Goldeneye
১৯৪১, ২য় বিশ্ব যুদ্ধ চলছে। ইয়ান ফ্লেমিং ব্রিটিশ নাভাল ইন্টেলিজেন্সে হয়ে কাজ করছেন। অক্ষ শক্তি থেকে স্পেন কে রক্ষা করার জন্য ফ্লেমিংকে একটি প্লান তৈরি করলেন। অপারেশন গোল্ডেন আই। যদি স্পেন অক্ষশক্তিতে যোগদেয় বা স্পেনকে দখল করে, এই প্লানের মাধ্যমে ব্রিটিশ বাহিনি জিব্রাল্টার সাথে যোগাযোগ রাখবে।
১৯৪২, সাল। ফ্লেমিংকে পাঠানো হল জ্যামাইকায়। Anglo-American intelligence summit এ অংশগ্রহনের জন্য। অল্প কয়েকদিন থেকেই জ্যামাইকার রুপ ফ্লেমিং কে মুগ্ধ করে। তিনি ঠিক করলেন, বাকি জীবন জ্যামাইকাতে কাটাবেন।
১৯৪৩ সালে অপারেশন গোল্ডেন আই সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।
যুদ্ধ শেষে জ্যামাইকা ফিরে এলেন ফ্লেমিং। একটি এস্টেট কিনলেন, পাহাড়ের কোল ঘেষে একটি ভিলা, যেখানে বসে ক্যারিবিয়ানের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য দুচোখ ভরে উপভোগ করা যায়। The Golden eye Estate, যেখানে ফ্লেমিং ১৯৫২ সালে লিখলেন প্রথম বন্ড উপন্যাস “ক্যাসিনো রয়াল”, আমরা পেলাম বিশ্বসেরা স্পাইঃ 007 জেমস বন্ড।
জেমস বন্ড ভিলা
জেমস বন্ড নামটি ইয়ান ফ্লেমিং নিয়েছিলেন স্থানীয় পাখি বিশারদ এবং 'Birds of the West Indies' এর লেখকের নাম অনুসারে। বন্ডের নাম সম্পর্কে তিনি বলেন, I wanted Bond to be an extremely dull, uninteresting man to whom things happened; I wanted him to be a blunt instrument ... when I was casting around for a name for my protagonist I thought by God, (James Bond) is the dullest name I ever heard. —Ian Fleming, The New Yorker, 21 April 1962.
Golden eye এ বসেই ফ্লেমিং জেমস বন্ডের ১২টি উপন্যাস আর ৯ টি ছোট গল্প লিখেছেন। জ্যামাইকাকে ফ্লেমিং এতোই ভালোবাসতেন, তার “লিভ এন্ড লেট ডাই” ও “ড. নো” এর একটি বড় অংশের কাহিনি এই দ্বীপকে নিয়ে আবর্তিত হয়। “ড. নো” সিনেমার উরসালা আন্দ্রেসের সমুদ্র থেকে উঠে আসার বিখ্যাত দৃশ্যের শ্যুটিং হয় গোল্ডেন আই এর জেমস বন্ড বিচে। জনশ্রুতি আছে, এই বিচের এক পাথরের নিচে অক্টোপাসের উপর পদস্খলনের ঘটনা থেকেই অক্টোপুসির কাহিনি তৈরি করেন।
Dr. No সিনেমার দৃশ্য।
১৯৬৪ সালে ইয়ান ফ্লেমিঙ্গের মৃত্যুর পর গোল্ডেন আই এস্টেটের মালিক হন ব্ল্যাকওয়েল, যিনি একই সাথে জ্যামাইকার আইল্যান্ড রেকর্ড কোম্পানির মালিক। তিনি তার বিখ্যাত বন্ধুদের গোল্ডেন আই এস্টেটে বেড়ানোর আমন্ত্রণ জানাতেন। ব্লাকওয়েল আশেপাশের জমি কিনে গোল্ডেন আইএর পরিধি আরো বড় করে গোল্ডেন আই কে একটি ফার্স্ট ক্লাস রিসোর্টে পরিনত করেছেন। (টাকা পয়সা হলে ঘুরতে যাবার ইচ্ছা আছে)
গোল্ডেন আই ভিলাতে এখনও পাওয়া যাবে ইয়ান ফ্লেমিঙ্গের সময়কার আনুসাঙ্গিক আসবাবপত্র যার মধ্যে আছে ফ্লেমিঙ্গের লেখার টেবিল, যেখানে জন্ম হয়েছে জেমস বন্ডের। ভিলার বাগানে পাওয়া যাবে মি. এন্ড মিসেস ক্লিন্টন, প্রিন্স মার্গারেট, পিয়ার্স ব্রসনানের রোপন করা গাছ।
ইয়ান ফ্লেমিং এর লেখার টেবিল।
আজ ২৮ই মে। ১৯০৮ সালের এই দিনে জন্মগ্রহন করেন ইয়ান ফ্লেমিং। Happy birthday to the greatest spymaker of all time.
আইনের ফাঁকফোকর-০৩
যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি
(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন