২৩৬ পৌরসভা নির্বাচন দলীয় পর্যায়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ, আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে; এই পৌরসভা নির্বাচন ২৩৬ সীট সম্পর্কে অনেক ধারণ দিবে, ও তৃণমুলে কন্ট্রোল রাখতে সাহায্য করবে। যদি আওয়ামী লীগ দেখে যে, বিএনপি আশাতীত ভালো করছে, সেটার উপর নির্ভর করে আওয়ামী লীগ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
গত মেয়র নির্বাচনের মতো, বিএনপি থেকে যারা জয়ীহবে, তারা ২/১ বছরের মাঝে সবাই জেলে চলে যাবে; অবশ্য, এজন্য আওয়ামী লীগকে কোনভাবে জোর খাটাতে হবে না; বিএনপি'র ক্যান্ডিডেটদের বেশীর ভাগই অপরাধী পেশীবাজদের থেকে আসবে, যারা ২/১ বছরের মাঝে জেলে যাবার মতো অনেক অপরাধই করবে।
শেখ হাসিনা এইবার একটা এক্সপেিমেন্ট করতে পারে; এতে, আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজ বাড়বে, ও জনতার জন্য ভালো হবে; ২৩৬ সীটে কোন পেশীবাজকে না দিয়ে, এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয়, শিক্ষিত, সত মানুষকে নমিনেশন দিলে, তৃণমুলে আওয়ামী লীগের সুনাম বাড়বে। সমস্যা হলো, এ ধরণের মানুষের জয়ের সম্ভাবনা অতীতে ছিল না, এবার কি থাকবে?
সম্ভাবনা থাকার দরকার কেন, ভোট যদি চুরি করতে হয়, ভালো মানুষের জন্যই চুরি করুক; মানুষ কমপক্ষে চোরা ভোটে ভালো মানুষ পাবে; গণতান্ত্রিক উপায়ে ডাকাতকে নির্বাচিত না করে, চোরা ভোটে ভালো ও দক্ষদের জয়ী করাই তুলনামুলকভাবে ভালো হবে।
মনে হচ্ছে, আওয়ামী কেন্ডিডেটকে জয়ী করার সব ধরণের ব্যবস্হা নেয়া হবে; এবং তা খারাপ নয়; কারণ, সরকার যদি আওয়ামী লীগের হয়, পৌর মৌরতে বিএনপি থাকার দরকার কেন? আর বিএনপি থেকে কোন ভালো লোকের নমিনেশন পাবার সম্ভাবনা নেই; চোরই যদি জয়ী হয়, সেটা বিএনপি থেকে হওয়ার দরকার কি, আওয়ামী চোর ডাকাত কি আলাদা জাতের?