somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভোরের কাগজ- এর লাইফ স্টাইল ৮ পৃষ্ঠার ট্যাবলয়েড -

২১ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
রঙিন
অধর...

সানজিদা তৃণা
মডেল : পারমিনা মবিন মেকআপ : তানজীমা শারমিন মিউনি, হেয়ারোবিক্স ব্রাইডাল আলোকচিত্রী : তাহের মানিক
গাঢ় লাল রঙ ঠোঁটে ব্যবহার করাটা অনেকের কাছেই পছন্দনীয় নয়। এ যেন শুধু মডেলদেরই মানায়। তাই যতোই ফ্যাশনেবল হোক বা যতোই ভালো লাগুক, টকটকে লাল লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙাতে দ্বিধায় ভোগেন অনেকে। বাদামি, মেরুন, গোলাপি ঠোঁট রাঙানোর জন্য এই রঙগুলোই সাধারণত বেছে নেন অনেকে। তবে আপনার ব্যক্তিত্ব আর পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হলে যেকোনো রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। সেটি লালও হতে পারে। এমনটাই ধারণা রূপ বিশেষজ্ঞদের।
( প্রথম পৃষ্ঠার পর )

গাঢ় লাল রঙ ঠোঁটে ব্যবহার করাটা অনেকের কাছেই পছন্দনীয় নয়। এ যেন শুধু মডেলদেরই মানায়। তাই যতোই ফ্যাশনেবল হোক বা যতোই ভালো লাগুক, টকটকে লাল লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙাতে দ্বিধায় ভোগেন অনেকে। বাদামি, মেরুন, গোলাপি ঠোঁট রাঙানোর জন্য এই রঙগুলোই সাধারণত বেছে নেন অনেকে। তবে আপনার ব্যক্তিত্ব আর পরিবেশের সঙ্গে মানানসই হলে যেকোনো রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। সেটি লালও হতে পারে। এমনটাই ধারণা রূপ বিশেষজ্ঞদের।
গায়ের রঙ ফর্সা হলেই লাল লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে এমন ধারণাও ভুল। যেহেতু লাল রঙ নিজেই অনেক জমকালো, সে কারণে অন্যান্য আনুষঙ্গিক সাজগোজ হতে হবে হালকা ধরনের।
তবে কম বয়সের মেয়েরা পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে লাল রঙ দিয়ে ঠোঁট রাঙাতে পারে। যেকোনো সন্ধ্যা বা রাতের অনুষ্ঠানে আপনি লাল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে চোখের সাজটা হতে হবে হালকা ধরনের। এক্ষেত্রে শুধু কাজল বা বাদামি আইশ্যাডো দিয়ে সাজিয়ে নিন চোখ। স্মোকি সাজটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। গোলাপি আভার মেকআপ ব্যবহার করবেন না। এর বদলে সাদা বা চাপা সাদা আভার মেকআপ ব্যবহার করতে হবে। শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেও এটি ব্যবহার করা যাবে। তখন গয়না ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। ভারী ধরনের গয়না পরবেন না। মুক্তা বা পাথরের হালকা গয়না ব্যবহার করতে পারেন। লম্বা গাউন বা পার্টি পোশাকের সঙ্গে লাল লিপস্টিক বেশি মানায়। লাল লিপস্টিক দিয়ে শার্ট বা ফতুয়া পরলে অবশ্যই কানে চিকন রিং এবং গলায় লম্বা মালা পরতে ভুলবেন না। লাল লিপস্টিকের সঙ্গে চুলের সাজটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ব্লো ড্রাই করতে পারেন। এছাড়া ঢেউ খেলানো বা কোঁকড়া ভাব আনতে পারেন, যা লাল লিপস্টিকের সঙ্গে মানিয়ে যায়। নিজেকে আরো আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে চাইলে ওয়েট লুক আনতে পারেন চেহায়ায়। লাল লিপস্টিক অনেক ফ্যাশনেবল। তাই পুরো সাজটা এর সঙ্গে মানানসই হতে হবে।
এখন শীতের সমাগম চারদিকে। তাই শীতের সময় লালের মতো গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে একে যদি দীর্ঘস্থায়ী করতে চান, তাহলে লাল রঙের লিপ পেন্সিল ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাট ধরনের লিপস্টিক দিলে শীতে আরো ঠোঁট শুকিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে স্যাটিন বা গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।
লাল লিপস্টিক ব্যবহার তো হলো। কিন্তু এটা তোলার নিয়ম কানুনও জেনে নিতে হবে। লাল রঙটা বেশ গাঢ়। তাই লিপস্টিক তোলার আগে অলিভ অয়েল দিয়ে ঠোঁটটাকে হালকা মালিশ করে নিন। এরপর পাতলা নরম কাপড় দিয়ে ধীরে ধীরে তুলুন। রাতে আবার ভালো করে লিপবাম বা ভ্যাসলিন লাগাতে ভুলবেন না। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। লাল রঙের লিপস্টিক ব্যবহারের আগে নিজের দাঁতের দিকে নজর দিন। সাদা ঝকঝকে দাঁত না হলে এটি ব্যবহার করবেন না। তাই লিপস্টিক ব্যবহারের আগে দাঁত পরিষ্কার করে নিন।
লাল রঙের গ্লসি লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁটে আলতো করে বরফ ঘষে নিন। এতে লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী হবে। এছাড়া লাল, সাদা, চাপা সাদা, কালো, সবুজ বা নীল রঙের পোশাকের সঙ্গে লাল লিপস্টিক মানাবে। তবে হালকা ধরনের জমকালো পোশাকের সঙ্গে এটি ব্যবহার করুন। তাহলে দেখবেন সবার মাঝে আপনি হয়ে উঠেছেন অনন্যা।

