somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি মুসলিম বিদ্বেষী কৌতুক।

১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিউইয়র্কের রাস্তায় এক ভদ্রলোক হেঁটে যাচ্ছিলেন। রাস্তার পাশে তিনি দেখতে পেলেন, একটা বাচ্চা ছেলে বেলুন নিয়ে খেলছে। হঠাৎ একটা পাগলা কুকুর কোথাথেকে এসে ছেলেটাকে আক্রমন করে বসলো। ছেলেটা চিৎকার করে সাহায্য চাচ্ছিলো, কিন্তু রাস্তার কোন লোকই তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাচ্ছিলো না। এটা দেখে লোকটাই বাচ্চাটাকে সাহায্য করতে ঝাঁপিয়ে পরলো।

বেশ কিছুক্ষণ রক্তারক্তি যুদ্ধের পরে কুকুরটা মারা গেল, এবং ভদ্রলোক ছেলেটার জীবন রক্ষা করলো। রাস্তায় তখন অনেক মানুষ জমে গেছে, তাদের মুহুর্মুহ করতালিতে তখন রাস্তা সরগরম। সবাই ভদ্রলোককে খুব অভিবাদন জানালো, এই রকম বীরোচিত কাজ করার জন্য বীর উপাধী দিয়ে দিলো।

ততক্ষণে সংবাদিকরা চলে এসেছে। তারা ঘটনাস্থলের ছবি তুলে ভদ্রলোকেরও ছবি তোলা শুরু করলো। এবং ভদ্রলোককে বললো, "আগামীকাল নিউইয়র্ক টাইমসে আপনার ছবি সহকারে এই ঘটনাটাই হেডলাইন হবে। হেডলাইনটি হবে এই রকমঃ নিউইয়র্কের অসীম সাহসী নাগরিকের অসাধারন বীরত্ত্বে বেঁচে গেল একটি শিশু"।

ভদ্রলোক বললেন, " কিন্তু আমি তো নিউইয়র্কের অধিবাসী নই"।

সাংবাদিকরা বললো, নো প্রবলেম, হেডলাইনে যাবেঃ আমেরিকার অসীম সাহসী এক নাগরিকের অসাধারন বীরত্ত্বে বেঁচে গেল একটি শিশু

ভদ্রলোক আবার বললেন, " কিন্তু আমি তো আমেরিকার নাগরিকও নই"

সাংবাদিকরা বললো, " কোন সমস্যা নেই, আপনি কোথাকার অধিবাসী এবং আপনার নাম কি সেটা লিখে দিয়ে যান, সে অনুসারেই হেডলাইন হবে"।

ভদ্রলোক বললেন, " আমি ফিলিস্তিনের অধিবাসী, আমার নাম আবদুল্লাহ বিন তারিক"।

পরের দিন নিউইয়র্ক টাইমসের হেডলাইন হলোঃ

প্যালেস্টাইনের এক মৌলবাদী মুসলিম টেরোরিস্টের নৃশংস ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে মৃত্যবরণ করলো একটি অবলা কুকুর।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:২৬
৪২টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×