মাত্র গতকালও সরকার একনেকের এক মিটিং'এ, চলতি এক প্রকল্পে ৫০০০ কোটী টাকা বরাদ্ধ করেছে; যারা এসব প্রকল্পে কাজ করছে, এই টাকার সামান্য ২০% যদি লাভ করে, তারা ১০০০ কোটী লাভ করবে; লাভের অর্ধেক যদি ঘরে নেয় ৫০০ কোটী ঘরে যাবে; এই টাকাটা একটা চাইনীজ কোম্পানী ও কয়েকজন বাংগালীর ঘরে যাবে। ৫০০ কোটী ঘরে নিতে কত লাখ চাষীকে কত বছর মাঠে কাজ করতে হবে? কিন্তু এই প্রকল্পকে এমনভাবে ম্যানেজ করা সম্ভব যে, এই ৫০০ কোটী টাকা ১০/২০ লাখ পরিবার পেতে পারতো, এবং কাজও অনেক ভালো হতো!
এটা তো কিছুই না; ৫০০০ কোটী হলো ছিটেফোটা, সরকার ও আধা সরকার মিলে প্রায় ৩ লাখ কোটী টাকার কাজ করায় বছরে; এবং এই টাকার ৩০% থেকে ৪০% সামান্য কিছু লোকের পকেটে যাচ্ছে। ৩ লাখ কোটী টাকা খরচ করে সরকার উন্নয়নের যে ঢোল বাজাচ্ছে, সেটা ১৭ কোটী লোক শুনে, কিন্তু সেটার প্রত্যক্ষ ভাগ ওরা পায় না, পায় পরোক্ষ ভাগ; কিন্তু প্রত্যক্ষ ভাগই ১৭ কোটীর পাওনা, এবং মানুষকে সেটা দিলে আসল উন্নয়ন হবে; না হয়, আসল উন্নয়ন হবে কর্ণেল ফারুক, মেজর মান্নান, ওরিয়ন, সালমান রহমান, বসুন্ধরাদের।
আমাদের সরকার আমেরিকা, বৃটেনের মতো কড়া কয়াপিটেলিজম চালাচ্ছে দেশে; কিন্তু আমাদের লোক সংখ্যার ঘনত্ব বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে বেশী; শিক্ষার হার আফগানিস্তানের চেয় ভালো, দক্ষতার দিক থেকে অদক্ষ শ্রমিক; আর মাথাপিছু সম্পদ হিসেব করলে, আমরা ফকির। আমরা আসলে বৃটেন, আমেরিকা বা জার্মানী নই।
আমাদের দেশে এসে ফোন, ব্যাংকিং, বিদ্যুত, গ্যাসে বিনিয়োগ করছে বিদেশীরা; অথচ বাংগালীর কাছে বিদেশীদের বিনিয়োগের থেকে বেশী টাকা অলস হয়ে পড়ে আছে; আর বিদেশীরা যেই টেকনোলোজী আনছে, সেগুলো ক্রয় করা সম্ভব।
বাংগালীর টাকাকে বিনিয়োগ করতে হলে, কিছু নতুন পদক্ষেপ নিতে হবে পুরাতন সমবায় পদ্ধতি ব্যবহার করে; এগুলো বর্তমান ব্যাংককিং ও ম্যানেজমেন্টের ফলে সোজা হয়ে গেছে।
ব্যাংকিং, ফোন, বিদ্যুত, গ্যাস, রাস্তা ও বাড়ী নির্মাণে, যান বাহনে মানুষকে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হোক; মানুষ নিজ দেশে প্রবাসী হয়ে বসে আছে; বাহিরের মানুষ এসে টাকা আয় করছে এই গরীব দেশে।