
প্রফেসর জাফর ইকবালকে আক্রমন করেছে ১ টি ছেলে, সাথে হয়তো আরো ২/৩ জন ছিলো; প্ল্যান ইত্যাদি মিলে হয়তো ৫/১০ জন লোক কাজ করেছে, এতে পুরোদেশ অস্হির; অনেকে ভয় পেয়েছেন; থানা, পুলিশ, র্যাব, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, হাসপাতাল, ব্লগারেরা মিলে পুরো জাতি অস্বস্তিতে।
আরো অবাক কান্ড হলো, শাহজালাল ইউনিভার্সিটির ছেলেরা প্রফেসর জাফর ইকবালের পক্ষে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওখানে বেশ ভাংগচুর চালায়েছে; এটার ব্যাখ্যা কি? ব্যাখ্যা হলো অস্হিরতা, বিশৃংখল মনোভাব।
আক্রমণকারী ছেলেটি সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে, সে সমাজের সুবিধা-বন্চিতদের একজন; সে হয়তো মাদ্রাসায় ছিলো, হয়তো ড্রপ আউট, সে শাহজালাল, বা ঢাকা ইউনিভার্সিটি অবধি যেতে পারেনি; বাবাও সামান্য মাদ্রাসায় চাকুরী করে; আজকাল যারা মাদ্রাসায় চাকুরী করে, তাদের জীবন সোজা কিছু নয়। দেশের মানুষের একাংশ যদি সুবিধা-বন্চিত হয় থাকে, বাকীরা শান্তিতে থাকার সম্ভাবনা নেই।
ছেলেটির কথায় যতটুকু বুঝা গেছে, সে ইসলাম রক্ষার জন্য এই কাজ করেছে; সে নিজকে, নিজের পরিবারকে বিপদের মাঝে ঠেলে দিয়েছে ইসলামকে রক্ষার জন্য? প্রফেসর জাফর ইকবাল কি ইসলামের বিপক্ষ যুদ্ধে নেমেছে, এখনো কি বদরের যুদ্ধের দরকার আছে? ছেলেটি পেছনে পড়ে গেছে, তার পরিবার পেছনে পড়েছে বলেও আমার ধারণা; সে ভুল পরিবেশে, ভুল ধারণা নিয়ে ভুল-মানুষ হচ্ছে, কিংবা আগাছায় পরিণত হয়েছে।
সরকার প্রফেসর জাফর ইকবালের জন্য যা করেছে, এটুকু করার দরকার ছিলো, সরকারকে ধন্যবাদ; কিন্তু এই ধরণের আক্রান্ত অন্য নাগরিকদের জন্য সরকার কি এতটুকু করেছিলো? মোটেই করেনি। সরকার-প্রধান অন্যদের বেলায় বলেছিলেন, ইসলামের বিপক্ষে কথা বলে কেহ বিপদে পড়লে, সরকার কিছু করবে না। লজিক্যাল অনেক কথাই ধর্মের পক্ষে যাবে না, তাতে যদি কেহ জংগীদের টার্গেটে পরিণত হলে, সরকারের নাকি করার কিছু নেই; সরকারের এই ধরণের অবস্হান কাদের পক্ষে গেছে?
প্রফেসর জাফর ইকবাল কেন টার্গেট ছিলো? প্রফেসর জাফর ইকবালের মতো কথা আধুনিক সময়ে হাজার হাজার মানুষ বলছে, এতে এরাও টার্গেটে পরিণত হচ্ছে; প্রফেসর জাফর ইকবালের জন্য সরকার যতটুকু এগিয়ে এসেছে, বাকীদের জন্যও এগিয়ে এলে, এসব ছেলেরা ভয় পাবে, এসবের প্ল্যানকারীরা ভয় পারে; সরকারকে সবার সরকার হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




