News Link
ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড আলেকজান্ডার কার্লাইল নিশ্চয় নিজ প্রফেশনে বিরাট সফল ব্যক্তি, তিনি ব্রিটিশ পারলামেন্টের উচ্চ-কক্ষ, হাউস অব লর্ডস'এর সদস্য; তিনি বেগম জিয়ার মামলার দেখাশোনা করার জন্য ঢাকা আসতে চেয়েছিলেন, ভিসা দেয়া হয়নি; মনে হচ্ছে, এটা আওয়ামী লীগের কাজ। যাকগে, ঢাকা আসতে না দিলেও সমস্যা নেই, তিনি ভারতে আসছিলেন; সেখান থেকে বুদ্ধি পরামর্শ দেয়ার কথা, ২/১টা সাংবাদিক সন্মেলেন করার কথা; মির্জা, আলাল-দুলালরা গিয়ে দেখা করার কথা; কিন্তু তাঁকে ভারতেও ঢুকতে দেয়া হয়নি, 'ভিসা সমস্যা'!
ভারত কি আওয়ামী লীগের অনুরোধে শেষাবধি বৃটিশ লর্ডকে বিমান বন্দর থেকে ফেরত দিলো? ভারতের জন্য আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা বড়, নাকি বৃটিশ বড়? কোন সাহসে তারা এই কাজ করলো? ১৯৪৭ সালের পুর্বে এইসব লর্ডেরাই বৃটিশের হয়ে ভারত শাসন করতো; মনে আছে না, লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন, লর্ড কর্ণওয়ালিস প্রমুখ!
মির্জা ও রিজভী সাহেব ইতিমধ্যে প্রেস রিলিজ দিয়েছেন যে, ভারতকে দিয়ে অবৈধ সরকার এই কাজ করায়েছে; তারপর বাকী কান্নাকাটি, গণতন্ত্রের অতন্দ্র-প্রহরী, আপোষহীন নেত্রীকে অবৈধভাবে জেলে রেখে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, জনগণ এসব সহ্য করবে না, এদেরকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে; একদিন গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।
সরকারের উচিত ছিলো লর্ড আলেকজান্ডার কার্লাইলকে বাংলাদেশে আসার ভিসা দেয়া; যেহেতু বিএনপি'র অধিকার ও পয়সা আছে বিদেশী আইনজীবী আনার, তারা আনুক; বিদেশী আইনজীবির ঢাকা কোর্টে মামলা চালনার লাইসেন্স থাকার কথা নয়; এরপরও উনাকে পারমিশন দিলে ভালো হতো! লোকটা লর্ড হিসেবে আসতো, ঢাকা থেকে পাগল হিসেবে লন্ডন ফেরত যেতো!
মনে হচ্ছে লোকটা মনে করেছিলো যে, ভারত এখনো আগের মতো বৃটিশ কলোনী; দিল্লী পৌঁছলে পাখা হাতে আর্দালী উপস্হিত থাকবে; লর্ডকে গভর্ণর হাউসে নিয়ে যাবে; সেটা ঘটেনি। মিডিয়া থেকে পরিস্কার হয়নি যে, কোন ক্যাটেগরীর ভিসা নিয়ে তিনি দিল্লি এসেছিলেন; কি কারণে এয়ারপোর্ট থেকে ফিরায়ে দিয়েছে! হতে পারে, উনি যেই ক্যাটেগরীর ভিসা নিয়েছেন, ও ভারত ভ্রমণের কারণ হিসেবে যা লিখেছেন বা বলেছেন, ক্যাটেগরীর সাথে মিলেনি। এরপর, সাধারণ কোন ইমিগ্রেশন অফিসার উনার ব্যাপারে নিশ্চয় সিদ্ধান্ত নেয়নি, একজন লর্ডের ব্যাপারে নিশ্চয় উপরের লোকজন এতে যুক্ত হয়েছে, এবং উনাকে হয়তো জানানো হয়েছে যে, উনি উনার প্রফেশানেল কার্যক্রম চালতে পারবেন না, এই ভিসায়; হয়তো, কোন ধরণের পারমিশন ও লাইসেন্স লাগবে; তখন হয়তো লর্ড নিজেই ভেবেছেন যে, এগুলো পোষাবে না। ভারত নিশ্চয় উনাকে ফেরত দেয়নি, অবশ্যই দেশে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়ার কথা, এবং সাথে সাথে জানায়েছে যে, উনি টুরিষ্ট হিসেবে স্বাগত; তবে, প্রফেশানেল কাজকর্মের জন্য উাকে অন্য ক্যাটেগরীতে রূপান্তর করতে হবে।
উনার সাথে নিশ্চয় বিএনপি'র লোকজন ছিলো; তারা এই ঘটনাকে হয়তো ড্রামাটিক করেছে, উনাকে হয়তো অনুরোধ করেছে, 'বিমান বন্দর থেকে ফিরে যেতে', যাতে মির্জা সাহেব, রিজভী সাহেব একটা বিবৃতি দিতে পারেন। ভারত কোনভাবেই ১ জন লর্ডকে এয়ারপোর্ট থেকে ফেরত দেয়ার মত বেকুবী করবে না; ওরা মিলিয়ন মিলিয়ন বিদেশী পর্যটক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার আয় করে।
এই লর্ড নাকি লন্ডনে জামাত ও বিএনপি'র লবিং করেন; এরপর, উনি কি করে বাংলাদেশে আসার ভিসা পাবেন?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২৪