শীতে ঠোঁটের যতœ

শীত জাঁকিয়ে বসার আগে থেকেই চাই বাড়তি যতœ। শীতজুড়ে সুন্দর ঠোঁট পেতে এখনই শুরু করে দিন এর পরিচর্যা। শীতের সময় রুক্ষ্মতার প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকে, বিশেষ করে ঠোঁটে। কারণ ঠোঁটের চামড়া খুবই স্পর্শকাতর। এ সময় তাই ঠোঁটের দরকার আর্দ্রতা। এর অভাব হলেই শুরু হবে ঠোঁট ফাটা। তাই শীতে ঠোঁটের জন্য একটু বাড়তি নজর প্রয়োজন, বাড়তি সময় নয়। শীতের শুরু থেকেই লিপবাম বা লিপজেল ব্যবহার করতে হবে। ভ্যাসলিন ও গ্লিসারিনও ব্যবহার করতে পারেন। তবে যাদের ঠোঁট ফেটে গেছে এর মধ্যে, তাদের একটু বাড়তি চর্চা তো করতেই হবে। এ জন্য কিছু পরামর্শ রয়েছে এবার ঠোঁট নরম হবে এতে।
* মধু ও নারকেলের দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন।
* গোলাপ ফুলের পাতা, মধু ও দুধের সর মিশিয়ে ১৫ মিনিট ঠোঁটে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
* গ্লিসারিন ও লেবুর রস ২০-২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
* পাকা কলা মাসাজ করতে পারেন খুব আলতো করে।
* জলপাই ও নারকেলের তেল ব্যবহার করতে পারেন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে।
* হাতের কাছে শুধু গোলাপজল থাকলে সেটাও লাগাতে পারেন।
* খাঁটি ঘি ও মাখন ঠোঁটে মেখে সারা রাত রেখে দিন।
* শসার রস ঠোঁটে লাগালেও উপকার পাবেন।
ছেলেদেরও ঠোঁট ফাটার প্রবণতা থাকে। সাধারণত ছেলেদের ঠোঁটের চামড়া বেশ পুরু হয়। তবে শীতের সময় অবশ্যই ঠোঁটকে আর্দ্র রাখতে হবে। লিপবাম ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত। যদি তাতে সমস্যা থাকে তবে সাধারণ ক্রিমও লাগাতে পারেন। কোনোভাবেই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো যাবে না। একটা ছোট্ট লিপবাম মনে করে রেখে দিতে পারেন পকেটে।


---

টাই ব্যক্তিত্বের অনুষঙ্গ

মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে ব্যক্তিত্বের সংজ্ঞা কী? এক কথায় উত্তর দিতে গেলে অনেকেই ভিমড়ি খাবেন। উত্তরে কেউ হয়তো বলবেন ব্যক্তিত্ব মানে স্মার্টনেস আবার কেউ বলবেন, দৃষ্টিনন্দন পোশাক কিংবা আচার-আচরণ, চলন-বলন। আসলে এগুলোর কোনোটিতেই ব্যক্তিত্ব সীমাবদ্ধ নয়। বরং সামগ্রিক বিষয়বস্তুর সমষ্টিগত উপস্থাপনাকেই ব্যক্তিত্ব বলা যায়। তবে পোশাক-পরিচ্ছদ এই ব্যক্তিত্বে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
কর্পোরেট কর্মকর্তা বা চাকরিজীবিদের অনেককেই স্যুট পড়ে অফিস করতে হয়। সাথে থাকে টাই। ব্যক্তিত্ব বাড়াতে টাইয়ের বিকল্প খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

টাই যারা ব্যবহার করেন, তাদের অনেকেই এর আকার-আকৃতি সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। পরার দরকার পরেছি এমন ভাব থাকলে টাই ব্যবহারের কোনো মানে থাকে না। শারীরিক আকৃতির সাথে টাইয়ের আকৃতি মানানসই হতে হবে। যারা একটু মোটাসোটা, তাদের টাই হওয়া উচিত খানিকটা চ্যাপ্টা গোছের। আর অবশ্যই তা হওয়া চাই ছোট। যারা শারীরিকভাবে লম্বা, তাদের টাই হওয়া উচিত চাপা এবং খানিকটা লম্বা। আকার-আকৃতির পরেই যে বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত, তা হলো টাইয়ের রঙ। রঙের বিবেচনায় তিনটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত। যে রঙের কাপড় পরেছেন, একই রঙের টাই পরা যেতে পারে। আবার যে রঙের কাপড় তার কাছাকাছি কোনো রঙের টাইও পরা যায়। অনেকে আবার কন্ট্রাস্ট কালার অর্থাৎ যে রঙের পোশাক ঠিক তার বিপরীত রঙের টাই পরেন। তবে খুব বেশি চোখে লাগে এমন রঙের টাই ভুলেও পরবেন না। মেরুন রঙের কোনো শার্টের সাথে টাইয়ের রঙ হতে পারে কালো, বাদামি। কিন্তু কখনোই সেটা লাল বা নীল হবে না। একরঙা কালো টাই হলো ক্ল্যাসিক টাই। প্রায় সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই তা মানায়। অনেকে মনে করেন স্যুট পরলেই কেবল টাই পরা যায়। এটা নিতান্তই ভুল ধারণা। শার্ট-প্যান্টের সাথেও টাই পরা যায়। তবে অবশ্যই রঙের ব্যাপারে সাবধান থাকবেন। স্যান্ডেলের সাথে কখনোই টাই পরবেন না। জুতা পরলেই কেবল টাই পড়ুন। সেক্ষেত্রে জুতাটাও হওয়া চাই মানানসই।
বাজারে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের, নানা মানের টাই পাওয়া যায়। চীন এবং ভারতের টাই আমাদের দেশে বেশ চলে। চেক, একরঙা, বড়- ছোট ফুলের ডিজাইন ইত্যাদি টাই পাওয়া যায়। রঙের ক্ষেত্রে রুপালি, গাঢ়, ধূসর, কালো, লাল, মেরুন ইত্যাদি রঙের টাই পাওয়া যায়।
টাই ব্যবহার করলে অবশ্যই তার যতœ নেয়া উচিত। তাতে টাই দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। অনেকেই বলেন টাই খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এ থেকে বাঁচতে হলে টাই প্রতিবার ব্যবহারের পর হালকা গরমে ইস্ত্রি করে নিন। দু-তিন সপ্তাহ পরপর টাই ধুয়ে নেবেন। এরপর ছায়াযুক্ত স্থানে শুকিয়ে অবশ্যই ইস্ত্রি করে ব্যবহার করুন।


