প্রবাসে পরিভ্রমন ৪ - ইউরোপের বিখ্যাত ‘সোনালী শহর’ - প্রাগ ভ্রমন-১
প্রবাসে পরিভ্রমন ৫ - ইউরোপের বিখ্যাত ‘সোনালী শহর’ - প্রাগ ভ্রমন ২
প্রবাসে পরিভ্রমন ৬- ইউরোপের বিখ্যাত ‘সোনালী শহর’ - ছবিতে প্রাগ ন্যাশনাল মিউজিয়াম
প্রবাসে পরিভ্রমন ৭- ইউরোপের বিখ্যাত ‘সোনালী শহর- প্রাগের বিখ্যাত চার্লস ব্রিজ
চার্লস ব্রিজ পার হয়ে আমরা সামনে এগিয়ে চলছি। আমরা প্রাগের ওল্ড টাউন স্কয়ার হতে চার্লস ব্রিজ পার হয়ে। Lesser Town (Malá Strana) এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের গন্তব্যস্থল এবার Strahov Monastic Brewery বিয়ার ফ্যাক্টরি যেটি কিনা Strahov Monastery এর ঠিক পাশেই অবস্তিত। যেহেতু আমরা সবাই হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের স্টুডেন্ট আর অ্যালকোন নিয়ে আমাদেরকে প্রতিদিনই কাজ করতে হয়। আর প্রাগকে বলা হয়ে থাকে বিয়ারের শহর তাই প্রাগ ট্যুরে এই বিখ্যাত বিয়ার ফ্যাক্টরি ভিজিট টাকে গুরুত্বপুর্ন বলে ধরা হচ্ছে। আর কিছু না হোক পোলাপানকে কয়েকটাইপের ফ্রেস বিয়ার খাওয়াবে সেটাই বড় কথা। প্রাগে আসল আর বিয়ার খেল না এটা কোন কথা নাকি? আমরা লেজার টাউন এর মাঝ দিয়ে হেটে যাচ্ছি। আগেই বলেছি দিনটি ছিল চমৎকার , এপ্লিলের রৌদ্রওজ্জল দিন আর তাপমাত্রাও তেমন না, তার পরের আমাদেরকে যেহেতু পাহারে উঠতে হচ্ছে তাই পোলাপান মোটামুটি হাপিয়ে উঠেছে । রাস্তার দুপাশে দারুন সব বিভিন্ন নকশার বিল্ডিং আর প্রচুর লোকজনের সমাগম। ৮ম শতকের দিকে এই লেজার টাউনের যাত্রা শুরু হলেও ১২৫৭ সালে Premysl Otakar II এই শহরকে শহরের মর্যাদা দেন । তার পর চার্লস ৪ এর সময়কালে এশহরের আধুনিকায়নে কাজ করা হয়। আর সে সময়কার গড়েতোলা সৌন্দর্যের নিদর্শন এখনও শোভা পাচ্ছে দৃস্টির সীমানায় চারপাশে।
আমরা হাটছিতো হাটছি আর রাস্তার পাশের অপরুপ কারুকার্য উপভোগ করছি। কোনটা ছেড়ে কোনটার ছবি তুলব বুঝেই উঠতে পারছি না । আর ছবি দিয়ে সে সৌন্দর্যের ছিটেফোটাকেও তুলে ধরা যাবে না। যাই হোক অবশেষে এইতো দূরে Strahov Monastery দেখা যাচ্চে। আমরা মোটামুটি সমতল ভুমি থেকে পাহাড়ের মাঝামাঝি উঠে এসেছি ।আর দূরে প্রাস সিটি দেখা যাচ্ছে।
Strahov Monastery
মোন্টারের সামনের দিকটা
১১৪৩ সালে এই মোন্সটারটি তৈরি করা হয়। আমাদের গন্তব্যস্থল ঠিক তার পাশেই Strahov Monastic Brewery যেটি কিনা ১৬২৮ সালে তৈরি করা হয়। ১৯০৭ সালে ফ্যাক্টরিটি বন্ধ হয়ে গেলেও ২০০০ সালে আবারও নতুন করে চালু করা হয় ৩০০ জনের রেস্ট্রুরেন্ট সহ। আমাদের ক্লাস টিচার জার্মানিতে থাকতেই তাদেরকে মেইল করে আমাদের জন্য সিডিওল নিয়ে রেখেছিল আর তাদের বিয়ার প্ল্যান্ট ঘুরে দেখার ব্যাবস্তা ও করে রেখেছিল । অবশেষে আমরা প্রায় ৩০ মিনিটের মত হাটার পর আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌছাতে পারলাম । এখান থেকে প্রাগে শহরটাকে দেখা যাচ্ছে।
আমাদের গ্রুপ বিয়ার ফ্যাক্টরি আর তাদের রেস্ট্রুরেন্টে ঢুকছে
