শেখা হসিনা ডাক দিয়েছে, "ভিজিট বাংলাদেশ ২০১৬"; মনে হয়, তারেক জিয়াকে লক্ষ্য করে উনি বলেছেন? বাংলাদেশের যে অবস্হা, সেখানে তারেক জিয়া ব্যতিত আর কে কে বেড়াতে আসবে? যাদের ইচ্ছা তারা আসুক; কমপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলছে, ওখানে হামলার শংকা আছে!
বিশ্বে আজ, ৭ বিলিয়নের বেশী মানুষ বাস করছে; ২০১৬ সাল, ১ বিলিয়ন মানুষ পর্যটক হিসেবে, নিজের দেশের বাহিরে অন্য দেশ ঘুরবে। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় পরিবারই ৫ বছরের মাঝে একবার অন্য দেশে যায় বেড়াতে; এশিয়ার মাঝে, জাপানীরা বছরে একাধিকবার বিদেশে বেড়াতে যায়; আরবেরাও মোটামুটি নিজের দেশের বাহিরে বেড়ায়। আফ্রিকা প্রাকৃতিক পর্যটনের প্রাণকেন্দর হওয়া সত্বেও এই মহাদেশের মানুষ, গড়ে অন্য দেশে কাম যায়।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী ডাক দিয়েছেন, দেশে বিদেশী পর্যটকদের আনার জন্য, সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগ নেয়ার জন্য, এবং আশা করছেন, ১ বিলিয়ন থেকে কিছু পর্যটক যেন আমরা পাই।
এক সময়ে মিশর ছিল ঐতিহাসিক পর্যটনের প্রাণ কেন্দ্র; গত কয়েক বছর, মিশরে পর্যটক যাচ্ছে না; কারণ, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক অস্হিতিশীলতা; একই কারণে আফ্রিকার অনেক দেশ পর্যটক হারায়েছে।
বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটক নেই বললেই চলে; যারা আসেন, তারা কাজকর্মেই আসেন, সাথে দেশটাও দেখা হয়।
গতকাল অস্ট্রেলিয়ার সরকার তাদের সিটিজেনদের জানায়েছে যে, বাংলাদেশ ভ্রমন, ও বাংলাদেশে অবস্হান বিপদজনক, সন্ত্রাসী আক্রমনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে; স্বয়ং দেশটির রাজধানীর ধনী এলাকাগুলোও সন্ত্রাসমুক্ত নয়; অস্ট্রেলিয়ার সরকার নিজেদের মানুষকে বাংলাদেশ ভ্রমণ বিপদজনক বলেছেন, ও বাংলাদেশে না যাওয়ার জন্য বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর 'ভিজিট বাংলাদেশ' ও অস্ট্রেলিয়ার 'এভোয়েড বাংলাদেশ' মোটামুটি একই সময়ে শুরু হচ্ছে?
২০১৪ সালের 'পেট্রোল বোমার ৯১ দিনে' কি পরিমাণ বিদেশী পর্যটক বাংলাদেশে এসেছে? সেই সময়ে বাংলাদেশ কর্মরত বিদেশীরা কি পরিমাণে, কমপক্ষে সাময়িকভাবে দেশ ত্যাগ করেছে?
পর্যটনের জন্য মানুষ সর্ব প্রথমেই নিরাপদ দেশ খুঁজছে; তারপর, তারা চায় ভালো যোগাযোগ ব্যবস্হা, খাবার ও হোটেল, দর্শনীয় স্হান, স্হানীয়দের কালচার, পর্যটন শিল্লের দক্ষতা, সততা এবং বিনোদনের ব্যবস্হা। এগুলোর কোনটাই সঠিকভাবে বাংলাদেশে নেই, অন্তত আজকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