আরো কিছু টিপস
* দেখে নিন ঠিকমতো নট বাঁধা যায় কি না।
* কাপড় হিসেবে সিল্ক বা পলিয়েস্টারকেই প্রাধান্য দিন।
* টাইয়ের ভেতরে শক্ত কিছু থাকবে যা টাইয়ের আকার ঠিক রাখবে।
* সাধারণত টাইয়ের দৈর্ঘ্য ৫২ থেকে ৫০ ইঞ্চির মধ্যে হয়। তবে আপনি লম্বা হলে অর্ডার দিয়ে বড় টাই তৈরি করে নিতে পারেন।
* স্যুটের জন্য টাই কিনতে হলে সঙ্গে স্যুট নিয়ে যাবেন।
* ভালো মানের টাইয়ের লাইনিং সুতি কাপড়ের হয়। লাইনিংয়ে সুতির ভাগ যত বেশি হবে টাই তত ভালো হবে।
* ভালো টাইয়ের কাপড় কাটা হয় আড়াআড়িভাবে। ফলে টাই সোজা থাকে। টাই সোজা থাকে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য টাইটি আপনার হাতে প্যাঁচ দিয়ে দেখুন।
* টাইয়ের ওপর ক্লিপ পরবেন না।
* টাইয়ের প্রস্থ বেল্টের ল্যাপেলের প্রস্থের সমান হবে। ল্যাপেল চওড়া হলে টাই হবে চওড়া, ল্যাপেল চিকন হলে টাই হবে চিকন।
* টাইয়ের নট হবে কলারের সমানুপাতিক। নট যাতে বড় হয়ে কলারকে চেপে না ধরে। আবার এত ছোট না হয় যা কলারের মধ্যে হারিয়ে যায়।
* টাইয়ের রং হবে স্যুটের সঙ্গে মিল রেখে এবং শার্টের
সঙ্গে তেমন একটা মিলবে না।
টাইয়ের যতœ
* টাই কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখুন। ভাঁজ পড়বে না। এরপর পেঁচিয়ে ড্রয়ারে রাখুন।
* চিকন প্রান্ত থেকে পেঁচানো শুরু করুন।
* বেড়াতে যাওয়ার সময় টাই সঙ্গে নিলে টাই কেইস ব্যবহার করুন।
* পরপর এক টাই পরবেন না। কারণ টাইয়ের স্বাভাবিক আকারে ফিরতে কিছু সময় লাগে।
* টাই না পরলে নট খুলে রাখুন।

যা জানা জরুরী
আকার : টাই কেনার সময় অবশ্যই আপনার শারীরিক উচ্চতার কথা চিন্তা করে নেকটাই নির্বাচন করা উচিত। কারণ আপনার উচ্চতা বেশি হলে লম্বা টাই নির্বাচন করা উচিত আর উচ্চতা কম হলে একটু কম দৈর্ঘ্যরে টাই নির্বাচন করা ভালো। টাই পরার পর অবশ্যই খেয়াল করবেন, টাইয়ের ত্রিকোণাকৃতির মাথা যেন আপনার বেল্টের বকলেস স্পর্শ করে।

রঙ নির্বাচন : টাই নির্বাচনের সময় অবশ্যই আপনার শার্ট বা সুটের রঙের কথা মাথায় রাখবেন। শার্ট বা সুটের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ টাই নির্বাচন করুন। প্রয়োজনবোধে আলাদা শার্ট বা সুটের জন্য আলাদা টাই নির্বাচন করুন।

গুণগত মান : টাই কেনার আগে তার কাপড়ের গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। টাই সিল্ক বা সার্টিন কাপড়ের নির্বাচন করা সবচেয়ে ভালো। কারণ এসব কাপড়ের উজ্জ্বলতা বেশি, যা আপনার পরিচ্ছদকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।

সেলাই : হাতে তৈরি টাই নির্বাচন করা ভালো। কারণ এর ফিনিশিং টাইকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
--
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন

রাস্তায় যখনই কোন যানবাহন নিয়ে আপনি নিজে বের হবেন তখন তা চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স। ট্রাফিক আইন মেনে চলতে গেলে এর বিকল্প নেই। ড্রাইভিং লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে নতুন করে নবায়ন করে নিতে হয়। বিআরটিএ সূত্র মতে, ড্রাইভিং লাইসেন্স একবার তৈরি করে নিলে সারা জীবন বৈধভাবে গাড়ি চালানো যায় না। নির্দিষ্ট সময় পর এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করে নিতে হবে। এ জন্য প্রতিটি চালককেই জেনে নিতে হবে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।

