যারা এখনো এই খবর দেখেন নাই , তারা একবার দেখে আসেন ।
বিটিআরসি সাইবার ক্রাইম ঠেকাতে। নজরদারী শুরু করেছে । উদ্দেশ্য হচ্ছে -"রাষ্ট্রীয়, সমাজ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায়- ওয়েবসাইটগুলোতে এমন বিষয় সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়াই হরে এই দলের মূল কাজ। "
গনতান্ত্রিক সরকার, গনতান্ত্রিক বিরোধীদল , গনতান্ত্রিক আমরা , কেউ ই সমালচনার উর্ধে নই । কিন্তু ক্ষমতাবানরা বাকিদের মুখ বন্ধ করার ব্যাবস্থা করলে তাদের গনতান্ত্রিক চরিত্র নিয়ে সন্দেহ জাগে । অনেকটা ভেড়ার চামড়া গায়ে শিয়াল মনে হয় ।
গত কয়েক বছরে যা দেখলাম তাতে স্পস্ট বোঝা যায়, রাজনৈতিক বিদ্বেষ দল গুলোর ভেতরে ই রয়েছে এবং তা খুবই স্পস্ট ও অত্যন্ত দৃষ্টিকটু । সেখানে আপনাদের কিছু করার যে নাই সে টা ও স্পস্ট । কিন্তু সে ব্যার্থতা তো জনগণের নয় ।
সমাজিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী অসামাজীক আচরন , যা আমরা শিখছি বহিঃদেশের চ্যানেল এবং দেশী বিজ্ঞাপন , নাটক ও সিনেমা থেকে । আধুনিকতার নামে বিবস্ত্র হওয়ার কালচার প্রচারের লাইসেন্স তো আপনারা ই দিয়ে রেখেছেন । সেখানে আপনাদের নিয়ন্ত্রন করার তো কোন প্রচেষ্টা দেখা যায় না ।
তার উপরে মোবাইল অপারেটর গুলো যেসব প্যাকেজ দিয়ে রেখেছে , তাতে উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা দেদারসে প্রেমালাপ করে যাচ্ছে । অসামাজিকতা তো সেখান থেকেই শুরু । এখন তো মধ্যবয়সীরাও এই ব্যাধীতে আক্রান্ত ।
কত পরিবার যে এই সব কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে , কত সন্তান মা-বাবার হাতে খুন হয়েছে , কত বাবা-মা , আত্মীয় স্বজন যে অপমানিত হয়েছে তার কোন হিসাব নেই । কই সেই ব্যাপারে তো আপনাদের নিয়ন্ত্রনের কোন উদ্যোগ দেখা যা নি ?
সাম্প্রতিক আর্মির অভ্যুতানের চেষ্টা কে এখন আপনারা সাইবার টেকনোলজির কুফল হিসাবে দেখাতে চাচ্ছেন । তার আগে আপনাদের জিজ্ঞেস করি - ইউরোপ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রতে কেন কখনো সামরিক অভ্যুথানের খবর শোনা যায় না, যেখানে সাইবার টেকনোলজির ব্যাবহার সবচেয়ে বেশী ? কারন তাদের রাজনৈতিক দল গুলো ও সরকার সবসময় দেশের মানুষের কথা সবার উর্ধে চিন্তা করে ।
দেশে এর আগেও আভ্যুত্থান হয়েছে । তখন ফেসবুকও ছিল না , মোবাইল ও ছিল না । কিন্তু অভ্যুত্থান গুলো সফল ছিল । তাই সাইবার ফেসেলিটির উপর দোষ না দিয়ে প্রকৃত কারণ খুজে বের করুন ।
আর্মির ভিতরে অসন্তোষ কেন ? কেন মধ্যম পর্যায়ের কিছু অফিসার অভ্যুত্থানের মত একটি আত্মহত্যার পথ বেছে নিল ? কেন আমাদের সামাজিক জীবনে আমরা শান্তিতে নেই ? কেন রাজনৈতিক দল গুলোর অভ্যন্তুরীন দ্বন্দে সাধারণ মানুষ দিশেহারা ?
এই প্রশ্নের উত্তর ই সমাধানের পথ দেখাবে । উত্তর ও সবার জানা । চোখ বন্ধ করে হাতি খোজার নাটক না করাই ভাল ।
সাইবার ফেসেলিটি অশিক্ষিত মানুষরা ব্যাবহার করে না । বরং শিক্ষিত ও চিন্তাশীলরা ব্যাবহার করে । সাইবার ক্রাইম বন্ধের নামে তাদের কে ধোকা দেয়ার চেষ্টা না করা ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




