খালেদা জিয়ার বাড়ি নিয়ে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে মন্তব্য করছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি৷ তিনি বলেছেন সাকা চৌধুরী আদালত অবমাননাও করেছেন৷
সাকা চৌধুরী একদিন আগে বলেছেন, ‘‘সাবেক সেনা প্রধানের বিধবা পত্নী বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরের বাড়িতে থাকতে দেয়া হবে কিনা তা সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যাপার৷ এব্যাপারে সরকারের কিছু বলার নেই''৷
সাকা চৌধুরীর এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও আইন মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি৷ তিনি বলেছেন সেনাবাহিনীর বিষয় হলে রাষ্ট্রের অন্য কোন বিভাগ কথা বলতে পারবেনা সাকা চৌধুরীর এই বক্তব্য একটি বাহিনীর জন্য উস্কানিমূলক – যা রাষ্ট্রদ্রোহিতা ৷
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে সেনাবাহিনীর ভূমি অধিদফতর৷ আর খালেদা জিয়া নিজেই আদালতে গিয়েছেন৷ তাই আদালতের রায় তার মেনে নেয়া উচিত৷ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় নিয়ে মন্তব্য করে সাকা চৌধুরী আদালত অবমাননাও করছেন বলে তার অভিমত৷
আমি এখানে সাকা কিংবা সুরঞ্জিতের পক্ষে কথা বলছি না । আমার কথা হল সরকার-এর বিরুদ্ধে কিছু বললেই তা হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা আর আদালতের রায় পছন্দ না হলেই কিংবা তার সমালচনা করলে তা হবে আদালত অবমাননা , কেন ?
রাজনীতিবিদ দের তো হওয়ার কথা মাটির মত - পাড়াইলেও শব্দ করার কথা না । কিন্তু আমাদের সরকারে যারা আছেন তারা হয় রাজনীতিবিদ না আথবা গায়ে পেট্রোল ঢেলে চলা ফেরা করেন যে কেউ তুড়ি বাজাইলেই তাদের শরীরে আগুন ধরে যায় ।
আর আদালত অনেক গুরুগম্ভির মর্যাদার অধিকারি । তাদের কাজ তারা বিনা সঙ্কোচে , সর্বোচ্চ সতাতর সাথে করবে । কে কি বলল না বলল তা আমলে নেয়ার ও কথা না । সেই আদালত যদি কথায় কথায় অবমাননা হইসে হইসে বলে চেচায় তা হলে বঝতে হবে ঐ আদালতের নিজের দাম ও ব্যাক্তিত্ব এবং গুরুত্ব সম্পর্কে ধারনার অভাব আছে । এরকম ব্যাবহার করলে আদালতকে অনেক হালকা মনে হয় ।
এই জলন্ত রাজনীতিবিদ আর ভাসন্ত আদালত চাই না ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