বিআরটিএ দুই রকম ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে থাকে। প্রফেশনাল ও নন-প্রফেশনাল। প্রফেশনাল লাইসেন্স নবায়ন করতে ১০৫০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। আর নন-প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য ১৭৫০ টাকা ফি হিসেবে জমা দিতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ সময়ের পরিমাপের ওপর জরিমানা দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে। এ ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ সময় এক বছরের বেশি হলে ২০০ টাকা। এক বছরের কম হলে ১০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. স্ট্যাম্প সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি
২. পাসপোর্ট সাইজের এক কপি রঙিন ছবি
৩. লাইসেন্সের দুটি ফটোকপি
৪. লাইসেন্সের লেমিনেটিং কপি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নে করণীয় :
বর্তমানে ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলার বাকি উপজেলার বাসিন্দাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য ফি জমা দিতে আর ডাকঘরে যেতে হচ্ছে না। ব্যাংকের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি জমা দেয়া যাবে। এ বিষয়ে বিআরটিএর জরুরি বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ফি জমা নেয়ার ব্যাংক হচ্ছে মিরপুরের বিআরটিএর অফিসে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ; সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ধানম-ি, সাত মসজিদ রোড, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, কারওয়ান বাজার, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, কাকরাইল, মৌচাক, গুলশান, উত্তরা, বনানী, মতিঝিলের (প্রধান শাখা) এবং করপোরেট যেকোনো শাখা। ১ ডিসেম্বর থেকে অবশ্য দেশের অন্যান্য জেলা ও মহানগর এলাকার সাউথ ইস্ট ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংকের যেকোনো শাখায় টাকা জমা দেয়া যাবে। আবার ওই দিন থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীর বিআরটিএর অফিসের ব্র্যাক ব্যাংকের বুথ চালু করা হবে। সেগুলোয় কর ও ফি জমা দেয়া যাবে।
ব্যাংকের শাখা ও বুথের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি জমা দেয়ার জন্য প্রথমবার গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে ফির অবস্থা জানতে হবে, তারপর টাকা জমা দিতে হবে। টাকা জমা দিতে গ্রাহকদের কোনো জমা বই পূরণ করতে হবে না। কেবল গাড়ি বা লাইসেন্সের মূল ডকুমেন্টস দেখালেই চলবে। টাকা জমা দেয়ার পর বিআরটিএর যেকোনো অফিস থেকেই জানা যাবে টাকা জমা নিশ্চিত করণ তথ্য।

পুরোনো আসবাবে
নতুন আবহ
গুলশান নর্দা রোডের বাসিন্দা জাহিরা খানম। প্রায় ৫ বছরের সংসার। সুন্দর সুন্দর আসবাবপত্রের প্রতি তার প্রচন্ড ঝোঁক। লিভিংরুম, বেডরুম, ডাইনিং রুম, কিচেন রুমের প্রতিটি জায়গায় যেখানে যেখানে আসবাব দরকার, সেখানে ঠিক সেই আসবাবটি শোভা পাচ্ছে। আছে বাহারি রকমের আসবাবপত্র। বেড, আলমারি, চেস্ট অব ড্রয়ার, টিভি স্ট্যান্ড, সোফাসেট, শোকেস, ডাইনিং টেবিল, চেয়ার, ডিনার ওয়াগনÑ কী নেই! ওয়ারড্রব, বুকসেলফ, কম্পিউটার টেবিল, ডিসপ্লে সেলফ, আলমারি ইত্যাদি। রকমারি আসবাব তার ঘরে। কিন্তু বিপাকে পড়েছেন পছন্দের আসবাব নিয়ে। অনেক দিন ব্যবহারের ফলে অনেক আসবাব হারিয়ে ফেলেছে তাদের সৌন্দর্য। যেসব আসবাব ঘরের সৌন্দর্য হিসেবে ছিল, সেটা আজকে অনেকটাই সৌন্দর্য হানিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ঘরের এ আসবাবপত্র চাইলেই তো আর পাল্টানো যায় না। তাছাড়া এতোগুলো আসবাব তো আর এক সঙ্গে কেনা সম্ভব না। আসলে জাহিরার মতো অনেকেই ঘরের আসবাব নিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। তবে আসবাবে যদি আবার নতুন আবহ আনা যায়, তা হলে তো কোনো কথাই নেই।

লিকার পলিশ
আপনার আসবাব যদি কাঠের না হয়, তা হলে আপনাকে লিকার পলিশ করাতে হবে আসবাবে। লিকার পলিশ একটু ব্যয়বহুল হাতের পলিশের থেকে। লিকার পলিশ করার জন্য লোকও আপনি পাবেন পান্থপথ ও শেওড়াপাড়াতে। দুভাবে আপনি কাজ করাতে পারবেন। দৈনিক ভিত্তিতে ও চুক্তিতে। এ ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো হয় দৈনিক ভিত্তিতে কাজ না দিয়ে চুক্তিভিত্তিতে দেয়া। আসবাবের ধরন ও আকৃতি অনুযায়ী বড় ধরনের আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে লিকার পলিশ করতে খরচ হবে দেড় হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকা।

ব্র্যান্ড আসবাব
আপনার ঘরে যদি থাকে পারটেক্স, অটবি, হাতিল বা ব্রাদার্স-এর মতো ব্র্যান্ডের আসবাব, তা হলে খুব সহজেই পলিশ করাতে পারবেন। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের পণ্যের ক্ষেত্রে লিকার পলিশ করিয়ে দেয়। এজন্য আপনাকে তাদের গ্রাহক সেবাকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে। তারা আপনার বাসায় লোক পাঠাবে। বাসায় যদি কাজ করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে আপনার আসবাবটি তারা তাদের কারখানায় পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করে বাসায় পৌঁছে দেবে। এসব প্রতিষ্ঠানে পলিশ করতে প্রতি বর্গফুটে খরচ হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। কোম্পানি ভেদে পলিশের খরচ আবার আলাদা। এর বাইরে আপনাকে পণ্য পরিবহন খরচ বহন করতে হবে।

