খালেদা জিয়া আজকে আবার সংবাদে এলেন, তিনি আবারো ভোট চাচ্ছেন, এখন তত্বাবধায়ক না হলেও চলবে; কোন প্রকারে একটা নিরপেক্ষ ভোট হলেই চলবে; উনাকে কেহ হয়তো সঠিকভাবে বুঝয়ে বলছে না যে, পরিস্হিতি বলছে, উনার শেষ ভোট হয়ে গেছে ২০০১ সালে; আগামী ভোটে উনি হয়তো অংশ গ্রহন করতে পারবেন না; উনার '৯১ দিনের আন্দোলনের রেজাল্ট বের হবে ততদিনে। এখন ভোট চাওয়াটা কেমন একটা প্রলাপের মতো শোনাচ্ছে; গত আন্দোলনের ফলাফল কি, পার্টির লোকজন কোথায়; কোন খোঁজ খবর নেই, খালি ভোট চাই!
আওয়ামী লীগ উনাকে সহজে আর ভোটে যেতে দেবে না; ভোটে গিয়েও লাভ নেই, উনার দল জিততে পারবে না আগামী ভোটে। বিরোধীদলের যায়গাটা ফেরত পাবেন; তাতে লাভ কি, উনারা বিরোধীদলের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। নিরপেক্ষভাবে ভাবলে, উনার এমন কোন যোগ্যতা ছিল না যে, উনি জিততে পারেন। সেই তুলনায় শেখ হাসিনা ভালো করছে। আওয়ামী লীগ এর অনেক ভালো করা উচিত; কিন্তু তাদের মাপকাঠিকে ওরা ছোট করে রেখেছে, ওরা চায় শুধুমাত্র বিএনপি থেকে ভালো করতে।
বিএনপি ও আও্য়ামী লীগের মাঝে আওয়ামী লীগ সব সময় বিএনপি থেকে ভালো করে, কিন্তু ওরা কখনো মানুষকে বুঝার চেস্টা করে না; যা করতে হয় নিজের ইচ্ছায় করে, মানুষকে মোটামুটি সন্মানও করে না; তাদের একটা বদ্ধমুল ধারণা দেশটা আওয়ামী লীগ এনেছে, ওরাই জানে কি করতে হবে। তারা দলের অগ্রজ নেতাদের সন্তানদের বেশ দাম দিচ্ছে; কিন্তু অগ্রজদের নতুন জেনারেশন মোটামুটি বেশ অনুপযুক্ত। আর আোয়ামী লীগের একটা দলীয় স্বভাব আছে, এরা সবাই নিজের মত করে কথা বলে; কোনটা দলের কথা, কোনটা নিজের কথা বুঝা মুশকিল।
ভয়ংকর কোন কিছু না ঘটলে ২০১৯ সালের আগে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই; হয়তো ভোট হবে, যদি বিচারে খালেদা জিয়ার জেল জরিমানা হয়ে যায়।
অবশ্য বিএনপি যে, একেবারে বসে আছে তা নয়, তারা আওয়ামী লীগের সাথে কোন না কোনভাবে কথা বলছে, এবং কোন একটা চুক্তিতে আসার চেস্টা করছে; উপরে এরা যতই ফোঁসফাঁস করুক না কেন, এরা পরস্পরকে চিনে, এদের ভেতরে যোগাযোগ আছে। দেখা যাক, খালেদা জিয়ার ভোটের কি হয়; মনে হয় উনার ভোট শেষ হয়ে গেছে।
উনার মতো একজন মহিলা বাংলাদেশের রাজনীতি করেছেন ৩২ বছর দাপটের সাথে, টাকা পয়সার মালিক হয়েছেন; ছেলেদের টাকা পয়সা হয়েছে, ভাইবোনদের টাকা পয়সা হয়েছে, আর কত? নাকি জন গণের জন্য কিছু করতে চাচ্ছেন? সেটা হবে নতুন কিছু।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৪২