অন্য ভাবনা - ১
ইঁদুরের যন্ত্রনা ভোগ করে নাই এমন লোক খুব কমই আছে । খাবার দাবার নষ্ট করা, চুরি করা, আসবাব পত্র নষ্ট করা সহ আরো নানা যন্ত্রনা করে এই ইঁদুর। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান যন্ত্রনা হচ্ছে বই পত্র সহ প্রয়জনীয় কাগজ পত্র কেটে কুটিকুটি করা । এত কিছু থাকতে তারা বই কেন কাটে ?
জানি এই নিয়ে অনেক যুক্তি আছে । ইঁদুর এর দাত বাড়ে , তাই সেটা কে সাইজে রাখার জন্য তারা যা পায় তাই কাটে । কিন্তু তাই বলে বই কেন ? আমি মোটামুটি একটা উত্তর তৈরী করেছি ।
মানুষ আর ইঁদুর এর পরিচয় সেই পুরনো কালে, যখন মানুষ গুহায় বসবাস করত । এমন কত দিন গেছে যে পাশাপাশি দুই গুহার এক গুহায় মানুষ আর এক গুহায় ইদুর থেকেছে , খেয়েছে, ঘুমিয়েছে । তারপর কি যে হল ! মানুষ ধিরে ধিরে গুহা ছেড়ে দিল । তারা নানা রকম ঘর বানাতে শুরু করল । যে সব খাদ্য তারা দুই প্রজাতি এক সাথে খুজতো মানুষ সেই সব একই জমিতে ফলাতে শুরু করে। মানুষের সেই উন্নতি আজো থামেনি । আর সে ইঁদুর আজো সে গর্তেই রয়ে গেল ।
গুহায় যখন ছিল তখনও মানুষের মধ্যে এক অদ্ভুত স্বভাব ছিল যা নিয়ে ইঁদুর সমাজ অনেক হাসাহাসি করত । আর তাদের সাথে যোগ দিত কিছু কিছু মানুষও । তা হল তারা গুহার দেয়ালে নানা রকম আঁকিবুকি করত । তারপর তারা যখন গুহা ছেড়ে গেল তাও তারা এই আঁকিবুকি ছাড়েনি । আর মানুষ গুহা ছেড়ে যেখানেই যাক না কেন ইঁদুর ও তাদের পিছু পিছু সাখানে গেছে। বুঝার চেষ্টা করেছে মানুষ এমন কি পেল যে তার মাধ্যমে তারা এত উন্নতি করে ফেলল । তারা দেখল যে, মানুষরা কেউ কাগজের মধ্যে কিছু আঁকিবুকি এঁকে দিয়ে যায় আর বাকিরা তা দেখে কত কি বুঝে ফেলে । এমন কি ঐ মানুষ মারা যাওয়ার বহু পরও অন্য মানুষরা তা দেখে বুঝে ফেলে সে কি বলে গেছে ।
তাই ইঁদুররা চিন্তা করল সে তারাও এই আঁকিবুকি বুঝার চেষ্টা করবে । তাহলে হয়ত তারাও এক সময় মানুষের মত উন্নত হতে পারবে । কিন্তু তারা যতই চেষ্টা করুক না কেন কোন দিন ই তারা এর কোন মানে বুঝতে পারে নাই । যুগ যুগ চেষ্টা করেও যখন তারা পারে নাই তখন তারা সিদ্ধান্ত নিল যে যেখানে পাবে সেখানেই তারা এই বই আর কাগজ কেটে কুটিকুটি করবে । তাহলেই তাদের একসময়কার প্রতিবেশী মানুষের উন্নতি কিছু টা হলেও ঠেকান যাবে ।
সেই থেকে শুরু । আজও তারা যেখানেই পায় সেখানেই কাটে । বিশেষ করে কোথাও স্তুপ করে রাখা কাগজ হলে তো কথাই নেই । ধুমসে চলে কাটাকাটি । সদলবলে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