কাঠের সাধারণ আসবাবপত্র
আসবাব জগতে আধুনিক নানান ধরনের আসবাবপত্র এসে জায়গা করে নিলেও কাঠের তৈরি আসবাবের দিকে সবার একটা বিশেষ পছন্দ কাজ করে। আমাদের অনেকেরই ঘরে শোভা পায় বিভিন্ন কাঠের তৈরি নানা ধরনের আসবাব। কাঠের তৈরি আসবাবের যদি রঙ নষ্ট হয়ে যায়, সেগুলো আবার পলিশ করে নিতে পারেন। পলিশ করাতে খুব বেশি খরচ হবে না। পলিশ করালে জিনিসটাকে দেখাবে নতুনের মতোই। কাঠের তৈরি আসবাব হাতে পলিশ করতে হয়। এজন্য আসবাব তৈরি করে এমন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন। প্রতিষ্ঠানের নিজেদের রঙ করানোর মিস্ত্রি থাকে। আর আসবাবপত্র যদি বেশি হয়, তা হলে আপনি চলে যেতে পারেন ঢাকার পান্থপথে অথবা শেওড়াপাড়ায়। পলিশ করানোর লোক পাবেন এসব এলাকায়। দৈনিক হিসেবে বা পুরো কাজের জন্য, প্রতিজন মিস্ত্রিকে দিতে হয় ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। আসবাবপত্রের আকার ও নকশা দেখে মজুরি নির্ধারিত হবে, পুরো কাজের জন্য।

হ তানভীর আহমেদ আশিক

--
টিনএজদের খাবার
টিনএজার মানেই যেন দুরন্ত। টিনএজদের বাসার খাবারের চেয়ে রেস্টুরেন্ট বা ফাস্টফুড খাবার সব সময়ই যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। টিফিন বা অবসর সময়ে কিশোর-কিশোরীরা নাশতা বা স্ন্যাকস হিসেবে বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকে। তারা যদি জেনে নেয় কোন খাবারে তাদের কতোটুকু উপকার হবে, তবে হয় বাসায় বা বাইরে যেই খাবারটি খাক না কেন, তা হবে সুষম মাত্রায়। মায়েরা এ ব্যাপারে সন্তানদের উৎসাহিত করতে পারেন। ত্বক বা শরীরের যতœ নিতে তারা হয়তো এ খাবারগুলো সহজেই গ্রহণ করবে।
* ভিটামিন ও মিনারেল শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর ত্বক, চুল, নখ ও যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করে। সবজি বড়া, ফুলকপি ভাজা, গাজরের হালুয়া, সবজি স্যুপ ও ব্রুকলি সালাদ এ ক্ষেত্রে উপকারী।
* শরীর গঠনে প্রোটিন বিশেষ সহায়তা করে। এ ক্ষেত্রে ডিপের চপ, কাবাব, মুরগি সালাদ, সয়া বাদাম ও শিমের বিচি খাওয়া যাবে।
* বাদাম, কুকিজ, ক্যান্ডি, মাখন-টোস্ট, চিপস ও পিঠা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
* পুডিং, ইয়োগার্ড, দুধ, সেমাই, কাস্টার্ড হাড় ও দাঁত মজবুত করে। দুধ বা দুধজাতীয় খাবার ঠা-া করে প্যাকেট বা বাক্সে বহন করা যায় অনায়াসে।
* ভিটামিন ও খনিজ লবণে ভরপুর এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে আপেল, কমলা, কলা, ফ্রুট সালাদ, শুকনো ফল, আঙ্গুর। এগুলো প্রতিদিন অল্প করে হলেও খাওয়া উচিত।
* শক্তিদায়ক মাংসপেশি ও ব্রেইনের জন্য নুডলস, পিৎজা, আলুর চপ, পপকর্ন, আলুর চিপস, শসা, ডিম, পরোটা, চাপাতি খাওয়া যেতে পারে।
* স্বাদ পরিবর্তন বা খাবারের বাড়তি স্বাদের জন্য ২-৩টি পদের খাবার একসঙ্গে মিশিয়ে খাবার তৈরি করে নেয়া যেতে পারে। এতে স্বাদও পাল্টাবে খেতেও ভালো লাগবে।
* যে কোনো খাবারই টাটকা খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। সুতরাং বাইরে খাবার সময় ব্যাপারটি একটু মাথায় রাখা উচিত।
* বাইরে বের হওয়ার সময় পানি নিয়ে বের হওয়া ভালো। এ পানিটি ফ্রোজেন হলেও সমস্যা নেই। তবে দ্রুত ঠা-া লাগার রোগ যাদের তাদের ক্ষেত্রে ফ্রিজের খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
হ কামরুল হাসান পাভেল
--

আয়নার যতœ
* ধুলার স্তর দূর করতে গিয়ে কাচের কিনারে গ্লাস ক্লিনার স্প্রে করবেন না। তাহলে সিলভার উঠে গিয়ে কালো হয়ে যাতে পারে আয়না।
* বাড়তি চকচকে ভাব আনার জন্য আয়নার গায়ে আলুর খোসা ঘষুন। তারপর ভেজা, নরম কাপড়ে মুছে নিন।
* বেসিনের আয়নায় পানির ছিটা লেগে দাগ পড়ে। পুরোনো নাইলনের মোজা দিয়ে ঘষলে দাগ উঠে যাবে।
* খবরের কাগজ গরম পানিতে ভিজিয়ে আয়না ঘষে ঘষে মুছুন, তারপর পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
* গ্লাস ক্লিনার দিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে গ্লাস ক্লিনার তোয়ালে বা নরম কাপড়ে স্প্রে করে তারপর ব্যবহার করুন। সরাসরি কাচের গায়ে স্প্রে করবেন না।

