somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাত্রলীগকে মাথা থেকে নামানোর পজিশনে আছে এখন শেখ হাসিনা

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির অবসান হওয়ার দরকার ছিল; স্বাধীন দেশে দরকার ছিল দক্ষ স্পেশালিস্ট, ইউনিভার্সিটিগুলো হওয়ার কথা ছিল রিসার্চ সেন্টার; এই উপযুক্ত সময়টুকু শেখ সাহেব উপলদ্ধি করতে অক্ষম হন; ছাত্রলীগই উনাকে এত উপরে তুলেছিল; আবার যখন ঐতিহাসিক কারণে ছাত্রলীগকে আওয়ামী লীগে পরিণত করার দরকার ছিল, উনি সেটা করেননি। দেশ যখন স্বাধীন হয়ে গেছে, ছাত্রলীগের কোন রাজনৈতিক ভুমিকা থাকার কথা নয়; ছাত্রলীগের গুরুত্ব কমে গিয়েছিল, ছাত্রলীগের হাতে রাজনৈতিক ইস্যু ছিল না; দরকার ছিল পড়ালেখায় ফিরে যাওয়া; শেখ সাহেব থেকে সঠিক রোডম্যাপ না পেয়ে তারা অকারণ ইস্যু খুঁজে বের করলো, এ্যামিবার মত নিজকে দুইভাগ করলো; দুইভাগ হওয়ার পর, ইস্যুর অভাব হলো না: কেহ মুজিববাদ কায়েম করছে, বাকীরা বৈজ্ঞানিক সমাজতণ্ত্রের সৈনিক হলো; কাজের কাজ হলো, তাদের মারামারি শেখ সাহেবের ভিত্তি নরম করে দিলো; শেখ সাহেবের মৃত্যুর প্রেক্ষাপট তৈরিতে ছাত্রলীগ বিরাট ফ্যাক্টর ছিলো।

শেখ হাসিনা ৩৪ বছর রাজনীতি করে এমন যায়গায় এসেছে যে, ছাত্রদল ও শিবির আর কোন ফ্যাক্টরই নয়; এদের নিস্ক্রিয় করতে ছাত্রলীগের আর দরকার নেই; আবার ছাত্রলীগ এখন প্যারালালী কয়েকটা আছে, প্রতি কমিটিতে ২/৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে অবস্হান করছে। এই ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার কোন দরকার নেই; এরা যেকোন সময়ে, যেকোন প্রকার বিপদ ডেকে আনবে; এই বহু-মস্তক দৈত্যকে মাথা থেকে দুরে ফেলে দিলে শেখ হাসিনার মাথাও কিছুটা শান্তি পাবে।

আইন করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেয়ার দরকার; যারা ভোটার হবে, তারা পার্টির রাজনীতি করবে সোজাসুজি। ছাত্র অবস্হায় যারা রাজনীতি করতে চায়, তারা রাজনীতি করবে ক্যাম্পাসের বাহিরে।

আমাদের গ্রাজুয়েটদের পড়ালেখার করুণ অবস্হা, এরা দেশে বেকার, বাহিরে ট্যাক্সী ড্রাইবার; যারা পার্টির সাথে যুক্ত তারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি করে জাতিকে ত্রাসের মাঝে রেখেছে।

শেখ হাসিনার জন্য এখনি বড় সুযোগ; আশাকরি বাবার ভুলটা উনি করবেন না; অনেকদিন বিএনপি ও জামাতের চাপে থাকায় উনি মনে করতেন যে, ছাত্রলীগ দরকার; এখন সুযোগ এসেছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও শিবিরকে ছাত্র জীবনে ফিরে যাবার সুযোগ দেয়ার।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১৭
১৬টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×