি আটকায় তাই ওয়াইন আনি নি, আর বিয়ার যেহেতু কেন তাই ধরার সম্ভবনা কম। তারপরো ধরলে নন এলকোহলিক বা কিছু একটা বলে দিব এই প্লান করে কেন গুলো লাগেজে দিয়ে দিয়েছিলাম।
সকালের ফ্লাইটে এসেছি। বাংলাদেশে তখন আনুমানিক একটা বেজে ত্রিশ মিনিট। সেদিন শুক্রবার। নামাযের সময় চলছে। সেই কারণেই হয়ত কাস্টমস অফিসারদের ও কম চোখে পড়ছে। যাইহোক এগিয়ে গেলাম, একজন কাস্টমস অফিসার জিজ্ঞেস করলেন কোথা থেকে এসেছি । ইন্ডিয়া থেকে এসেছি শুনে বললেন কত পিস থ্রি পিস এনেছি। আমি মুচকি হাসি দিয়ে বললাম , আমি স্টুডেন্ট। কাস্টম অফিসার ও মুচকি হেসে বললেন, যান। যাক এ যাত্রায় সমস্যা হয় নি।
আজকে ঐ এক ভাইয়ের বাসায় এসেছি। বিয়ার আগেই দিয়েছিলাম। আজকে ডিনারের দাওয়াত। ভাবী রান্না করছেন , রোস্টের গন্ধ পাচ্ছি। আর আমরা এ ফাঁকে একটু শীত নিবারণ করছি বিয়ার দিয়ে
অন্যকেও গরম রাখুন। আপনার আশেপাশে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