--

বাসা বদলের আগে
বাসা বদলে ঝক্কি-ঝামেলার শেষ নেই। আগে থেকেই কিছু প্রস্তুতি সেরে নিলে ঝামেলা ছাড়াই কাজটি শেষ করতে পারেন।
ফার্নিচার : যেসব ফার্নিচার পুরোনো হয়ে গেছে সেগুলো নতুন বাসায় ওঠানোর আগে বার্নিশ করিয়ে নিন। আর বিক্রি করতে চাইলে পুরোনো ফার্নিচার ক্রয়-বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কোনো ফার্নিচার খোলার প্রয়োজন হলে অভিজ্ঞ ফার্নিচার মিস্ত্রির সঙ্গে কথা বলুন। অধিক নিরাপত্তার জন্য চট দিয়ে পেঁচিয়ে নিন।
ক্রোকারিজ ও কাপড়-চোপড় : কাচের জিনিসপত্র, শোপিস পুরোনো খবরের কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে কার্টন, বালতি অথবা পাতিলে রাখুন। কাপড়-চোপড়, চাদর, পর্দা ইত্যাদি কার্টনে ভরে স্কচটেপ লাগিয়ে সুতলি দিয়ে বেঁধে নিন। কোন কার্টনে কি রাখলেন তা মনে রাখার জন্য মার্কারি পেন দিয়ে লিখে রাখুন। রান্নাঘরের হাঁড়ি-পাতিল এবং অন্যান্য ক্রোকারিজের জিনিস বস্তায় ভরে নিন।
ব্যক্তিগত ও মূল্যবান জিনিসপত্র : গহনা, ঘড়ি, মোবাইল, সিডি-ভিসিডি, দামি শোপিস, গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ইত্যাদি আলাদা করে ব্যক্তিগতভাবে বহন করুন। শিফটিংয়ের সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা-পয়সা না রাখাই ভালো।
ইলেকট্রিক আইটেম : ঘরের ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার ইত্যাদি অরিজিন্যাল কার্টনে রাখাই ভালো। যদি কার্টন না থাকে ককশিট সংগ্রহ করে এয়ারকন্ডিশন, ফ্যান, গিজার, আইপিএস ইত্যাদির জন্য একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের সঙ্গে আগে থেকেই আলোচনা করে নিন।
কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন : ওই কাজগুলো শেষ করতে ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো সংগ্রহ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে কার্টনের জন্য নয়াবাজার ও মিরপুর-১। চট সংগ্রহের জন্য কারওয়ান বাজার, কিচেন মার্কেট ও মিরপুর-১। ফার্নিচার মিস্ত্রি, বার্নিশ ও পুরোনো ফার্নিচার বিক্রির জন্য গুলশান-১, পান্থপথ, শেওড়াপাড়া বা যেকোনো ফার্নিচারের দোকানে খোঁজ নিতে পারেন।

নাজমুল হোসেন তানভীর

--

রসনায় সস

রসনাবিলাসীদের কাছে কমবেশি সস পছন্দনীয় খাবার অনুষঙ্গ। ভিন্ন ভিন্ন সসের ব্যবহারে খাবারের স্বাদে চলে আসে ভিন্নতা। আর এই সস কেবল রান্না করা খাবারের সঙ্গেই নয়, হালকা সেঁকে, ঝলসে আবার কখনো রান্নার সময় ব্যবহার করে খাওয়া যায়। রসনায় সসের বহুবিধ ব্যবহার জেনে নিন এবার।
* টম্যাটো সস বা ক্যাচাপ দিয়ে মাংস ভুনা করলে মাংসের স্বাদ বাড়ে। তাছাড়া পিনাট বাটার সস মাংস ভুনাতে ব্যবহার করা যায়।
* সয়াসসের ব্যবহার হয় মাংস রান্না করতে। তবে সয়াসসের রঙের ভিন্নতা রয়েছে। কালো এবং একটু হালকা রঙের সয়াসসও রয়েছে। যারা খাবারের রঙে উজ্জ্বল ভাব আনতে চান, তারা ব্যবহার করতে পারেন হালকা রঙের সস।
* চিলি সসেরও রকমফের রয়েছে। রেড চিলি আর গ্রিন চিলি সস। যারা ঝাল খেতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য চিলি সস ভালো। তবে এখানেও আছে রঙের ফারাক।
* ভিনেগার মাংস সেদ্ধ করতে এবং খাবারের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে।
* ওয়েস্টার সসও খাবারের স্বাদ বাড়ায়। খাবার রান্নার সময় এই সসের ব্যবহার হয়।
* ফিশ সস নাম হলেও মাংসের স্বাদ বাড়াতে ফিশ সসের জুড়ি নেই।
* বারবিকিউ সস বারবিকিউ রান্নাতে ব্যবহৃত হয়।
* টার্টার সস কেনা ছাড়াও ঘরে বানিয়ে নেয়া যায়। মেয়োনিজ, পেঁয়াজ মিহি কুচি, সবজি মিহি কুচি, ধনেপাতা কুচি একসঙ্গে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিলে মজাদার টার্টার সস তৈরি হয়ে যায়। রান্না মাংসের সঙ্গে এই সস খুব চলে।
* হলান্ডেইজ সস কিনতে পাওয়া যায়, যা সেদ্ধ বা ঝলসানো মাংসের সঙ্গে খেতে ভালো লাগে। ঘরে বসে তৈরি করতে চাইলে মাখন, লেবুর রস, সিরকা, ডিমের কুসুম আর লবণ একসঙ্গে একটা পাত্রে হালকা সেদ্ধ করতে হয়। আধা সেদ্ধ করতে একটা পাত্রে গরম পানি দিয়ে অল্প করে তাপ প্রয়োগ করতে হয়। এভাবেই তৈরি করা যায় এই সস।
* হোয়াইট সসও মাংসের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। এটি তৈরির জন্য মাখন, ময়দা, দুধ, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া, সিরকা সব উপাদান একসঙ্গে মেখে আধা সেদ্ধ করতে হয়।
* মাংসের স্বাদে টক ভাব আনতে চাইলে তেঁতুলের সস ব্যবহার করতে পারেন।

