মুক্তিযোদ্ধারা বাংলার দরিদ্র ঘরের সবল সন্তান, তাঁদের ভাতা, কোটা কোন কিছুর দরকার ছিলো না; তাঁদের দরকার ছিলো চাকুরী, তা বিনা-বেতনে হলেও চলতো, তাঁদেরকে যেকোন ধরণের চাকুরী দিলেই হতো; মগজহীনরা তাঁদের কাজ না দিয়ে, বুড়ো বয়সে ভাতা দিয়েছে, কোটা দিয়েছে। এসব দরিদ্র মানুষগুলোর ছেলেমেয়েরা কোনদিন বিসিএস হওয়ার কোন সমভাবনা ছিলো না, আজও নেই, কোনদিন দেশের মন্ত্রী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো না; ফলে, এঁদের কোটা দেয়ার দরকার ছিলো না।
কোটা আন্দোলনকারীদের মাঝে বড় অংশ ছিলো শিবির ও ছাত্রদল; এগুলো বাংলার বুকে জীবিত জল্লাদ ও অমানুষ যথাক্রমে। এঁদের পরিবারের লোকদের অনেকেই রাজাকার হিসেবে যুদ্ধ করেছিলো, শান্তি কমিটির লোক হিসেবে পাকী সেনাবাহিনীর যোগানদার ছিলো; মুক্তিযোদ্ধাদের উপর এদের পারিবারিক ক্ষোভ ছিল ও আছে; এরা কোটা আন্দোলন করেনি, করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরোধীতা। যাক, শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা কোটার অবসান ঘটায়েছে; এই কাজ অনেক আগেই করার দরকার ছিলো; শেখ হাসিনারা বেকুবী করে, বাংলার সাহসী সন্তানদের মান-সন্মান কমায়েছে।
আসলে, অপ্রয়োজনীয় কোটা-প্রথা মুক্তিযোদ্ধাদের মান-সন্মান অনেকভাবে কমায়েছে; শুরুতেই ইহার দরকার ছিলো না; কিন্তু যারা কোটা আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে, তারা যেন কোনদিন এই দেশের নির্বাচিত পোষ্টে যেতে না পারে; নির্বাচিত হয়ে গেলেও তাদেরকে অফিসের দায়িত্ব নিতে দেয়া সঠিক হবে না।
মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিপক্ষে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তারা কোনভাবেই বাংলাদেশে নির্বাচিত হয়ে, অফিস চালানোর যোগ্য নয়। অনেকে গণতন্ত্রের দোহাই দিতে চাইবেন; গণতন্ত্র হলো দেশ-প্রেমিক নাগরিকের জন্য; সন্ত্রাসী, জল্লাদ, জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করে যারা পরাজিত হয়েছে, যারা এই দেশের সন্তানদের পায়ের রগ কেটেছে, হত্যা করেছে, তারা কোনদিনও এই দেশের নির্বাচিত পোষ্টে যাবার অধিকার রাখে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৩৩