এবার বিয়ার ফ্যাক্টরি আর বিয়ার টেস্ট করার পালা। হাজার হোক ফ্রেশ বিয়ার বলে কথা। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল, এলকোহল না খাবার কারনে আমাক প্রাগের কোক আর ফান্টার টেস্টই নিতে হল। আমরা রেস্ট্রুরেন্টে ঢুকে আমাদের আগমন বার্তা তাদের জানালাম । আর তাদের ম্যানেজারের আসতে একটু টাইম লাগবে বলে আমাদেরকে রেস্ট্রুরেন্টে বসে আগে তাদের এখানে প্রস্তুত করা বিয়ার টেস্ট পর্ব সেরে তার পরে বিয়ার প্যান্ট ট্যুরের প্যাল হল। রেস্ট্রুরেন্টের টেবিলেই বিয়ার প্ল্যান্টের ছবি আর তাদের প্রস্তুত করা বিয়ার এর নাম , বর্ননা আর ছবি সহ সেই বিয়ারের বিশেশত্ব সম্বলিত কার্ড প্রতিটা টেবিলেই শোভা পাচ্ছে। জন প্রতি ৩টা আলাদা আলাদা বিয়ার টেস্টের ঘোষনা আসল ক্লাস টিচারের কাছ থেকে যেটা কিনা আমাদের ট্যুরের জন্য নেয়া চাদার টাকার মধ্যেই অন্তর্ভুক । যেহেতু আমি প্রাগের কোক, ফান্টা আর সেভেন আপ টেস্ট করব তাই আমার বিয়ারটা আমাদের ক্লাস টিচারই টেস্টের মহান দায়িত্ব নিলেন। প্রথম পদের বিয়ার আসার পর সবাই এক চুমুক দেবার পর তাদের মুল্যবান মতামত উপস্থাপন করছেন। এর মধ্যে আমাদের গ্রুপের বাকী যাদেরকে আমরা রুমে রেখে চলে এসেছিলাম তারাও এসে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছে ইতিমধ্যে । একে একে ৩ পদেরই বিয়ারের টেস্ট পর্ব শেষে গুরুগম্ভির আর গুরুত্বপুর্ন সব মন্তব্য আর বিশ্লেষন চারপাশ থেকে আসছে।
রেস্ট্রুরেন্ট
বিয়ারের ক্যাটালগ
এবার এতক্ষন টেস্ট করা রিয়ারগুলো যেখানে তৈরি হচ্ছে সেই প্ল্যান ঘুরে দেখার পালা। কিন্তু প্রব্লেম হল যার সাথে সেখানে ঘুরতে যাব সেই ম্যানেজার সাহেব এখনও এসে পৌছেন নি। কিন্তু টেনশনের কোন কারন নেই ম্যানেজার সাহেব না থাকলে কি হবে পুরু প্যান্টের দায়িত্বে জিনি আছেন তাকে পাওয়া গেল আমাদেরকরে প্যান্ট ঘুরিয়ে দেখানো আর সাথে কিছু ইনফো দেবার জন্য । ভদ্রলোক জার্মানিতে অনেক বছর জব করেছেন তাই ভালই জার্মান ভাষা পারেন। আর আমাদের জন্য ভালই হল , কারন তিনি সব কিছুই আমাদের জার্মান ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন। গত মাসেই আমি আমাদের কর্মস্হল থেকে অফিসিয়াল ওয়াই ফ্যাক্টরি ট্যুরে গিয়েছিলাম তাই বিয়ার প্যান্টের ভেতরের চিত্রটা পরিচিত পরিচিত্র লাগছিল। এক একটা প্যান্ট যেখানে কিনা বিয়ার সংরক্ষন করে রাখে সেগুলোতে প্রায় ১ হাজার লিটার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন। গত মাসে ওয়াই ফ্যাক্টরি ট্যুরে গিয়ে আমিতো অবার এক একটা বিশাল রিজার্ভারে প্রায় ১ লাখ লিটার ওয়াই সংরক্ষন করে রাখা যায়। গড়ে এক এক জন জার্মান নাকি বছরে ২৫ লিটারের মত ওয়াইন খেয়ে মানে পান করে থাকে।
যাই হোক বিয়ার প্লান্টের ভেতরটা দেখে প্লান্টের পাশেই থাকা বার এর নিয়ে গেলেন আমাদের সেই ভদ্রলোক। কারন সেখানেও ২ টা রিজার্ভার আছে । বারের সারা দেয়াল জুডে ঝুলিয়ে রাখা আছে বিভিন সময়ে প্রাপ্ত সেরা সব সার্টিফিকেট এই বিয়ার ফ্যাক্টরির ।
বিয়ার তৈরিতে ব্যাবহৃত জিনিসগুলো দেখাচ্ছেন দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তি
বারের ভেতরে বিয়ার সংক্ষন করে রাখা আছে এদের ভেতর