দরদাম
ওয়েস্টার সসের দাম ১৬৫-১৭৫ টাকা, পিনাট বাটার সস ১৩৫-২২০ টাকা, টম্যাটো ক্যাচাপ অথবা সসের দাম পড়বে ৬০-১৫০ টাকা, চিলি সসের দাম পড়বে ৯০-১১০ টাকা, বারবিকিউ সসের দাম ভেদে ২৮০-৩৫০ টাকা, ফিশ সস ১০০ টাকা, রসুনের সস ১৪৫ টাকা, ভিনেগার ৭০-১৩৫ টাকা, সয়াসস ৮০-১৫০ টাকা, টার্টার সস ২৫০-৩৩৫ টাকা। এসব সস আপনার বাসার সামনের মুদির দোকানের পাশাপাশি নিউমার্কেট ও যেকোনো সুপারস্টোর আর বড় বড় ডিপার্টমেন্ট স্টোর থেকে কিনতে পারবেন।
--

শিশুর
তোতলামি
যখন থেকে একটা শিশুর কথা বলা শুরু হয় ঐ সময়টাই রাহির কথা অস্পষ্ট ছিল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কথার জড়তাও বাড়তে থাকে। আর ভয় পেলে বা উত্তেজিত হলে তো কথাই নেই, একেবারে তোতলাতে শুরু করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে এটা হয় মুলত মানসিক অশান্তিগত কোন কারণ থেকে। যেসব শিশু স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে না, তারা এমনিতেই অস্বস্তিতে ভোগে। আবার এ কারণে তাদের মধ্যে উদ্বেগ ও হীনমন্যতাবোধ বেড়ে যায়। তোতলামি বা কথার জড়তা সাধারণত চার থেকে পাঁচ বছরের শিশুর মধ্যে বেশি দেখা যায়।

* জিহ্বা বা বাকযন্ত্রের ক্রটির কারণে সৃষ্ট তোতলামি। একে দৈহিক ক্রটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
* এক ধরনের তোতলামি রয়েছে যা শিশু অনুকরণ করে শেখে।
* যেসব মা-বাবা শিশুর কথার জড়তাকে তীব্রভাবে সমালোচনা করেন, সেসব শিশুর মধ্যে সমস্যা বেশি দেখা যায়।
* মানসিক উদ্বেগ, ইচ্ছার অবদমন, প্রতিকূল পারিবারিক পরিবেশ প্রভৃতিকে শিশুর তোতলামির উল্লেখযোগ্য কারণ বলে ধরা হয়।
* যেসব শিশু তুলনামূলকভাবে বেশি আতœসচেতন, ভয় পেলে বা রেগে গেলে তাদের কথার অস্পষ্টতা বা তোতলামি বেড়ে যায়। এসব শিশু বড় হয়ে উপহাসের ভয়ে সমবয়সীদের সঙ্গ এড়িয়ে চলে। একাকী ও বিমর্ষ হয়ে পড়ে। এমনকি বুদ্ধি বিকাশের দিক দিয়েও পিছিয়ে পড়ে।
* অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তার অভাব এবং কখনো কখনো ঈর্ষার জন্যও তোতলামি হতে পারে।

কথার জড়তা এড়াতে করণীয়
* বকুনি, শাসন, সংশোধন কোনোটাতেই তোতলামি সারে না; বরং সহানুভূতি, স্নেহ-মমতা, ধৈর্য ইত্যাদিতে শিশু এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে।
* শিশুর মনের উদ্বেগ, অশান্তির কারণ খুঁজে বের করতে হবে। যতোদূর সম্ভব শিশুর সামনে তার সমালোচনা না করাই ভালো। নিজেদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আড়াল করে শিশুর সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহার করতে হবে।
* বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বয়স বাড়লে অর্থাৎ ৯ থেকে ১০ বছর হলে কথার জড়তা আপনাতেই কেটে যায়। এরপরও যদি কারো সমস্যা থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।

ইমরান কায়েস সাজিদ

--

বিক্রয় ও বিপণনে
কর্মক্ষেত্র

বর্তমানে রাজধানীতে কয়েক লাখ শিক্ষিত তরুণ কাজ করছে বিভিন্ন কোম্পানির সেলস ও মার্কেটিং শাখায়। দিন দিন এ পরিসরে কাজের ক্ষেত্র বাড়ছে বৈ কমছে না। মূলত কমার্স বেইজড প্রার্থীদের এ ক্ষেত্রে কাজ করার কথা থাকলেও এখন অনেক প্রার্থী কাজ করছেন আর্টস এমনকি সায়েন্স গ্রুপ থেকেও। জেনে নিন সেলস ও মার্কেটিংয়ে কাজ করার খুঁটিনাটি।

