একই কলেজ থেকে পাশ করার পর ওরা তিনজনেই চান্স পেল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সামাদ খুব সাহসী ধরনের আর আকিব ও সজল কিছুটা ভীত প্রকৃতির। সামাদ নতুন শহরে এসে বিলাসবহুল হোটেলের প্রেমে পড়ে গেল। এখন কি আর করা! ২ টা টিউশনির টাকা দিয়ে কোনমতে মাস কাবার হয়। এসব জায়গায় ৩ জন খেতে গেলে টিউশনির সব টাকাই চলে যাবে। কিন্তু হার মানার পাবলিক নয় সামাদ। মাথায় একটা দুষ্ট বুদ্ধি চাপলো। ২ বন্ধুকে প্ল্যান জানালে তারা আসন্ন বিপদের ভয়ে পিছু হটতে চাইলো কিন্তু সামাদ নিজের ঘাড়ে সকল বিপদ বহনের ওয়াদা করলো।
শুক্রবার প্ল্যান অনুযায়ী তারা শহরের এক নামকরা হোটেলে লাঞ্চ করতে গেল। প্রত্যেকে মিলে মাত্র ২০০ টাকা সঙ্গে নিয়ে খেতে গেল। হোটেলের প্রায় সব আইটেম তারা চেখে নিলো। বিল আসল ১৫০০ টাকা মাত্র!!
তখনই সামাদ হেসে হেসে ওয়েটারকে বললো যে তাদের কাছে এত টাকা নেই। ওয়েটার হোটেলের ম্যানেজারকে ডাকলো। ম্যানেজার ৩ জনকে একচোট ঝাড়লেন আর হোটেলে কাজ করার জন্য বলতে লাগলেন। সাথে সাথে একযোগে সবাই মাথা নেড়ে অস্বীকৃতি জানালো। অবস্থা বেগতিক দেখে বাইরের থানার এক পুলিশ কনস্টেবলকে ডাকলেন। তখন তিনজন মনে মনে খুশিই হল।
কনস্টেবলকে সামাদ কি জানি একাকী বলতে লাগলো আর পকেট থেকে সেই ২০০ টাকা ধরিয়ে দিল। অনেক দরদামের পর ২০০ তেই রাজি হলেন তিনি।
ছাড়া পেয়ে ৩ বন্ধুই আনন্দে গান জুড়ে দিল....
''আহা! কি আনন্দ আকাশে বাতাসে''
বি:দ্র: গল্পের সব ঘটনা, স্থান আর চরিত্র কাল্পনিক। কারও জীবনের ঘটনার সাথে মিলে গেলে তা অনভিপ্রেত কাকতালমাত্র।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১০ দুপুর ২:১১