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কম্পিটিশন থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট ও ক্রেজ
বারের ব্যাস্ততা
ইতিমধ্যে দুপুরও হয়ে গিয়েছে আর যেহেতু আমাদের দুপুরের খাবার ও বাইরেই করতে হবে তাই এদের রেস্ট্রুরেন্টেই লাঞ্চ সারার প্রস্তাবে সবাই রাজি হল। চিকেন স্টেক,সাথে রাইস আর ভেজিটেভল দিয়ে ভালই একটা লাঞ্চ হল। আর দামও জার্মানির মতই ছিল।
এবার ফেরার পালা। যেহেতু আসার সময় আমরা চার্লস ব্রিজের উপর দিয়ে এসেছি তাই প্যান হল অন্য বাস্তায় ফিরে যাব এপার্টমেন্টে , যাতে করে আরো কিছু অপরুপ নিদর্শন উপভোগ করা যায়।
ফেরার পথে আমাদের গ্রুপ ছবি, পেছনে প্রাগ শহর
প্রাগ শহরের অপরুপ কিছু স্থাপত্য
ওল্ড টাউন স্কয়ারে ঘোরার গাড়ি
ওল্ড টাউন স্কয়ারের সুন্দর্য
বিখ্যাত এস্ট্রোলজার ঘড়ি
আর বিকেলের জন্য বিশেষ কোন প্ল্যান না থাকায় বিকেলটা সবাইকে যার যার মত ঘুরেবেড়ানোর জন্য উম্মুক্ত রাখা হল।
ফেরার সময় পোলাপাইন রাতে রুমেই পার্টির জন্য এক ওয়াইনের দোকানে ঢুকল। তেমন বেশি কিছু না ২ বোতল স্পার্কিল ওয়াই যেটি কিনা সেম্পেইনের মত , সাথে ৩৮% অ্যালকোহল ভলিয়মের ভোদকা আর কোলা নিল। প্ল্যান হল সন্ধ্যায় রুমে এগুলো দিয়ে হাল্কা ড্রিঙ্কস শেষে রাতে প্রাগের ডিস্কোতে যাবে। যেহেতু এই প্যানের কোনটাই আমাকে আকর্যন করে না আর আমার সাথে যায় ও না। তাই আমাকে ক্লাস টিচার প্রস্তাব করলেন তিনি সন্ধ্যায় প্রাগের ট্যুরিস্ট সিটির বাইরে যেখানে কিনা গ্রাগের অরিজিনাল নাগরিকরা বসবাস করে সেই এলাকায় হাটতে যাবেন আমি চাইলে সাথে যেতে পারি।
রুমে এসে হাল্কা কিছুক্ষন বিশ্রামের পর আমি আর আমাদের ক্লাসটিচার বের হলাম প্রাগের বাসিন্দাদের এলাকায় হাটতে আর পোলাপাইন তাদের বোতল নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ডিস্কোতে যাবার আগের হাল্কা ড্রিঙ্কসের।
মোটামুটি ঘন্টা দেড়েকের মত আমরা হাটলাম আর প্রাগের লোকজনের ও তাদের জীবন জীবিকা নিয়ে ভালই একটা আলোচনা করতে করতে এপার্টমেনটে ফিরে আসার পর ড্রয়িং রুমে ঢুকেই আমার চক্ষু ছানাবড়া। আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে লম্বা ও সুঠাম সাস্থ্যের অধিকারী মাইক সোফার উপরে হাতপার ছড়িয়ে চিৎ হয়ে মুখ হা করে পড়ে আছে। আর অন্য সোফায় আর একজন উপুর হয়ে পড়ে আছে। আর তাদের সেবা শ্রুশ্রুশার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাকিরা। টেবিলের উপরে খালি ভোদকার বোতল আর গোটা বিশেক ছোট ছোট স্যানপ্স এর খালি গ্লাস দেখে বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে গেল। কাহিনী হচ্ছে একেতো ভোদকার সাথে স্পাকলিং ওয়াইন মিক্স করেছে তার উপরে পোলাপান কম্পিটিশন করে খেয়েছে। যেটা কিনা মোটেও ঠিক না। এখন উপায়, এর মধ্যে বাকিদের ডিস্কোর সময়ও হয়ে গেছে। যেহেতু ২ জন অবস্তা কাহিল আর বাকিরা ঠিক আছে তাই তারা বাসায় বসে থাকার কোন মানে হয় না। তাই বাকিরা ডিস্কোতে চলে যাওয়াই বেটার আর ২ জন রইল এই দুজনকে নরমাল করার জন্য। যেহেতু মাইকের সাস্থ্য আল্লার রহমতে ১২০ + কিলো ছাড়াবে আর তার শরীরে ব্ল্যাডও