বিএসএফের ‘পিটুনিতে’ বাংলাদেশি নিহত.......
যশোরের বেনাপোলে পুটখালী সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের পিটুনিতে এক বাংলাদেশির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিএসএফ সদস্যরা শুক্রবার ভোরে ভারতের আংরাইল সীমান্তে ডুমুর বাওর এলাকায় আলমগীর হোসেন নামে ওই যুবকের লাশ ফেলে রেখে যায় বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ-বিজিবি।
আলমগীর বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর গ্রামের আজগার আলীর ছেলে। শুক্রবার রাতে তিনি ১৫/২০ জন সহকর্মীর সঙ্গে গরু আনতে ভারতে গিয়েছিলেন।
বিজিবির যশোর-২৬ ব্যাটালিয়ন পুটখালী ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার শের-ই-আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোর্সের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।”
নিহত আলমগীরের মামা কায়েস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোর ৩টার দিকে আলমগীরসহ ১৫/২০ জন গরু নিয়ে ফেরার পথে আংরাইল সীমান্তের জোড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে।
“এ সময় সবাই পালিয়ে গেলেও আলমগীর ধরা পড়ে। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ডুমোর বাওড়ে লাশ ফেলে রেখে যায় বিএসএফ।”
সেখান থেকে আলমগীরের সহযোগীরা লাশ নিয়ে আসে বলে কায়েস আলী জানান।
সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের হাতে বেসামরিক বাংলাদেশিদের মৃত্যুর ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশ সরকারও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার বিএসএফ সদস্যদের ‘প্রাণঘাতী নয়’ এমন অস্ত্র দেয়ায় গুলির ঘটনা কমলেও সাম্প্রতিক সময়ে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের ওপর তাদের নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
সুত্র-http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=2&id=204913&hb=3