ঘটনাটা ২০০৯ সালের শেষ দিকের…
সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক সপ্তম আশ্চর্যের লিষ্টে রাখতে সবদিকেই ভোটাভুটি চলছে। ছুটি থাকায় কয়েকজন বন্ধু মিলে নিজ শহরে ভোটের উদ্যোগ নেই।
লোকাল্লি পারমিশন ও সাপোর্টের জন্য এক বন্ধুর পরামর্শে জনৈক ব্যাবসায়ীর কাছে যাই। তিনি
আমাদের প্ল্যানের কথা শুনে অতি আপ্লুত হয়ে নেক্সট রবিবার দেখা করতে বললেন।
রোববার যথা সময়ে দেখা হওয়ার পর তিনি আমাদের নয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে গেলেন। আমাদের পরিচয় করিয়ে প্ল্যানের কথা বললেন দ্যান পাশের রুমে গিয়ে নাস্তা করতে বললেন।
হঠাৎ করেই পরিচিত এক লোক এসে বললেন কি ব্যাপার তোমরা নাকি এখানে ভোট সংগ্রহের জন্য চে'ম্যানের কাছে ১ লাখ টাকা চাইসো। আমরাতো পুরাই থ! আমরা চলে আসি, পরে শুনি ঐ ব্যাবসায়ী চেয়ারম্যানের কাছে টাকা চাইসে আমাদের খোমা দেখিয়ে সুন্দরবনকে সাক্ষী রেখে।
পরে ঐ ব্যাবসায়ীর পরিচয় দেখলাম রাস্তার ব্যানারে। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বড় নেতা, মখার কাছের লোক।
সুন্দরবন টপিক্স নিয়া যদি আম্লীগের এই ক্ষুদ্র নেতা ১ লাখ ধান্দা করতে পারে তাহলে চাঁদাবাজ, ডোম মন্ত্রী শাহজাহান অনেক কিছুই করতে পারে।
"তেলের প্রভাবে সুন্দরবনের তেমন ক্ষতি হবেনা"
- আসলেই হবেনা। কারণ সেখানে "সুন্দরবন আবাসিক প্রকল্প" করা হবে। বাড়ির ডিজাইন হবে বাঘ, হাতি, ডলফিনের মতো। ফার্নিচার হবে সুন্দরি, গড়ানেরের কাঠ দিয়ে। আয় হবে আনলিমিটেড টাকা।
শাহজানদের যদি কুকুরের কামড় আর নদীতে পঁচে যাওয়া লাশের টুকরা খাওয়ানো যায় তাতেও তাদের বোধ হবেনা কোনদিন!!!