বেশি হওয়ায় সে তখনও নরমাল তাই তারে তার বিছায়ান চিতপটান করে রাখাটাই আপাতত সমাধান । আর অন্যজনেরতো কোন সেন্সই নাই তাই তারে বমি করাইতে হবে যাতে এলকোহল বের হয়ে যায়। সমাধান ২ টা বেশি করে পানি খাওয়ানো না হয় গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করানো । মজার ব্যাপার হচ্ছে তারে যতই সোফায় সোজা করে শুইয়ে রাখা হয় সে ততই চিত হয়ে মাথা সোফার নিচে দিয়ে আরা পা উপর দিয়ে শুয়ে পড়ে,আর জোর করেও পানি খাওয়ানো যাচ্ছে না। যাই হোক অবশেযে তাকে বমি করানোগেল আর মোটামুটি একটু নরমাল করে তাকেও বিছানায় চিতপটান করে ঘুমাতে দেওয়া হল। আর আমারাও ঘুমাতে গেলাম। সবার কাছেই চাবি থাকায় বাকীরা মুটামুটি অনেক রাতেই ফিরলেও সকাল ১০ টা এপার্টমেন্ট ছেড়ে দেবার টাইম হওয়ায় সবাইকেই সকাল সকাল রেডি হয়ে বের হতে হল। প্ল্যান হল ব্যাগ এন্ড ব্যাগেজ গাড়িতে রেখে আমরা কয়েকটা গ্রুপে বের হব। অবার হইলাম আর দেখে ভালও লাগল, সকাল বেলা মাইক আর অন্যআর একজনকে দেখে যাদের অবস্তা গত রাতে কি ছিল তাদের দেখে একদমই বোঝা যাচ্ছে না , একদম নরমাল । শপিং আর ঘুরাঘুরি শেযে দুপুর ২টায় আমরা সবাই ভেনসেল স্কয়ারে একত্রিত হব । আমরা ২ টা গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রাগের কয়েকটা শপিং মলে ঘুরলাম। জিনিস পত্রের দাম দেখে জার্মানির চেয়ে বেশি মনে হল। সবাই মোটামুটি টুকটাক কেনাকাটা আর দুপুরের খাবার শেষে ভেন্সেল স্কয়ারে একত্রিত হয়ে আমাদের ফিরতি যাত্রা শুরু করলাম।
আন্ডার পাসের ওয়াল
ভেন্সেল স্কয়ারের আন্ডার পাস থেকে আমাদের কার পার্কিংয়ে দিকে যাচ্ছে আমাদের টিম
প্রাগ ট্রেন স্টেশন। এর পাশেই আমাদের গাড়ি পার্ক করা ছিল
সামনে হাস্যময়ী সাব্রিনা আর পেছনে ব্যাগ প্যাক যার যার গাড়িতে তোলা হচ্ছে
প্রাগে আসার সময়টা যতটানা উৎসাহ আর আনন্দ নিয়ে এসেছিলাম আর ফেরার সময়টা তার চেয়ে ও বেশি খারাপ লাগা নিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রাগের এই অপরুপ সৌন্দর্যকে ফেলে ফিরে যেতে হবে আবার সেই কর্মচঞ্ছল ব্যাস্ত জীবনে। আর তার উপর এটাই এই স্কুলে আমাদের শেষ সেমিস্টার । নেস্ট সেমিস্টার অন্য স্কুলে যেতে হবে সবাইকে তার মানে বন্ধুদের সাথে এটাই শেষ ট্যুর আর সবার কর্মস্থলের দুরত্ব মোটামুটি ৮০-১০০ কিলোমিটার দূরে দূরে হওয়ায় কারো সাথেই কারো ফেসবুকের বাইরে যোগাযোগ তেমন একটা হবে না। আমাদের গাড়ি এগিয়ে চলেছে , দূরের আকাশে সুর্য ঢুবে যাচ্ছে। আর ১৭০ কিলোমিটার স্পিডে চলা আমাদের গাড়ি পেছনে ফেলে যাচ্ছে অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভুমি প্রাগকে আর প্রাগের সাথে মিশে থাকা কিছু অসম্ভব সুন্দর ভাল লাগার সুখকর স্মৃতি আর কিছু ভাল বন্ধুদের সাথে কাটানো কিছু মুহুর্তকে । সেই ব্যাস্ত জীবনে আবার কবে মিলবে এমন ভাল সময় জানা নেই। তার পরের ও এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে।
সুর্য ডুবে যাচ্ছে প্রাগের আকাশে
গাড়ি ছুটে চলেছে জার্মানীর দিকে
ধন্যবাদ সবাইকে ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৩০