১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির অবসান হওয়ার দরকার ছিল; স্বাধীন দেশে দরকার ছিল দক্ষ স্পেশালিস্ট, ইউনিভার্সিটিগুলো হওয়ার কথা ছিল রিসার্চ সেন্টার; এই উপযুক্ত সময়টুকু শেখ সাহেব উপলদ্ধি করতে অক্ষম হন; ছাত্রলীগই উনাকে এত উপরে তুলেছিল; আবার যখন ঐতিহাসিক কারণে ছাত্রলীগকে আওয়ামী লীগে পরিণত করার দরকার ছিল, উনি সেটা করেননি। দেশ যখন স্বাধীন হয়ে গেছে, ছাত্রলীগের কোন রাজনৈতিক ভুমিকা থাকার কথা নয়; ছাত্রলীগের গুরুত্ব কমে গিয়েছিল, ছাত্রলীগের হাতে রাজনৈতিক ইস্যু ছিল না; দরকার ছিল পড়ালেখায় ফিরে যাওয়া; শেখ সাহেব থেকে সঠিক রোডম্যাপ না পেয়ে তারা অকারণ ইস্যু খুঁজে বের করলো, এ্যামিবার মত নিজকে দুইভাগ করলো; দুইভাগ হওয়ার পর, ইস্যুর অভাব হলো না: কেহ মুজিববাদ কায়েম করছে, বাকীরা বৈজ্ঞানিক সমাজতণ্ত্রের সৈনিক হলো; কাজের কাজ হলো, তাদের মারামারি শেখ সাহেবের ভিত্তি নরম করে দিলো; শেখ সাহেবের মৃত্যুর প্রেক্ষাপট তৈরিতে ছাত্রলীগ বিরাট ফ্যাক্টর ছিলো।
শেখ হাসিনা ৩৪ বছর রাজনীতি করে এমন যায়গায় এসেছে যে, ছাত্রদল ও শিবির আর কোন ফ্যাক্টরই নয়; এদের নিস্ক্রিয় করতে ছাত্রলীগের আর দরকার নেই; আবার ছাত্রলীগ এখন প্যারালালী কয়েকটা আছে, প্রতি কমিটিতে ২/৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে অবস্হান করছে। এই ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার কোন দরকার নেই; এরা যেকোন সময়ে, যেকোন প্রকার বিপদ ডেকে আনবে; এই বহু-মস্তক দৈত্যকে মাথা থেকে দুরে ফেলে দিলে শেখ হাসিনার মাথাও কিছুটা শান্তি পাবে।
আইন করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেয়ার দরকার; যারা ভোটার হবে, তারা পার্টির রাজনীতি করবে সোজাসুজি। ছাত্র অবস্হায় যারা রাজনীতি করতে চায়, তারা রাজনীতি করবে ক্যাম্পাসের বাহিরে।
আমাদের গ্রাজুয়েটদের পড়ালেখার করুণ অবস্হা, এরা দেশে বেকার, বাহিরে ট্যাক্সী ড্রাইবার; যারা পার্টির সাথে যুক্ত তারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি করে জাতিকে ত্রাসের মাঝে রেখেছে।
শেখ হাসিনার জন্য এখনি বড় সুযোগ; আশাকরি বাবার ভুলটা উনি করবেন না; অনেকদিন বিএনপি ও জামাতের চাপে থাকায় উনি মনে করতেন যে, ছাত্রলীগ দরকার; এখন সুযোগ এসেছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও শিবিরকে ছাত্র জীবনে ফিরে যাবার সুযোগ দেয়ার।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৭