somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বর্তমান বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী ষ্টিফেন হকিং মৃত্যুবরণ করেছেন আজ

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজকে, বর্তমান বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী ষ্টিফেন হকিং মৃত্যুবরণ করেছেন (জানু-১৯৪২-মার্চ-২০১৮); তিনি ৭৬ বছর বেঁচেছিলেন। তিনি ২২ বছর বয়সে মটর নিউরণ রোগে অসুস্হ হন; এই রোগ ক্রমেই উনার পুরো শরীর অবশ করে ফেলে; তিনি কম্প্যুটার সিনথেসাইজারের সাহায্যে কথা বলতেন। উনার রোগ ধরা পড়ার পর, ডাক্তারেরা ভেবেছিলেন যে, তিনি সামান্য সময় বেঁচে থাকবেন।

তাঁর বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা ও বিশ্বকে জানার স্পৃহা তাঁকে মোটামুটি দীর্ঘ জীবন দিয়েছে; তিনি সময়টুকু খুবই পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগায়েছেন।

তিনি থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স ও কসমোলোজীতে গবেষণা করেছেন, এবং আমৃত্যু এই ২ বিষয়ের উপর মানুষের ধারণাকে প্রসারিত করেছেন। এছাড়াও তিনি থিওরী অব রিলটিবিলিটি ও ব্ল্যাক-হোলের রেডিয়েশন নিয়ে লিখেছেন।

১৯৬৬ সালে ষ্টিফেন এপ্লাইড মেথামেটিকস ও থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সে গবেষণা করে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি মৃত্যুর সময় অবধি কেমব্রীজ ইউনিভার্সিটির এপ্লাইড মেথামেটিকস ও থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স গবেষণাগারের ডিরেক্টর ছিলেন।

১৯৭০ সালে তিনি কোয়ানটাম থিওরী ও রিলেটিবিলিটিকে ব্যবহার করে ব্ল্যাক-হোলের রেডিয়েশন সম্পরকে ধারণা দেন বিশ্বকে। ১৯৭৩ সালে তিনি থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স ও এপ্লাইড মেথামেটিকস'এর শিক্ষক হিসেবে কেমব্রীজে যোগদান করেন।

১৯৮৮ সালে "এ ব্রীফ হিসটোরি অব টাইম" নামে কসমোলোজী ও ব্ল্যাক-হোল গবেষণার উপর বই প্রকাশ করেন। ২০০১ সালে তিনি ইউনিভার্স ইন এ নাটশেল নামে আরেকটি পুস্তিকা লিখেন; উনার বইয়ের সংখ্যা ১০টি যথাসম্ভব।

২০১০ সালে, উনার সবচেয়ে জনপ্রিয় বই "দি গ্রান্ড ডিজাইন" প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, যে মহাবিশ্বে আমাদের মত বা তার চেয়ে উন্নত সভ্যতা থাকার সম্ভাবনা আছে।

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:২৮
৫৮টি মন্তব্য ৫৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×