হঠাৎ করেই মানুষের দাম বেড়ে গেল । বালিশ, পর্দা, পেঁয়াজ, জর্দার পর এই প্রথম মানুষের দাম ১০০০ টাকা হয়েছে। এজন্য সকলেই মানুষ কিনতে শুরু করলো। গাড়ির সামনে মানুষ এলে আর কেউ চাপা দিলো না। বরং গাড়িতে উঠিয়ে নিলো। ছিনতাইকারীরা মানুষ ছিনতাইয়ে মনোযোগ দিলো। এম্বুলেন্সে মরণাপন্ন মানুষকে, সবাই মূল্য দিতে শুরু করলো। সে এক আজব সময় !
পত্রিকার পরে পত্রিকার শিরোনামগুলো হলো এমনঃ" মানুষের দামের রেকর্ড বৃদ্ধি ", " মানুষ আজ মূল্যের শিখরে", " মানুষ ছিনতাই করতে যেয়ে মজনু গ্রেফতার" ইত্যাদি ইত্যাদি। টিভিতে মানুষের মূল্য নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হলো। জনাব কদুর জ্বালাময়ী বক্তব্য ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেল। ট্রলের বন্যায় তিনি ভেসে গেলেন।
এদিকে রাজনীতিবিদরাও বসে নেই। "এটা বিরোধীদলীয় চক্রান্ত ", " বিরোধীদলকে ফাঁসাবার চেষ্টা করছে সরকার " ইত্যাদি কথায় মাঠ সরগরম। ইতিমধ্যেই একটি মিছিল আলু ভবন মোড় প্রদক্ষিণ করলো। এরপর শুরু হলো হরতাল। পত্রিকার শিরোনাম হলোঃ "মানুষের জন্য হরতালে সরকারের লাঠিচার্জ", "মানুষের দাম এত কেন?", "পিকেটিং করার সময় আহত হলেন টাংকু মিয়া"।
এবার পুলিশ তার অভিযান চালালো। গ্রেফতার হলো মানুষ পাচারকারী টশিদ খান। ইনিই মানুষ গুদামঘরে জমা করে রেখেছিলেন। যার কারনে মানুষের এই উর্ধমূল্য। মানুষের দামটা আবার কমে গেল। টিভিতে ব্রেকিং নিউজঃ " মানুষের দাম আবার নাগালের মধ্যে ! "
কোনো এক দেশে কেন যেন সবকিছুর মূল্য আছে, মানুষ বাদে !
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২১