* কি ধরনের চাকরি
সেলস এক্সিকিউটিভ, সেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, সেলস ম্যানেজারের চাকরি আজকাল পাওয়া যাচ্ছে। এ কাজে অভিজ্ঞতা থাকলে সেলস প্ল্যানার, টেলিমার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে প্রমোশন পাওয়া যায়। ডিস্ট্রিবিউটর এজেন্সিতেও এ কাজের জন্য লোক দরকার হচ্ছে। বড় বহুজাতিক সংস্থাগুলো মেগাসিটিতে তাদের দোকান খুলেছে। কোম্পানিগুলোও তাদের পসরা নিয়ে বড় শোরুম খুলেছে। এসব শোরুমে মার্কেটিংয়ের কাজের জন্যও লোক দরকার হচ্ছে। সেলস বয় বা গার্লের বদলে এখন বলা হচ্ছে ‘কাস্টমার কেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট।’ এ কাজে অন্যান্য যোগ্যতার সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতার ওপর জোর দেয়া হয়।

* বেতন-ভাতা
প্রথমদিকে হাজার টাকা মাইনে পাওয়া যায়। পরে কাজের ওপর ভিত্তি করে টাকার অংকটা ভালো রকম বাড়তে পারে। এ কাজের সুবিধে, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারলে অন্য কোম্পানি থেকে ডাক আসে।

* যোগ্যতা
শিক্ষাগত যোগ্যতা এ কাজের ক্ষেত্রে খুব একটা জরুরি নয়। তবে এ কাজে বিরামহীন কথা বলে যেতে হবে। ইংরেজিটা ভালো জানতে হবে। যে কোনো শাখার স্নাতক হলেই চলবে। অন্যান্য উৎসবের মৌসুমে কাজের চাপ অত্যধিক থাকে। এ সময় বারো ঘণ্টাও ডিউটি করতে হতে পারে। ছুটির দিনেও কাজ করতে হয়।

* চাকরি কোথায়
খবরের কাগজে প্রায়ই এ ধরনের কাজের জন্য লোক চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। সঙ্গে অনেক সময় আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবিও চাওয়া হয়। এর মানে এই নয়, প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে চেহারাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। সপ্রতিভ ব্যক্তিত্ব থাকা চাই, সঙ্গে কথাবার্তায় চটপটে হতে হবে, পরিশ্রম করার মানসিকতাও দরকার। এসব যোগ্যতা থাকলে ভালো রোজগারের জন্য রিটেলিং সেক্টরে কাজের অভাব হয় না।

মেহেদী হাসান সোহেল

পর্যটন বিষয়ে কোর্স
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষের জন্য পর্যটনের নানা কাজের সুযোগ রয়েছে। এ পেশায় একদিকে যেমন আয়ের ব্যবস্থা আছে, তেমনি পাহাড়, সাগর, নদী ও আপনার পছন্দের জায়গাগুলো ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এক সময় অনেকেই ভাবতেন, টুরিস্ট গাইড হওয়াই বুঝি পর্যটনশিল্পে পেশা গড়ার একমাত্র ক্ষেত্র। কথাটি সঠিক নয়। পর্যটকের গাইড বা পথনির্দেশনা দেয়াই কেবল পর্যটনের একমাত্র কাজ নয়। দেশের বিকাশমান পর্যটনশিল্পে বর্তমানে নতুন নতুন পেশা যোগ হয়েছে। পর্যটনের নানা পেশায় আসতে হলে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা যতোটা না পুথিগত, তার চেয়ে বেশি হাতে-কলমে শেখার।
পর্যটনে পেশাজীবন শুরু করার আগে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা ভালো। সেই সঙ্গে ডিপ্লোমা বা স্নাতক কোর্স করারও সুযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্য অনুষদের অধীনে চার বছরের স্নাতক আর এক বছরের স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। এখানে পর্যটন ও হোটেল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক করতে হলে নির্ধারিত সময়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। জাতীয় পর্যটন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্বল্পমেয়াদি কিংবা ডিপ্লোমা কোর্সÑ দুটির জন্যই ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হতে হবে। অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এ যোগ্যতা চাওয়া হয়। এসব যোগ্যতার পাশাপাশি প্রার্থীর জন্য প্রয়োজন চৌকষ ও কথাবার্তায় জড়তামুক্ত, উপস্থিত বুদ্ধিসম্পন্ন। ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি আরো কিছু ভাষা জানা থাকলে ভালো। নিজের দেশের সংস্কৃতি ও অন্য দেশের কালচার সম্পর্কে ধারণা থাকলে ভালো।
পেশা হিসেবে পর্যটন অবশ্যই বৈচিত্র্যময়। তাই আগ্রহ থাকলে সহজেই এ পেশায় আসা যায়। কয়েকটি ট্যুর কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমাদের দেশের পর্যটনশিল্প বর্তমানে বিকাশমান। তাই সহজেই এই ক্ষেত্রে উন্নতি করা সম্ভব। শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও রয়েছে এ ক্ষেত্রে অবারিত কাজের সুযোগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় পর্যটন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে ট্যুরিজমের ওপর পাঠদান ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আরো বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন জাতীয় পর্যটন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ৮৩-৮৮ মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১২১২। ফোন : ৯৮৯৯২৮৮-৯১।



--
দরকার হলে নতুন চাকরি
চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন
পদ ও যোগ্যতা : ব্যবস্থাপক (অর্থ/হিসাব), এসিএ/এসিএমএ অথবা এমকমসহ প্রথম শ্রেণীর দায?িত্বশীল পদে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা অথবা বিকমসহ ১২ বছরের অভিজ্ঞতাথ২০ জন
বেতন : ২২২৫০-৩১২৫০ টাকা
বয়স : ৩৭ বছর
পদ ও যোগ্যতা : সহকারী ব্যব
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×