ড: কামাল হোসেন শেষ মহুর্তে এসে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন, মনে হয়; উনি নমিনেশন পেপার জমা দেননি; প্রথমত: উনি বুঝতে পেরেছেন যে, উনার বিজয়ের কোন সম্ভাবনাই নেই; এরপর আরো অনেক কারণ থাকতে পারে; তার মাঝে একটা বড় কারণ হতে পারে, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের স্মৃতি, শেখ সাহেব উনাকে আজকের কামাল হোসেন বানায়েছেন, বিএনপি-জামাতকে সাহায্য করা উনার পক্ষ থেকে বিশ্বাসঘাতকতার সমান।
মনে হচ্ছে, এবারের ভোটে, উনি ক্ষমতার কথা উনার এলিট পজিশন থেকে ভেবেছিলেন: কর্নেল ফারুক, সালমান রহমান, আলম ব্রাদার্স, ওরিয়ন, বসুন্ধরা, ওয়ায়দুল কাদের, তোফায়েল আহমেদরা ক্ষমতায় থাকলে, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নোমান, মেজর মান্নান, ডা: জাফর উল্লাহ, আমান উল্লাহ আমানেরা, মিন্টুর ছেলেরা, গয়েস্বর রায়েরা থাকবে না কেন? এরা তো সবাই একই গোত্রের, কেহ ক্ষমতায়, কেহ কেন অক্ষমতায়?
উনি বেগম জিয়ার মুক্তি চেয়ে শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছিলেন; বেগম জিয়া মুক্তি পেতে পারেন না, সেটা তিনি অনেক সময় অবধি বুঝতে পারেননি; মনে হয়, এখন উনার সুমতি হয়েছে, উনি বুঝতে পেরেছেন যে, বেগম জিয়া এই দেশের কয়েক কোটী মানুষকে তাঁদের অধিকার থেকে বন্চিত করেছেন, জেলই উনার আসল ঠিকানা; উনার দলের হয়ে ভোট করা ঠিক হচ্ছে না।
এগুলো আমার অনুমান; এ ছাড়াও অন্য কারন থাকতে পারে! কারণ যাই হোক না কেন, উনি শেষ মহুর্তে এসে নিজের মুখ রক্ষা করেছেন কমপক্ষে! উনি সাধারণ বাংগালীদের জন্য কোনদিন কথা বলেননি; তবে, তিনি বিএনপি'র কেহ নন, বেগম জিয়ার কেহ নন; উনি একদিন শেখ সাহেবর সাথে ছিলেন, তাজুদ্দিন সাহেবের সাথে ছিলেন।
এই ভোটে কি হবে বলা মুশকিল; তবে, বিএনপি-জামাতের মনোভাব বদলাবে না; তারা বাংগালী জাতির জন্য রাজনীতি কখনো করবে না; ওদের একমাত্র উদ্দেশ্য শেখ হাসিনাকে পরাজিত করা; শেখ হাসিনাও তা জানেন, মনে হয়। ভোটে যা হওয়ার হবে, আপাতত ড: কামাল সাহেব নিজের মানসন্মান রক্ষা করেছেন, এতে সন্দেহ নেই!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